img

হজ ব্যবস্থাপনা সহজ করুন: সৌদিকে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৫:২৯, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:৪৭, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯

হজ ব্যবস্থাপনা সহজ করুন: সৌদিকে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী

জনমত ডেস্ক: ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাজীদের জন্য হজ পালন সহজ করার জন্য দক্ষিণ এশিয়া হাজী সেবা সংস্থার (মোয়াসসাসা) শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ।

বুধবার রাতে সৌদি আরবে মোয়াসসাসা অফিসে বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান। বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রীর এপিএস শেখ নাজমুল হক সৈকতের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ২০২০ সালে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করা হবে। এজন্য সৌদি সরকারের সহযোগিতা অপরিহার্য। এ সময় মোয়াসসাসার চেয়ারম্যান ড. রাফাত বিন ইসমাইল বদর বাংলাদেশকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

মাশায়ের-মোকাদ্দেসায় হাজীদের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করা, হজের সময় হাজীদের অভিযোগ অনলাইনে পাঠানোর ব্যবস্থা করার ওপর বৈঠকে জোর দেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশি হাজীরা হিমায়িত খাদ্য পছন্দ করেন না। এজন্য ২০২০ সালের হজে বাধ্যতামূলক খাবার সরবরাহ প্রথা বন্ধের কথাও বলেন তিনি।

ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব এবিএম আমিনুল্লাহ নুরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান, জেদ্দায় বাংলাদেশের হজ কাউন্সিলর মুহম্মদ মাকসুদুর রহমান এবং ঢাকার আশকোনা হজ অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে আগামী বছর হজ পালনে সরকারি ব্যবস্থাপনায় অধিকসংখ্যক হজযাত্রী উৎসাহিত করতে অপেক্ষাকৃত স্বল্পমূল্যের প্যাকেজ ঘোষণার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।

চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য প্যাকেজ-১ ও প্যাকেজ-২ ঘোষণা করা হয়। প্যাকেজ-১ এর খরচ চার লাখ ১৮ হাজার ও প্যাকেজ-২ এ তিন লাখ ৪৪ হাজার টাকা ঘোষণা করা হয়।

আগামী বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যের প্যাকেজ-৩ ঘোষণার চিন্তাভাবনা চলছে। কাবা শরিফ ও মসজিদে নববি থেকে কিছু দূরে কম টাকায় বাড়িভাড়া নিয়ে কম মূল্যের প্যাকেজ ঘোষণা করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বুধবার মক্কায় সৌদি সরকারের ওমরাহ ও হজবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ চুক্তি-২০২০ হয়। চুক্তিতে আগামী বছর বাংলাদেশের জন্য ১০ হাজার হজযাত্রীর কোটা বৃদ্ধিসহ সব হজযাত্রীর সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্পন্ন, ঢাকা থেকে মদিনায় সরাসরি ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কোটা বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী বছর এক লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি হজযাত্রীর সংখ্যা ঠিক রেখে অতিরিক্ত বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০ হাজার হজযাত্রী সরকারি ব্যবস্থাপনায় নেয়া হতে পারে।

img

শেষ দিনে ভিসার অপেক্ষায় ৩৭ শতাংশ হজযাত্রী

প্রকাশিত :  ১০:৫৯, ১১ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৪, ১১ মে ২০২৪

হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করার জন্য দ্বিতীয় দফায় আবেদনের জন্য বাড়ানো সময় শেষ হচ্ছে আজ শনিবার।  কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়নি। 

শনিবার সকালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

হজ এজেন্সি মালিক ও ধর্ম মন্ত্রণালয় আশা করছে, শনিবারের মধ্যে বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে। অল্প কিছু বাকি থাকলে, সেটাও দু-একদিনের মধ্যে করার জন্য সময় পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না- এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই।

ধর্ম মন্ত্রণালয় এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল । এরপর সেটি ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সবশেষ ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিন পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন ৬ হাজার ৩৯২ জন যাত্রী। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে সাতটি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ২ হাজার ৭৬৯ জন যাত্রী। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ৯টি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ৩ হাজার ৬২৩ জন হজযাত্রী। 

এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৬৬৮ জন, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১টি ফ্লাইটে ৪৪৫ জন, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৫১০ জন সৌদি আরব গেছেন। দুই দিনে তিন বিমান সংস্থার ১৬টি ফ্লাইটে ৬ হাজার ৩৯২ হজযাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন।

বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। কোনো অভিযোগ ছাড়াই যাত্রীরা ঢাকা ত্যাগ করছেন।

এদিকে বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে যাদের ভিসা হয়নি তারা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। যদিও ধর্মমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন ভিসা নিয়ে জটিলতা কেটে যাবে। ২৫৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সির অনেকেই প্রথম দফার বর্ধিত সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ না করায় দ্বিতীয় দফা সময় বাড়ানো হয়েছে।