img

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গৃহহীনদের দিতে চান করবিন

প্রকাশিত :  ১৩:৩০, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গৃহহীনদের দিতে চান করবিন

জনমত ডেস্ক: আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হয়ে লেবার পার্টি যদি সরকার গঠন করে তাহলে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনটি গৃহহীনদের থাকার জন্য ছেড়ে দিতে চান দলটির নেতা জেরেমি করবিন। তিনি বলেছেন, বিষয়টির সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রথমে কিছু বিষয় জানা দরকার। সত্যিকার অর্থে কারা বাড়িটির মালিক তা সম্পর্কেই আমি জানি না। আমি কখনও সেখানে ছিলাম না, জানি না জায়গাটি কেমন। পিটারবরোতে বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিরর’র এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।

জেরেমি করবিন বলেন, নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছি। এই মুহূর্তে এটিই অনেক বড় কাজ। আমি শুধু প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে চাই। চিলটার্ন হিলের কাউন্ট্রি হাউস নিয়ে আমার খুব আগ্রহ নেই।

শতাব্দী পুরনো এই বাড়িটি দায়িত্বরত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে দান করা হয়েছিল। ডাউনিং স্ট্রিটের ব্যস্ততা থেকে অবকাশ যাপনে বাড়িটি ব্যবহার করা হয়।

নির্বাচনি ইশতেহারে আগামী ৫ বছরের মধ্যে কষ্টদায়ক ঘুমানোর ইতি ঘটানোর  প্রতিশ্রুতি দিয়েছে লেবার পার্টি। তারা অভিযোগ করেছে, মানুষের পথে থাকতে বাধ্য হওয়া ও মৃত্যুর জন্য কনজারভেটিভ পার্টি সরাসরি দায়ী।

করবিন বলেছেন, যদি তার দল নির্বাচনে জিতে চায় তাহলে এই শীতে মানুষের জীবন বাঁচানো হবে তাদের নৈতিক মিশন। এই সংকট মোকাবিলায় তারা কয়েক বিলিয়ন পাউন্ডের একটি প্যাকেজ ঘোষণা করবেন।

ব্রিটেনে কষ্টদায়ক ঘুমের ঘটনা ২০১০ সাল থেকে বেড়ে গেছে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে গত বছর রাস্তায় ঘুমানো মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২৬ জন। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ তিনটি দলই বিভিন্ন উপায়ে এই সংকট সমাধানের অঙ্গীকার করেছে।এই সপ্তাহে ব্রিটেনের গৃহহীনদের সংকটের কথা উঠে এসেছে আশ্রয় প্রতিবেদনেও। এতে বলা হয়েছে, এবারের বড় দিনে দেশটিতে ১ লাখ ৩৫ হাজার শিশু গৃহহীন ও অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকবে।

লেবার পার্টি ৮ হাজার নতুন বাড়ি নির্মাণ করতে চায় ‘হাউজিং ফার্স্ট’ মডেলে, যাতে করে পথে বাস করা মানুষেরা সেগুলো থাকতে পারে। এসব বাড়ির অর্ধেক দ্রুতই নির্মাণ করা হবে এসব মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য। যাতে করে তারা নিজেদের জীবন পুনর্গঠন করতে পারে। বাকি ৪ হাজার বাড়িতে হোস্টেল থেকে গৃহহীনদের স্থান দেওয়া হবে। দলটি বলছে, এসব ঘর নির্মাণের জন্য ১৫০ বিলিয়ন পাউন্ড আসবে সামাজিক পরিবর্তন তহবিল থেকে। আগামী ৫ বছরে দলটি ৬০০ মিলিয়ন আধুনিক হোস্টেল ফান্ড বরাদ্দ দেওয়া হবে গৃহহীনদের আবাস তৈরির জন্য। এছাড়া বর্তমান হোস্টেলগুলো সংস্কারের জন্য ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে করবিনের দল।


 

img

নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ৩০ দল, মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ২৭৪১

প্রকাশিত :  ১৮:০৬, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:২৮, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

 অত্যাসন্ন ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তফশিল অনুযায়ী ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ২ হাজার ৭৪১ জন প্রার্থী। এই নির্বাচনে মোট ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। 

বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভোটের ৫২ দিন আগে গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। 

তফশিল অনুযায়ী, আজই (৩০ নভেম্বর) ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। 

রিটার্নিং অফিসে উপস্থিত হয়ে ২ হাজার ৭২০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আর ২১ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইসি জানিয়েছিল, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৩৯ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য ৩৬৯ জন নিবন্ধন করলেও শেষ দিনে (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২১ জন।