img

ব্রিটেনের নির্বাচন: নিশ্চিত বিজয়ী হচ্ছেন রুশনারা-আপসানা

প্রকাশিত :  ০৭:৫৭, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯

ব্রিটেনের নির্বাচন: নিশ্চিত বিজয়ী হচ্ছেন রুশনারা-আপসানা

জনমত ডেস্ক: দুই বাংলাদেশি অধ্যুষিত আসন  পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো এবং পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস। উভয় আসনেই সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুই প্রার্থী। এ দুইজন হচ্ছেন রুশনারা আলী এবং আপসানা বেগম। লেবার পার্টির মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ায় আগামী ১২ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তাদের জয় প্রায় নিশ্চিত বলা চলে।

বাংলাদেশি অধ্যুষিত এ দুই আসনকে লেবার পার্টির জন্য নিরাপদ ও নিশ্চিত বলে বিবেচনা করা হয়। দুই আসনের একটিতে গত তিনবার বিজয়ী হয়েছেন রুশনারা আলী। অপর আসনটিতে দলের একটি বড় অংশের বিরোধিতা মোকাবিলা করে মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন আপসানা বেগম।

২০১০ সাল থেকে বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনে টানা তিন মেয়াদে লেবার পার্টির মনোনয়নে নির্বাচিত হয়ে আসছেন রুশনারা আলী। ৪৪ বছরের এ রাজনীতিকের জন্ম সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ভুরকি গ্রামে। ছোটবেলায় মা-বাবার সঙ্গে লন্ডনে পাড়ি জমান তিনি।

২০১৫ সালের নির্বাচনে ৩২ হাজার ৩৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন রুশনারা আলী। মোট ভোটের ৬১ দশমিক ০২ শতাংশই পান তিনি। ২০১০ সালে তার পাওয়া ভোট থেকে এই সংখ্যা ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির ম্যাথু স্মিথ পান মোট ভোটের মাত্র ১৫ দশমিক ২ শতাংশ।

২০১৭ সালের নির্বাচনেও ভোট বাড়ে রুশনারার। ওই নির্বাচনে মোট ভোটের ৭১ দশমিক ৮ শতাংশ পান তিনি। ৪২ হাজার ৯৬৯ ভোটে নির্বাচিত হন রুশনারা। প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির চার্লটি চিরিকো পান সাত হাজার ৫৭৬ ভোট।

গত তিন নির্বাচনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রুশনারা আলীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন কোনও না কোনও বাংলাদেশি প্রার্থী। তবে এবারের নির্বাচনে সে রকম কোনও প্রার্থী না থাকায় তার ভোট আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।এবার রুশনারার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন কনজারভেটিভ পার্টির নিকোলাস স্টভোল্ড, লিবডেম থেকে জশ বাবারেন্দি, ব্রেক্সিট পার্টির ডেভিড এক্স ও গ্রিন পার্টির শাহরার আলী। গত রবিবার সর্বশেষ প্রচারণার সময় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন রুশনারা আলী।

রুশনারা আলীর পাশের আসনই হলো পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অধ্যুষিত এই আসনটি গত কয়েক দশক ধরেই লেবার পার্টির দখলে। ফলে এটিকে অনেকেই দলটির দুর্গ হিসেবে দেখে থাকেন। এবার প্রথমবারের মতো কোনও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী হিসেবে এই আসনে লেবার পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন আপসানা বেগম।

আপসানা বেগমের জন্ম ও বেড়ে ওঠা পপলার অ্যান্ড লাইমহাউসে। তিনি টাওয়ার হ্যামলেটসের সাবেক কাউন্সিলর ও মেয়র মনির উদ্দিন আহমদের মেয়ে। এছাড়া আপসানা বেগম লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও দলটির লন্ডন অঞ্চলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২০১০ সালে পপলার অ্যান্ড কেনিংটাউন আসনের নাম বদলে রাখা হয় পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস। এই আসনের বর্তমান এমপি লেবার পার্টির জিম ফিজ প্রেট্রিক। ১৯৯৭ সাল থেকেই নির্বাচিত হয়ে আসছেন তিনি।

২০১৫ সালের নির্বাচনের পর আর প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দেন বর্ষীয়ান এমপি জিম। তবে ২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোটের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ঘোষিত আগাম নির্বাচনে তার ওপরই ভরসা রাখে লেবার পার্টি। পুনরায় নির্বাচিত হন তিনি।

এবারের নির্বাচনে এই আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় লেবার পার্টি। সেক্ষেত্রে আপসানা বেগমের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর ও সোমালি বংশোদ্ভূত আমিনা আলী।

পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস আসনে লেবার পার্টির মনোনয়ন জেতা আপসানা বেগমের প্রতিদ্বন্দ্বীরা হচ্ছেন কনজারভেটিভ পার্টির সিউন ওক, লিবডেমের এন্ড্রু ক্রিগান, ব্রেক্সিট পার্টির ক্যাথেরিন কিউ, গ্রিন পার্টির ডেভিড জেমসন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এড এরলাম।

২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস আসনে লেবার পার্টির প্রার্থী পান মোট ভোটের ৫৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। ২০১৭ সালের নির্বাচনে দলটির প্রার্থী ৩৯ হাজার ৫৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। যা মোট ভোটের ৬৭ দশমিক তিন শতাংশ। দুই নির্বাচনেই ক্রমাগত কমে যায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির ভোট।

লেবার পার্টির প্রার্থী আপসানা বেগম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এই আসনের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে এখানকার মানুষের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নই তার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি।

হোয়াইট চ্যাপেল এলাকার লেবার পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন বলেন, এবার দল লন্ডনে চার জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে। এর বাইরে আরও দুইজন ব্রিটিশ বাংলাদেশিকে মনোনয়ন দিয়েছে কনজারভেটিভ ও লিবডেম। এদের মধ্যে যে দুইজন প্রার্থীর জয়ের নিশ্চয়তা দেওয়া যায় তারা হলেন রুশনারা আলী ও আপসানা বেহম।

img

নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ৩০ দল, মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ২৭৪১

প্রকাশিত :  ১৮:০৬, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:২৮, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

 অত্যাসন্ন ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তফশিল অনুযায়ী ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ২ হাজার ৭৪১ জন প্রার্থী। এই নির্বাচনে মোট ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। 

বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভোটের ৫২ দিন আগে গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। 

তফশিল অনুযায়ী, আজই (৩০ নভেম্বর) ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। 

রিটার্নিং অফিসে উপস্থিত হয়ে ২ হাজার ৭২০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আর ২১ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইসি জানিয়েছিল, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৩৯ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য ৩৬৯ জন নিবন্ধন করলেও শেষ দিনে (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২১ জন।