img

পরকীয়া অপরাধ নয় : ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট

প্রকাশিত :  ০৯:০৬, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 পরকীয়া অপরাধ নয় : ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট

জনমত ডেস্ক ।।  পরকীয়া অপরাধ নয় জানিয়ে এ সংক্রান্ত দেড়শ বছরের পুরনো একটি আইন বাতিল করে দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, পরকীয়া কোনও অপরাধ নয়। স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তি নয়। তাই যদি কোনও বিবাহিত মহিলা স্বেচ্ছায় পরকীয়ায় লিপ্ত হয়, তাহলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না। আজ বৃহস্পতিবার পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে রায় দেওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টের। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর বেঞ্চে ছিল রায়দান। পাঁচ জনের সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দেন। তাঁরা হলেন, আর এফ নিরিমন, এ এম খানউইলকর, ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও ইন্দু মালহোত্রা।

আদালতে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র বলেন, “যদি কোনও পুরুষ কোনও বিবাহিত মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে তাহলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না। তিনি আরও জানান, যে সব আইন ব্যক্তিগত মর্যাদায় আঘাত করে, মহিলাদের সমানাধিকারে বাধা দেয়, তা সাংবিধানিক হতে পারে না। কলকাতা থেকে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে এর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগস্ট মাসে এই মামলার শুনানি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, পরকীয়া সামাজিকভাবে অপরাধ। এর ফলে ওই ব্যক্তির সঙ্গী, সন্তান ও পরিবারের উপর প্রভাব পড়ে। তাদের ক্ষতি হয়। ভারতীয় সমাজে বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন। সেটি কোনওভাবেই খন্ডন করা উচিত নয়। তার উপর এমন আবেদনও জমা পড়েছিল, ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী পরকীয়ায় লিপ্ত হলে শুধু পুরুষেরই শাস্তি হবে। মহিলাদের কোনও শাস্তি হবে না। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আজ রায় দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। জানায়, ৪৯৭ ধারাটাই অবৈধ। যে কোনও সম্পর্ক ব্যক্তিবিশেষের উপর নির্ভর করে। পরকীয়াও তাই। এটি কোনও ফৌজদারি অপরাধ নয়। সমাজে নারী ও পুরুষের অধিকার সমান। ১৫৮ বছরের পুরনো একটি আইন আজকের যুগে বলবৎ করা যায় না। স্ত্রী কখনওই স্বামীর সম্পত্তি নয়। তাই স্বামী কখনওই স্ত্রীর উপর জোর খাটাতে পারে না। 

img

রাশিয়ায় সেতুর রেলিং ভেঙে পানিতে ডুবল বাস, নিহত অন্তত ৭

প্রকাশিত :  ০৫:৩৫, ১২ মে ২০২৪

রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেইন্ট পিটার্সবার্গে সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে বাসডুবির ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন। 

শনিবার সকালের দিকে ঘটেছে এই ঘটনা। রাশিয়ার জরুরি পরিষেবা দপ্তরের সেইন্ট পিটার্সবার্গ শাখা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাসটিতে চালকসহ যাত্রী ছিলেন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে ৯ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার এই ৯ জনের মধ্যে জীবিত ছিলেন মাত্র ২ জন।

পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, নদীতে পড়ার আগে অন্তত  কয়েক জন যাত্রীর বাসের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষার সুযোগ ছিল, কিন্তু সম্ভবত পরিস্থিতির আকস্মিকতায় তারা সবাই হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন।

পরে সিসিটিভি ফুটেজেও তার সাক্ষ্য মিলেছে। ফুটেজে দেখা গেছে রাস্তায় মোড় ঘোরার সময় বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন চালক। ওই অবস্থাতে বাসটি এলোমেলোভাবে কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে ব্রিজের দিকে যেতে থাকে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে পুরোপুরি ডুবে যায়।

বাসটি ডুবে যাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের ১৮টি বিশেষায়িত ইউনিটের ৬৯ জন কর্মী উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। তাদের তৎপরতার কারণেই ২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেতুটির নাম পোটসেলুয়েট ব্রিজ।

জীবিতের মধ্যে গাড়ির চালকও ছিলেন। উদ্ধারের পর তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা পুলিশ করেছে বলে জানিয়েছে আরটি।

আরেক রুশ সংবাদমাধ্যম গেজেটা ডট আরইউ জানিয়েছে, স্বাস্থ্যগত কারণে বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন চালক।


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর