img

ব্রেক্সিট নীতি: যুক্তরাজ্য থেক বেরিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি স্কটিশ নেতার

প্রকাশিত :  ০৭:৪৩, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯

ব্রেক্সিট নীতি: যুক্তরাজ্য থেক বেরিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি স্কটিশ নেতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ‘স্কটল্যান্ড তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের মধ্যেই বন্দি হয়ে থাকতে পারে না’ বলে মন্তব্য করেছেন স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার ও স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (এসএনপি) নেতা নিকোলা স্টারজেন।

 প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় একটি গণভোট অনুষ্ঠানের ক্ষমতা তাকে মঞ্জুর করতে জনসন যে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন, তাতে স্কটিশদের স্বাধীনতার জন্য সমর্থনই কেবল বাড়ছে।

যুক্তরাজ্যে সদ্য হয়ে যাওয়া সাধারণ নিরবাচনে স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (এসএনপি) সাফল্য স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে নতুন করে গণভোট করারই জনাদেশ বলে মন্তব্য করেছেন স্টারজেন।

বিবিসি’র এন্ড্রু মার শো’তে তিনি বলেন, “যুক্তরাজ্য অখন্ডভাবে একটি ইউনিয়ন হিসাবে থাকতে চাইলে সেটি কেবল সম্মতির ভিত্তিতেই হতে পারে।”

“যুক্তরাজ্য সরকার যদি মনে করে থাকে গণভোটকে না বলে দিলেই বিষয়টি এখানে থেমে যাবে তাহলে ভুল করবে। কারণ, এটি গণতন্ত্রের একটি মৌলিক বিষয়।আপনারা স্কটল্যান্ডকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইউনিয়নের ভেতর আটকে রাখতে পারেন না।”

যুক্তরাজ্যে গত বৃহস্পতিবারের ভোটে স্কটল্যন্ডে ভাল ফল করেছে এসএনপি। গোটা যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী জনসনের দল যত না ভোট পেয়েছে সে হিসাবে স্কটল্যান্ডে এসএনপি সেখানকার ভোটারদের ভোট পেয়েছে বেশি।

এসএনপি নেতা স্টারজেন বলেন, “স্কটিশ ভোটাররা টোরিদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ব্রেক্সিটকে না বলেছে। তাতে এটা পরিস্কার যে, আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ আমাদের হাতেই নিতে চাই। তবে যারা এসএনপি-কে ভোট দিয়েছেন তারা সবাই যে স্বাধীনতাকে সমর্থন করবেন তা আমি মনে করি না। কিন্তু এ প্রশ্নের ব্যাপারে আমি সিদ্ধান্ত দেওয়ার কেউ না, বরিস জনসনও সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। এটি স্কটল্যান্ডের জনগণের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।”

জনসন যুক্তরাজ্যের অখন্ডতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকলে স্কটল্যান্ডের ব্যাপারে স্কটিশদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়ার ক্ষেত্রেও তার যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন স্টারজেন।

তবে স্টারজেনের দাবির বিরোধিতা করেছেন যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা। ঊর্ধ্বতন ক্যাবিনেট মন্ত্রী মাইকেল গভ বলেছেন, স্কটিশদের ২০১৪ সালের গণভোটের ফলকে শ্রদ্ধা দেখানো উচিত।

২০১৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরে স্কটল্যান্ড স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠান করেছিল। স্বাধীনতার বিপক্ষে পড়েছিল ৫৫ শতাংশ এবং পক্ষে পড়েছিল ৪৪ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ, খুব কম ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল ‘না’ ভোট।

ব্রেক্সিট এর আরও খবর

img

অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি স্টেলার আহ্বান

প্রকাশিত :  ০৭:৩১, ০৭ জানুয়ারী ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লন্ডনের আদালতে উইকিলিকস-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তার জীবনসঙ্গী স্টেলা মরিস। বুধবার (৬ জানুয়ারি) অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ২০১৯ সালের এপ্রিলে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর। ওইদিনই তাকে জামিনের শর্ত ভঙ্গের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেন ব্রিটিশ আদালত। এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কম্পিউটার হ্যাক ও গুপ্তচর আইন লঙ্ঘনসহ ১৮টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সোমবার (৪ জানুয়ারি) লন্ডনের একটি আদালতে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণসংক্রান্ত মামলার রায় দেওয়া হয়। বলা হয়, তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হবে না। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই সপ্তাহের মধ্যে আইনি যুক্তি উপস্থাপনের কথা জানিয়েছে তারা।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) অ্যাসাঞ্জের জামিন আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দেন তার জীবনসঙ্গী স্টেলা মরিস। জামিন খারিজ হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি প্রচণ্ড হতাশার। জুলিয়ানের বেলমার্শ কারাগারে থাকা ঠিক হবে না। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য আমি আইন বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকেও আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা জুলিয়ানকে ক্ষমা করে দেয়।’

এর আগে গত এপ্রিলেও অ্যাসাঞ্জের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন স্টেলা মরিস। জামিন আবেদনের সঙ্গে দেওয়া এক বিবৃতিতে কীভাবে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছিল তাও প্রকাশ করেছিলেন এ আইন গবেষক। মরিস জানান, অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে তার দেখা হয় ২০১১ সালে। তখন তাকে সুইডিশ আইন তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করতে বলা হয়েছিল। মরিস বিবৃতিতে লিখেছিলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জুলিয়ান ও আমার মধ্যে ভালো রকমের বুদ্ধিভিত্তিক ও আবেগী বন্ধন গড়ে ওঠে। আমরা একে অপরের সেরা বন্ধুতে পরিণত হই।’

প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বন্ধুত্ব জোরালো হতে থাকে উল্লেখ করে মরিস জানান, তাদের দুই জনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে ২০১৫ সাল থেকে। লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে থাকার সময় তাদের দুটি সন্তানও হয়। তাদের একজনের নাম গ্যাব্রিয়েল, অপরজনের নাম ম্যাক্স। অ্যাসাঞ্জ যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা থেকে সন্তানদের আড়াল রাখতে চেয়েছিলেন বলে তখন জানান এ আইন বিশেষজ্ঞ।

ব্রেক্সিট এর আরও খবর