img

পাস হল ব্রেক্সিট বিল : ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ ৩১শে জানুয়ারি

প্রকাশিত :  ০৬:২২, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

পাস হল ব্রেক্সিট বিল : ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ ৩১শে জানুয়ারি

জনমত ডেস্ক : অাসছে ৩১শে জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে শুক্রবার এজন্যে আনা বিলটি বড় ভোটের ব্যবধানে পাস করেছেন এমপিরা।

\r\n

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে প্রত্যাহার বিলটির পক্ষে পার্লামেন্টে ভোট দেন ৩৫৮ জন। বিপক্ষে ভোট পড়ে ২৩৪টি।

\r\n

তবে এই বিলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত যে অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, সেটি কোনভাবেই ২০২০ সালের বেশি বাড়ানো যাবে না বলে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।

\r\n

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ‘ব্রেক্সিট কার্যকর করার পথে ব্রিটেন এখন আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।’

\r\n

বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বিলটির বিপক্ষে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার দলেরই ছয় জন এমপি তা অমান্য করে বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

\r\n

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আশা করছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি ২০২০ সালের মধ্যেই করা সম্ভব। তবে সমালোচকরা এই সময়সীমাকে অবাস্তব বলে বর্ণনা করেছেন।

\r\n

কনসারভেটিভ পার্টি এ মাসের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর সহজেই এই বিলটি পাশ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

\r\n

সরকার বলছে, এই বিলটিকে ৩১শে জানুয়ারির আগেই তারা আইনে পরিণত করবেন।

\r\n


\r\n

ব্রেক্সিট কী?

\r\n

‘ব্রিটিশ এক্সিট’ নামটিকে সংক্ষেপে ডাকা হচ্ছে ব্রেক্সিট নামে। এটি হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাবার প্রক্রিয়া।

\r\n


\r\n

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কী?

\r\n

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) হচ্ছে ২৮টি দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক জোট। এই জোটের সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করে থাকে, এসব দেশের নাগরিকরা জোটভুক্ত যেকোন দেশে গিয়ে থাকতে ও কাজ করতে পারেন। (সদস্যদেশগুলোর নামের তালিকা এখানে দেখতে পারেন)

\r\n


\r\n

১৯৭৩ সালে যুক্তরাজ্য ইইউতে যোগ দেয়। তখন এটির নাম ছিল – ইইসি ( ইউরোপিয়ান ইকনোমিক কম্যুনিটি)।

\r\n


\r\n

ইইউ ছাড়ছে কেন যুক্তরাজ্য?

\r\n


\r\n

৪০ বছরের বেশি সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে থাকার পর ২০১৬ সালের ২৩শে জুন একটি গণভোট নিয়েছিল যুক্তরাজ্য। সেখানে সেদেশের নাগরিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল – যুক্তরাজ্যের কি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে থাকা উচিত নাকি উচিত না?

\r\n


\r\n

৫২ শতাংশ ভোট পড়েছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে,আর থাকার পক্ষে ছিল বাকি ৪৮ শতাংশ ভোট। কিন্তু সেই ভোটের ফলাফলের সাথে সাথেই ব্রেক্সিট হয়ে যায়নি। এই বিচ্ছেদ ঘটবে আগামী ৩১শে জানুয়ারি।

\r\n


ব্রেক্সিট এর আরও খবর

img

অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি স্টেলার আহ্বান

প্রকাশিত :  ০৭:৩১, ০৭ জানুয়ারী ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লন্ডনের আদালতে উইকিলিকস-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তার জীবনসঙ্গী স্টেলা মরিস। বুধবার (৬ জানুয়ারি) অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ২০১৯ সালের এপ্রিলে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর। ওইদিনই তাকে জামিনের শর্ত ভঙ্গের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেন ব্রিটিশ আদালত। এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কম্পিউটার হ্যাক ও গুপ্তচর আইন লঙ্ঘনসহ ১৮টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সোমবার (৪ জানুয়ারি) লন্ডনের একটি আদালতে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণসংক্রান্ত মামলার রায় দেওয়া হয়। বলা হয়, তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হবে না। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই সপ্তাহের মধ্যে আইনি যুক্তি উপস্থাপনের কথা জানিয়েছে তারা।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) অ্যাসাঞ্জের জামিন আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দেন তার জীবনসঙ্গী স্টেলা মরিস। জামিন খারিজ হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি প্রচণ্ড হতাশার। জুলিয়ানের বেলমার্শ কারাগারে থাকা ঠিক হবে না। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য আমি আইন বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকেও আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা জুলিয়ানকে ক্ষমা করে দেয়।’

এর আগে গত এপ্রিলেও অ্যাসাঞ্জের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন স্টেলা মরিস। জামিন আবেদনের সঙ্গে দেওয়া এক বিবৃতিতে কীভাবে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছিল তাও প্রকাশ করেছিলেন এ আইন গবেষক। মরিস জানান, অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে তার দেখা হয় ২০১১ সালে। তখন তাকে সুইডিশ আইন তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করতে বলা হয়েছিল। মরিস বিবৃতিতে লিখেছিলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জুলিয়ান ও আমার মধ্যে ভালো রকমের বুদ্ধিভিত্তিক ও আবেগী বন্ধন গড়ে ওঠে। আমরা একে অপরের সেরা বন্ধুতে পরিণত হই।’

প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বন্ধুত্ব জোরালো হতে থাকে উল্লেখ করে মরিস জানান, তাদের দুই জনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে ২০১৫ সাল থেকে। লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে থাকার সময় তাদের দুটি সন্তানও হয়। তাদের একজনের নাম গ্যাব্রিয়েল, অপরজনের নাম ম্যাক্স। অ্যাসাঞ্জ যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা থেকে সন্তানদের আড়াল রাখতে চেয়েছিলেন বলে তখন জানান এ আইন বিশেষজ্ঞ।

ব্রেক্সিট এর আরও খবর