শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্মদিনে গুগল ডুডল

প্রকাশিত :  ০৭:৩৯, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্মদিনে গুগল ডুডল

জনমত ডেস্ক: আজ রবিবার ২৯ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী।দিবসটি উপলক্ষে বিশ্বখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগল বিশেষ ডুডল প্রকাশ করেছে। জয়নুল আবেদিন ছিলেন ইনস্টিটিউট অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফ্টস প্রতিষ্ঠাতা, যার মাধ্যমে বাংলাদেশে আধুনিক শিল্প আন্দোলনের গোড়াপত্তন ঘটে।

গুগলে প্রবেশ করলেই আজ দেখা যাচ্ছে বিশেষ এ ডুডলটি। এতে গুগলের বিভিন্ন অক্ষরগুলোকে সাজানো হয়েছে বিশেষভাবে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের চিত্রশিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন নিজেই গুগল শব্দটি লিখছেন। পাশে একজন রসের হাড়ি নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন।

১৯১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন জয়নুল আবেদিন। তার বিখ্যাত চিত্রকর্মের মধ্যে রয়েছে দুর্ভিক্ষ-চিত্রমালা, সাঁওতাল রমণী, সংগ্রাম, কাক, ঝড়, বিদ্রোহী ইত্যাদি। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে গ্রামবাংলার উৎসব নিয়ে তিনি আঁকেন ৬৫ ফুট দীর্ঘ ছবি ‘নবান্ন। এছাড়া, ১৯৪৩ সালে তিনি এঁকেছেন দুর্ভিক্ষ চিত্রমালা। ধারণা করা হয়, সবমিলিয়ে শিল্পাচার্যের চিত্রকর্মের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার।

বিশেষ দিন এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে অনেক দিন থেকেই গুগল সার্চের মূল পাতায় ডুডল প্রকাশ করে আসছে গুগল। আগেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,  প্রখ্যাত স্থপতি ও পুরোকৌশলী এফ আর খান, জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনসহ বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য দিনে ডুডল প্রকাশ করেছিল গুগল। এছাড়া, গত বছর ৮ মার্চ নারী দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত বিশেষ ডুডলে বাংলা ভাষায় ‌\'নারী\' শব্দটি যোগ করেছিল গুগল।

বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে গুগলের ((www.google.com) গেলে কিংবা সরাসরি (www.google.com.bd)  ঠিকানায় ঢুকলে চোখে পড়বে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনকে নিয়ে করা ডুডলটি।

উল্লেখ্য, বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ ও ঐতিহাসিক দিনকে স্মরণ করার জন্য গুগল তাদের হোমপেজে  বিশেষ দিনের মানানসই লোগো তৈরি থাকে, যাকে ডুডল বলা হয়।

ডিপফেক ভিডিও থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে

প্রকাশিত :  ১০:১৪, ২৮ মার্চ ২০২৪

বিজ্ঞানের উৎকর্ষকালে প্রযুক্তি যেমন মানুষের উপকার করছে, তেমনি কিছু প্রযুক্তি মানুষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি প্রযুক্তি হলো ডিপফেক প্রযুক্তি বা ডিপফেক ইন্টেলিজেন্সি।

অনেকে ডিপফেক এআইকে একুশ শতকের ফটোশপিং বলে থাকে। সহজ ভাষায় ডিপফেক হলো এআই নির্ভর এমন এক প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে যেকোনো ভিডিও, ছবি এবং অডিও রেকর্ডিংয়ে বিশ্বাসযোগ্যভাবে মানুষের মুখমণ্ডল বা কণ্ঠস্বর নকল করা যায়।

দিন দিন বাড়ছে ডিপফেক প্রযুক্তির অপব্যবহারের সংখ্যা। প্রথম প্রথম বিশ্বের নামকরা সেলিব্রিটি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ডিপফেক ইন্টেলিজেন্সি দিয়ে তৈরি নকল ভিডিও দ্বারা হেনস্তার শিকার হন।

ডিপফেক প্রযুক্তি থেকে নিজের ডেটার সুরক্ষার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যায়। সেগুলো উঠে এসেছে এনডিটিভির প্রতিবেদনে। 

১. যতদূর সম্ভব নিজের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোনো পাবলিক প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। এসব প্ল্যাটফর্মে প্রাইভেসি সেটিংসগুলো সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। 

২. শক্তিশালী ও অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অনলাইন অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। ফলে ছবি ও ভিডিওগুলোয় অননুমোদিত অ্যাকসেস লাভ করা হ্যাকারদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে এবং ডিপফেক প্রযুক্তি দিয়ে নিজের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের সম্ভাবনা কমে যায়। 

৩. কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডেটা ও ছবি চুরি করতে পারে। এসব ডেটা ও ছবি দিয়ে ডিপফেক কনটেন্ট তৈরি করে হ্যাকাররা। এজন্য কম্পিউটারে ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিত। এভাবে ব্যক্তিগত মিডিয়াতে ক্ষতিকারক টুলগুলোর অ্যাকসেস পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

৪. ডিপফেক কনটেন্টের সাধারণ লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। যদি কোনো ভিডিও, ছবি ও কণ্ঠ খুবই নিখুঁত বা অবাস্তব বলে মনে হয় তবে এটি শেয়ার করা বা বিশ্বাস করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার মাধ্যমে এ ধরনের কারসাজি ভিডিও শনাক্ত করা যাবে। 

৫. নিজের ছবি ও ভিডিওতে জলছাপ বা ওয়াটারমার্ক যুক্ত করুন। এসব ওয়াটারমার্ক অনেক সময় সম্পূর্ণ মুছে ফেলা যায় না। আর সম্পূর্ণ মুছে ফেলার সময় ছবি ও ভিডিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে এসব ছবি ও ভিডিও দিয়ে ডিপফেক তৈরি কঠিন হয়ে পড়ে। জলছাপ একটি অতিরিক্ত সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে।

৬. নিজের ফাইলগুলোয় মেটাডেটা সঠিকভাবে এম্বেড করা হয়েছে নাকি তা নিশ্চিত করতে হবে। মেটাডেটা হলো ফাইল সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক তথ্য। যেমন- কে তৈরি করেছে, কবে তৈরি করা হয়, কোথায় তৈরি হয়েছে, কবে এডিট করা হয়েছে, টাইটেল ইত্যাদি। মিডিয়া ফাইল ব্যবহার নিয়ে বিরোধ বা দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রে এটি মালিকানার প্রমাণ হিসেবে কাজ করতে পারে। 

তবে এসব পদ্ধতি নিজের ডেটা সুরক্ষা দেবে তার শতভাগ নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না।