img

পূর্ব লন্ডনে এমপি আবু জাহির সংবর্ধিত

প্রকাশিত :  ১৯:২২, ৩১ জুলাই ২০১৮

পূর্ব লন্ডনে এমপি আবু জাহির সংবর্ধিত
জনমত রিপোর্ট ।। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছেন, তার নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতার স্থপতির নামে আমাদের হবিগঞ্জে নেই কোন স্থাপনা, তাই তার ঋন শোধ করতে তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নামে হবিগঞ্জে হবিগঞ্জ বাসীর পক্ষে ‘‘ হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ করেছি’’। আপনাদের ভালবাসা থাকলে হবিগঞ্জ বাসীর জন্যে আরো অনেক কিছুই করতে পারবো। এমন্ত্যব্য বিদ্যুৎ জ্বালানী খনিজ সম্পদ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য, হবিগঞ্জ-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এভোকেট আবু জাহিরের।\r\n\r\nতিনি বলেন বাংলাদেশের অনেক জেলায় মেডিকেল কলেজ নেই শেখ হানিসা আমাদের মেডিকেল কলেজ দিয়েছেন। হবিগঞ্জ সরকারী কলেজে কয়েকটি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করেছি। জেলায় ৮টিরও বেশী কলেজ এবং কয়েকটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্টা করেছি। সায়েস্থাগঞ্জকে উপজেলায় উন্নীত করেছি, চালু করেছি বাল্লা স্থলবন্দর। এসবের কোনটিই আমার নির্বাচনী অঙ্গিকার ছিলনা। আমি আওয়ামীলীগের একজন কর্মী নেতৃ আমাকে নমিনেশন দিলে হবিগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হবে, এর প্রক্রিয়া শুরু হয়েগেছে।\r\n\r\nগতকাল ৩০ জুলাই সোমবার বিকেল ইষ্টলন্ডনের সিটি আরবার হোটেলে বৃটেনে বসবাসরত সর্বস্থরের হবিগঞ্জবাসীর দেয়া সম্বর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব আবু জাহির এমপি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয়। বৃটেন সহ কয়েকটি দেশ বাদে বিশ্বের অনেক দেশেই বিধবা ভাতা নেই। শেখ হাসিনার সরকার দেশে বিধবাভাতা, বয়স্কভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, মু্িক্তযোদ্ধা ভাতা সহ শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করছে। দেশে বেকার ভাতা চালু করা হবে। এই সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। তিনি বলেন আমাদের সিলেট বিভাগে দুটি ইকনমিক জোন করেদিয়েছেন জনন্ত্রেী শেখ হাসিনা একটি হবিগঞ্জে অন্যটি সিলেট বিভাগের মধ্যবর্তি শেরপুরে। তিনি দেশে প্রবাসীদের বিনিয়াগ করার আহবান জানান।\r\n\r\nবিশিষ্ট দেওয়ান আব্দুর রবের এক প্রশ্নের জবাবে এমপি আবু জাহির বলেন যেহেতু হবিগঞ্জে গড়ে উঠেছে শিল্পাঞ্চল তাই সায়েস্থাগঞ্জে একটি রেলওয়ে কার্গো কনটেইনার সারবার ষ্টেশন চালু করতে তিনি উদ্যোগ নেবেন। বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব নেহার মিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুক্তরাজ্য যবলীগের সহসভাপতি চৌধুরী ফয়েজুর রহমান মোস্তাক এডভোকেট, যুবনেতা অজিত লাল দাস ও শাহজাহান কবীরের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্বর্ধনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, যুদ্ধাপরাধ বিচার মঞ্চ যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি সাংবাদিক গবেষক মতিয়ার চৌধুরী, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও কলামিষ্ট আব্দুল মুকিত চৌধুরী।\r\n\r\nসভায় বক্তব্য রাখেন গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের সাবেক সেক্রেটারী সৈয়দ কাইউম কায়ছার, সাবেবক ছাত্র নেতা নুরুদ্দিন চৌধুরী বুলবুল,তাহির আলী, সাংবাদিক ওলিউর রহমান, যুক্তরাজ্য যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জামাল খান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন, গোয়াজ আলী খান, আবুল কালাম আজাদ ছেটন, এডভোকেট মোমিন আলী, ইয়োথ কাউন্সিলার সুমাইয়া শাহ প্রমুখ। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওত করেন নজরুল ইসলাম। হবিগঞ্জ জেলাবাসীর পক্ষ থেকে অতিথিকে ফুল দিয়ে বরন করেন মারুফ চৌধুরী, হিফজুর রহমান চৌধুরী, শাহ সহিদ আলী, ও চুনারুঘাট এসোসিয়েশনের গাজীউর রহমান প্রমুখ। হবিগঞ্জ ইয়োথ এসোসিয়েশন ইউকের নেতৃবৃন্দ, গ্রেটার লন্ডন নবীগঞ্জ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকের পক্ষে তুহিন চৌধুরী।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.২২ শতাংশ

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৯, ১৩ মে ২০২৪

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার সব চেষ্টার মধ্যেও গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। এর আগের মাসে অর্থাৎ, মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সাত বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। হালনাগাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে, গত এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মার্চে এটি ছিল নয় দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এপ্রিল মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ দিকে গত এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে; আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর, যা ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ


কমিউনিটি এর আরও খবর