img

আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রেক্সিট সম্পন্ন: ইইউ ছাড়ল ব্রিটেন

প্রকাশিত :  ০৫:৪৩, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২০

আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রেক্সিট সম্পন্ন: ইইউ ছাড়ল ব্রিটেন

জনমত ডেস্ক: অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়েছে যুক্তরাজ্য। এর মাধ্যমে ইইউ থেকে দেশটির ৪৭ বছরের সদস্যপদের সমাপ্তি ঘটল। গত ৩ বছর ধরে ব্রেক্সিট কার্যকরের চেষ্টা চালিয়ে আসছে যুক্তরাজ্য। অবশেষে সফল হলো তারা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে যায় যুক্তরাজ্য। ঐতিহাসিক এই মুহূর্তে অনেকেই আনন্দ প্রকাশ করেন। আবার একটি অংশ এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভও করেছে।

ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ায় বা ইইউ থেকে যুক্তরাজ্য সরে আসায় উল্লাস প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি দেশকে একসঙ্গে ‘এগিয়ে নেওয়ার’ ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হওয়ার এক ঘণ্টা আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক মানুষের জন্য এটি একটি বিস্ময়কর আশাব্যঞ্জক মুহূর্ত। একটা সময় তারা ভেবেছিল, এটি কখনোই কার্যকর হবে না। অবশ্য কিছু মানুষ আছেন যারা ব্রেক্সিট কার্যকরের কারণে খুব হতাশ হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, তৃতীয় আরেকটি গ্রুপ রয়েছে যারা উদ্বেগে রয়েছেন যে, চলমান রাজনৈতিক বিবাদ শেষ হবে না। আমি সব অনুভূতিই বুঝতে পারছি এবং সরকার হিসেবে আমার ও আমাদের কাজ হলো সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া।

ইইউ থেকে বের হয়ে আসাকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ‘সত্যিকারের জাতীয় নতুনত্ব ও পরিবর্তন’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আজ রাতে সবচেয়ে গুরুত্বের সঙ্গে যেটি বলতে চাই তা হলো- এটা শেষ নয়, শুরু।

ব্রেক্সিট এর আরও খবর

img

অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি স্টেলার আহ্বান

প্রকাশিত :  ০৭:৩১, ০৭ জানুয়ারী ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লন্ডনের আদালতে উইকিলিকস-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তার জীবনসঙ্গী স্টেলা মরিস। বুধবার (৬ জানুয়ারি) অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ২০১৯ সালের এপ্রিলে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর। ওইদিনই তাকে জামিনের শর্ত ভঙ্গের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেন ব্রিটিশ আদালত। এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কম্পিউটার হ্যাক ও গুপ্তচর আইন লঙ্ঘনসহ ১৮টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সোমবার (৪ জানুয়ারি) লন্ডনের একটি আদালতে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণসংক্রান্ত মামলার রায় দেওয়া হয়। বলা হয়, তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হবে না। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই সপ্তাহের মধ্যে আইনি যুক্তি উপস্থাপনের কথা জানিয়েছে তারা।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) অ্যাসাঞ্জের জামিন আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দেন তার জীবনসঙ্গী স্টেলা মরিস। জামিন খারিজ হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি প্রচণ্ড হতাশার। জুলিয়ানের বেলমার্শ কারাগারে থাকা ঠিক হবে না। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য আমি আইন বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকেও আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা জুলিয়ানকে ক্ষমা করে দেয়।’

এর আগে গত এপ্রিলেও অ্যাসাঞ্জের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন স্টেলা মরিস। জামিন আবেদনের সঙ্গে দেওয়া এক বিবৃতিতে কীভাবে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছিল তাও প্রকাশ করেছিলেন এ আইন গবেষক। মরিস জানান, অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে তার দেখা হয় ২০১১ সালে। তখন তাকে সুইডিশ আইন তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করতে বলা হয়েছিল। মরিস বিবৃতিতে লিখেছিলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জুলিয়ান ও আমার মধ্যে ভালো রকমের বুদ্ধিভিত্তিক ও আবেগী বন্ধন গড়ে ওঠে। আমরা একে অপরের সেরা বন্ধুতে পরিণত হই।’

প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বন্ধুত্ব জোরালো হতে থাকে উল্লেখ করে মরিস জানান, তাদের দুই জনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে ২০১৫ সাল থেকে। লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে থাকার সময় তাদের দুটি সন্তানও হয়। তাদের একজনের নাম গ্যাব্রিয়েল, অপরজনের নাম ম্যাক্স। অ্যাসাঞ্জ যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা থেকে সন্তানদের আড়াল রাখতে চেয়েছিলেন বলে তখন জানান এ আইন বিশেষজ্ঞ।

ব্রেক্সিট এর আরও খবর