img

ওসমানীতে বিমানের জরুরি অবতরণ, চাকায় ত্রুটি

প্রকাশিত :  ১৮:০২, ০৩ অক্টোবর ২০১৮
সর্বশেষ আপডেট: ২০:২০, ০৩ অক্টোবর ২০১৮

 ওসমানীতে বিমানের জরুরি অবতরণ, চাকায় ত্রুটি

জনমত রিপোর্ট ।। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে  জরুরি অবতরণ করলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট (বিজি-৬০১)। বুধবার বিকেল ৪টা ২০মিনিটে ঢাকা থেকে আসা ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রানওয়েতে।

ঢাকা থেকে ৬৫ জন যাত্রী নিয়ে সিলেটে আসা ফ্লাইটটি আকাশে থাকাবস্থায় যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়টি ধরা পড়ে। তখন পাইলট বিষয়টি যাত্রীদের অবহিত করলে কিছুটা আতঙ্ক তৈরি হয়। যাত্রীদের কেউ কেউ তখন কান্নায় ভেঙে পড়েন বলে জানিয়েছেন ওই ফ্লাইটে থাকা একজন যাত্রী।

তিনি আরো বলেন, ‘ফ্লাইট অবতরণের সময় চারপাশে দমকল বাহিনীর গাড়ি, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত থাকতে দেখেছি।’

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, উড়োজাহাজটি ল্যান্ডিংয়ের সময় ডান পাশের চাকায় সমস্যা দেখা দেয়। প্রথম চেষ্টায় অবতরণ করতে পারেনি। পরে দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করে। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে বিমানের সহকারী স্টেশন ম্যানেজার ওমর হায়াত বলেন, ‘বিমানের চাকায় সামান্য সমস্যা হয়েছিল। কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই ফ্লাইট অবতরণ করেছে’।

 

img

ভারতে অ্যাপলের কর্মীদের জন্য ৭৮ হাজার বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা

প্রকাশিত :  ০৭:১৩, ০৯ এপ্রিল ২০২৪

ভারতে কর্মীদের জন্য ৭৮ হাজার বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করছে শিল্প প্রতিষ্ঠানটি অ্যাপল। গেল দুই-তিন বছরে ভারতে এক লাখ ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করেছে অ্যাপল। এবার ভারতে মার্কিন এই টেক জায়ান্ট চীন ও ভিয়েতনামের মতো একটি শিল্প হাউজিং মডেল গ্রহণ করার পরিকল্পনা করছে। এই মডেল অনুযায়ী কারখানায় কর্মরত কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা দেবে প্রতিষ্ঠানটি।

ইকোনমিক্স টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যাপলের নির্মাতা এবং সরবরাহকারী যেমন ফক্সকন, টাটা ও সালকম্পের কর্মীদের জন্য বাড়ি তৈরি করার পরিকল্পনা করছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব বাড়ি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে নির্মিত হবে। প্রকল্পের অধীনে ৭৮ হাজারের বেশি ইউনিট তৈরি করা হবে। এর মধ্যে সর্বাধিক প্রায় ৫৮ হাজার ইউনিট তামিলনাড়ুতে তৈরি করা হবে। বেশিরভাগ হাউজিং ইউনিট তামিলনাড়ু স্টেট ইন্ডাস্ট্রিজ প্রমোশন কর্পোরেশন দ্বারা নির্মিত হচ্ছে। এমনকি টাটা গ্রুপ ও এসপিআর ইন্ডিয়াও বাড়ি তৈরি করছে। প্রকল্পের অংশ হিসেবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তহবিলের ১০-১৫ শতাংশ প্রদান করবে এবং অবশিষ্ট তহবিল রাজ্য সরকার ও ব্যবসা থেকে আসবে।

কর্মকর্তারা বলেছেন, নির্মাণ ও বেসরকারি খাতে হস্তান্তর ২০২৫ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ হবে।

বিষয়টি নিয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, বড় মাপের কর্মচারী আবাসনের লক্ষ্য হলো দক্ষতা উন্নত করা এবং প্রধানত অভিবাসী নারী কর্মীদের নিরাপত্তা প্রদান করা। এই কর্মচারীদের বেশির ভাগের বয়স ১৯-২৪ বছরের মধ্যে।

তিনি বলেন,  কর্মচারীদের জন্য, বিশেষ করে নারী কর্মীদের জন্য এত বড় আবাসন প্রকল্প ভারতে প্রথম।

ওই কর্মকর্তা বলেন, বেশিরভাগ শ্রমিক ভাড়া বাড়িতে থাকেন এবং কারখানায় পৌঁছাতে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসে করে যেতে হয়। অনেক নারী কর্মচারী সংস্থাতে কাজ করেন, যার ফলে দূরত্ব নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যাও তৈরি করে।

জানা গেছে, ফক্সকন ভারতে অ্যাপলের বৃহত্তম আইফোন সরবরাহকারী, এই ইউনিটের জন্য তারা প্রায় ৩৫ হাজার বাড়ি ব্যবহার করবে। বর্তমানে ৪১ হাজার কর্মচারী নিয়োগ করেছে ফক্সকন, যাদের ৭৫ শতাংশ নারী। তাদের কার্যালয় তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে। একই সময়ে টাটা ইলেকট্রনিক্স তাদেরর হোসুর কারখানায় কর্মীদের জন্য ১১ হাজার ৫০০ ইউনিট তৈরি করছে। টাটা মূলত ভারতে ব্যবহার ও রপ্তানির জন্য আইফোন তৈরি করে।