img

অনবরত অনলাইন শপিং করা মানসিক রোগের লক্ষণ

প্রকাশিত :  ০৭:৩৫, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০

অনবরত অনলাইন শপিং করা মানসিক রোগের লক্ষণ

জনমত ডেস্ক: জীবনকে আরও কিছুটা সহজ করে দিয়েছে অনলাইন কেনাকাটা। এতে সময় যেমন বাঁচে, তেমনি বাঁচে পরিশ্রমও। পছন্দের জিনিস এখন ঘরে বসেই পাওয়া যায় অনলাইন কেনাকাটার বদৌলতে। ব্যস্ততায় থাকা মানুষগুলোর জন্য তাই এটি আশীর্বাদস্বরূপ। 

কিন্তু কিছু মানুষ রয়েছেন যারা সারাক্ষণই অনলাইন থেকে কিছু না কিছু কেনার চেষ্টায় থাকেন। জামা, জুতো থেকে শুরু করে অপ্রয়োজনীয় অনেক জিনিসও স্বভাববশত কিনে ফেলেন তারা। এমনকি হাতের কাছেই পাওয়া যায় এমন জিনিস কিনতেও ভরসা রাখেন অনলাইন কেনাকাটায়। 

ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, যারা মাত্রাতিরিক্ত কেনাকাটা করেন তারা আসলে মানসিক বিকারগ্রস্ত, ডিপ্রেশনের শিকার। আর তাই নিজেদের অজান্তেই কেনাকাটা করেন তারা। এই মানসিক সমস্যাটিকে বলা হচ্ছে \'বাইং শপিং ডিসঅর্ডার\' (BSD) 

১২২ জনের ওপর চালানো হয়েছিল জরিপ। এরা সবসময় অনলাইন কেনাকাটায় মত্ত। প্রতি সপ্তাহেই তাদের নতুন কিছু না কিছু কেনা চাই। এটি আর কিছু নয় বরং এক ধরনের মানসিক ব্যাধি। মূলত জীবনের কোথাও গিয়ে তারা বড্ড একা। আর তাই কেনাকাটা, সাজগোজ, বাড়ি সাজানো— এসব কাজের মধ্যে দিয়ে নিজেদের মন ব্যস্ত রাখেন।   

নিজেদের এই মানসিক সমস্যার কথা তারা নিজেরা টের পান না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শুরুতে সামাল দিতে না পারলে এই পরিস্থিতি অন্য দিকে আগায়। আর তাই সর্বক্ষণ কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকেন এমন মানুষদের অবিলম্বে কাউন্সেলিং করানো উচিত। 

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এই বিষয়ে পরিবারের সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কাছের আত্মীয় ও বন্ধুদের বোঝাতে হবে যে তিনি যা করছেন ঠিক করছেন না। কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপির মধ্যে দিয়ে গেলে এই সমস্যা অনেকাংশে সেরে যায়। 

কেনাকাটা কমাতে প্রয়োজনে মোবাইল থেকে কিছু অ্যাপস আনস্টল করে দিন। যেই অর্থ দিয়ে অপ্রয়োজনীয় পোশাক কিংবা প্রসাধনী কিনছেন তা সঞ্চয় করুন পরবর্তী সময়ের জন্য। 

img

গরমে সুস্থ থাকতে কী খাবেন, কী খাবেন না

প্রকাশিত :  ১৩:২২, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

তীব্র গরমে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে শরীরে অস্বস্তি, ক্লান্তির মত একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। তাই শরীর হাইড্রেটেড রাখতে আপনাকে খেতে হবে পানি ও পানিযুক্ত খাবার।

গরমে কী ধরনের খাবার আমাদের শরীরের জন্য ভালো সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রাভা হেলথের ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের পুষ্টিবিদ নূর-ই-জান্নাত ফাতেমা বেশ কিছু খাবারের কথা উল্লেখ করেছেন, যা শরীরকে এই গরমেও রাখবে সুস্থ।

সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।

পানি

পূর্ণবয়স্ক একজন নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার, পূর্ণবয়স্ক একজন পুরুষের ৩-৩.৫ লিটার বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করেই পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কার্যকর। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করবে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে।

সবজি

কাঁচা পেঁপে, পটল, ধুন্দল, শসা, চিভিঙ্গা, গাজর, লাউ, পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। 

তাছাড়া পাতলা করে রান্না করা টক ডাল, সজনে ডাল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। যাদের ইউরিক এসিড বেড়ে যায় তারা এ সময় ঢেঁড়স, বেগুন এড়িয়ে চলুন। 

মৌসুমি ফল

কাঁচা আম খুবই ভালো পানিশূন্যতা দূর করার জন্য। কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এ ছাড়া ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে,  যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।

তরমুজ শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে শরীরের জন্য দরকার।

বাঙ্গি একটি খুবই পুষ্টিকর একটি ফল, যা খুবই সহজলভ্য এবং দামেও তুলনামূলক সস্তা। শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গির তুলনা নেই।

আখের রস

আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে বিট লবণ, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বাড়ে, পুষ্টিগুণও বাড়ে।

বেলের শরবত

বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম  ও ফাইবার।

পুদিনার শরবত

শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে এবং সতেজ অনুভূতির জন্য পুদিনার শরবত অতুলনীয়।

জিরা পানি

নোনতা স্বাদযুক্ত এই পানীয় হজমে সাহায্য করে।তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবতে আলাদা করে চিনি বা মধু অ্যাড করবেন না।

যা খাবেন না

অনেক কার্বনেটেড বেভারেজ আমরা গরমের সময় প্রচুর খেয়ে থাকি,যা ঠিক না। এই পানীয়গুলো শরীরকে সাময়িক চাঙা করলেও এর কোনো পুষ্টিগুণ নেই, বরং শরীরকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝাল, বাইরের খোলা শরবত, বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া এ সময় যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। পাতলা ঝোল ঝোল খাবার খাওয়া এ সময় সবচেয়ে ভালো।