img

ফোনকে জীবাণুমুক্ত রাখাবেন যেভাবে

প্রকাশিত :  ০৯:১৫, ০৭ মার্চ ২০২০

ফোনকে জীবাণুমুক্ত রাখাবেন যেভাবে

জনমত ডেস্ক: আজকাল আমাদের মোবাইল ফোন ছাড়া চলেই না। আমাদের জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই মোবাইল ফোন। কিন্তু এই ফোনে বেঁচে থাকে ১৭ হাজারেরও বেশি ধরনের জীবাণু । 

এক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যবহারকারীরা দৈনিক গড়ে ৬৭ বার মোবাইল ফোন হাতে নেন। আর এই ফোনে টয়লেট সিটের চেয়েও ১০ গুণ বেশি জীবাণু থাকে।  

অ্যাপল ও গুগল তাদের সাপোর্ট পেজে ফোনকে জীবাণুমুক্ত রাখার গাইডলাইন দিয়েছে। অ্যাপল উষ্ণ পানিতে একটি শুকনো পরিষ্কার তোয়ালে ভিজিয়ে ফোনের ডিসপ্লে ও ব্যাক প্যানেল মোছার পরামর্শ দিয়েছে। অন্যদিকে গুগল বলছে, কম ক্ষারযুক্ত সাবান পানির মিশ্রণ দিয়ে ফোন পরিষ্কার করলেও কোনো সমস্যা নেই। 

এই প্রক্রিয়ায় আইফোন ৭, আইফোন ৭ প্লাস, আইফোন ৮, আইফোন ৮ প্লাস, আইফোন ১০, আইফোন ১০আর, আইফোন ১০ এস, আইফোন ১০ এস ম্যাক্স, আইফোন ১১, আইফোন ১১ প্রো, আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্স, গ্যালাক্সি এস৭, গ্যালাক্সি এস৭ এজ, গ্যালাক্সি এস৮, গ্যালাক্সি এস৮ প্লাস, গ্যালাক্সি এস৯, গ্যালাক্সি এস৯ প্লাস, গ্যালাক্সি এস ১০, গ্যালাক্সি এস ১০ প্লাস, গ্যালাক্সি ফোল্ড, পিক্সেল ২, পিক্সেল ৩ ও পিক্সেল ৪ মডেলের পানি নিরোধী ফোন পরিষ্কার করা যাবে। 

পরিষ্কার করার সময় প্রথমে ফোনটি বন্ধ করতে হবে। এরপর সব অ্যাক্সেসরিজ যেমন ডেটা ক্যাবল বা হেডফোন খুলে নিতে হবে। তারপর পানি ও সাবানের মিশ্রণে পাতলা তোয়ালে বা কাপড় ডুবিয়ে ফোনের চারপাশ মুছে আরেকটি শুকনো কাপড় দিয়ে ফোনটিকে মুছে নিতে হবে। মোছার সময় খেয়াল রাখবেন যেন কোথাও পানি লেগে না থাকে। 

একইভাবে সিম কার্ডও পরিষ্কার করা যাবে। সিম ট্রে খুলে চিকন কটন বাড পানি ও সাবানের মিশ্রণে ডুবিয়ে অতিরিক্ত পানি চিপে নিয়ে কার্ডটি পরিষ্কার করা যাবে। এরপর সিম কার্ডটি একটি শুকনো কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছে দিতে হবে। 

এভাবে ফোন পরিষ্কার করে জীবাণুমুক্ত রাখা যাবে। 

img

আজ পঁচিশে বৈশাখ, কবিগুরুর ১৬৩তম জন্মদিন

প্রকাশিত :  ০৬:১০, ০৮ মে ২০২৪

 আজ পঁচিশে বৈশাখ, বাংলা সাহিত্যের অনন্যপ্রতিভা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মদিন। ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দ অর্থাৎ ১২৬৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বকবি।

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষের নায়ক তিনি। বাঙালির আত্মিক মুক্তি ও সার্বিক স্বনির্ভরতার প্রতীক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সংকটে প্রতিরোধ ও অভিযাত্রার প্রেরণাও তিনি।

কবিগুরুর জন্মদিন প্রথম বার পালিত হয়েছিল তার ২৬ বছর বয়সে, ১৮৮৭ সালে। প্রিয় ভাগনি সরলাদেবী ‘জীবনের ঝরাপাতা’য় লিখেছেন, ‘রবি মামার প্রথম জন্মদিন উৎসব আমি করাই। তখন মেজ মামা ও নতুন মামার সঙ্গে তিনি ৮৯ পার্ক স্ট্রিটে থাকেন। অতি ভোরে নিঃশব্দে বাড়ির বকুল ফুলের নিজের হাতে গাঁথা মালার সঙ্গে অন্যান্য ফুল ও একজোড়া ধুতি চাদর তাঁর পায়ের কাছে রেখে প্রণাম করে তাকে জাগিয়ে দিলাম, এরপর সেদিন বাড়িতে সবাই মিলে জন্মদিন পালন হয়েছিল।’ পরে শান্তিনিকেতনে ১৯১০ সাল থেকে নিয়মিত কবির জন্মদিন পালিত হয়ে এসেছে। ১৯৩১ সালে কবির ৭০ বছর বয়সে তো রীতিমতো আলোড়ন তুলে জন্মদিনের অনুষ্ঠান হয়েছিল। অনুষ্ঠান কমিটির সভাপতি ছিলেন জগদীশচন্দ্র বসু, মূল উদ্যোক্তা অমল হোম। এই উপলক্ষে প্রকাশিত ‘The book of Tagore Golden’-এ নিবন্ধ লিখেছিলেন দেশবিদেশের গুণী মানুষেরা।

প্রতি বছর জন্মদিন উপলক্ষে তিনি কিছু লিখতেন। সব কবিতাতেই সেই অনন্ত জিজ্ঞাসা, ‘কে আমি?’ চিরন্তন এই প্রশ্ন থেকে ‘এই আমি প্রথমজাত অমৃত’ উত্তরে ফেরার চেষ্টা। সেসব কবিতাই আমাদের দলিল দস্তাবেজ। বাংলা ১৩৪৪ সালে আলমোড়াতে বসে ‘জন্মদিন’ কবিতায় লিখছেন, ‘দৃষ্টিজালে জড়ায় ওকে হাজারখানা চোখ,/ ধ্বনির ঝড়ে বিপন্ন ঐ লোক।/ জন্মদিনের মুখর তিথি যারা ভুলেই থাকে,/ দোহাই ওগো, তাদের দলে লও এ মানুষটাকে।’

রবীন্দ্রভূমির এক ভাগ কাব্য আর তিন ভাগ গদ্য। চিন্তা ব্যাখ্যা বাস্তববোধ তার প্রতিভার বুনিয়াদ; সেই মাটি থেকে উঠে আকাশ ছুঁয়েছে তার কল্পনা, ভাবাদর্শ, বিশ্বচেতনা। জীবন ও জগদ্বেদনার আলোয় কবির চিত্ত উদ্ভাসিত হয়ে সত্যের সুন্দর ভাষ্য রচনা করেছেন সংগীতে। কত অসাধারণ সব গান রচনা করেছেন তিনি! এক আশ্চর্য ক্ষমতা রবীন্দ্রসংগীতের। দেখা গেল সাধারণ মানুষ, যার জীবন হতদরিদ্রের নিঃস্বতায় জর্জরিত নয়, একটুখানি মানবিক সুবাতাস গ্রহণের সামান্য অবকাশটুকু আছে, সে যেন রবীন্দ্রনাথের গানে ঠিকই তার মনের পুষ্টি পেয়ে যায়।

বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় বলেন, ‘বাংলার পথে, ঘাটে, হাটে, মাঠে, এমনকি সুদূর নিভৃত পল্লির ঘরে প্রাঙ্গণে তাহার গানের সুর বাজিয়া উঠিতেছে।’ কারণ তিনি জানেন, ‘রবীন্দ্রনাথ খাঁটি বাঙালি কবি। রবীন্দ্রনাথের যে সত্যকার কবি-মূর্তি, তাহা সেই বাংলার বৈষ্ণব কবিরই প্রতিচ্ছবি। ’

বাঙালির পরম আরাধ্য এই মহাত্মার জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘মনুষ্যত্বের বিকাশ, মানবমুক্তি ও মানবপ্রেম ছিল রবীন্দ্রনাথের জীবনবোধের প্রধান পাথেয়। সাহিত্যের মাধ্যমে তিনি গেয়েছেন মানবতার জয়গান।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রবীন্দ্রদর্শনের প্রধান বিষয় হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক চেতনা, বিশ্বমানবতাবোধ ও মানুষে মানুষে মিলন। তাকে (রবীন্দ্রনাথ) জীবনমুখী শিক্ষাদর্শনের পথপ্রদর্শকও বলা যায়। তিনি শান্তি ও মানবতার কবি। বিশ্বমানবতার সংকটে তিনি সব সময় গভীর উদ্বেগ বোধ করতেন।’

কর্মসূচি :কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ছায়ানট দুই দিনব্যাপী রবীন্দ্র-উত্সবের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠান আরম্ভ হবে আজ সন্ধ্যা ৭টায়। দুই দিনব্যাপী এই উৎসবে পরিবেশিত হবে একক ও সম্মেলক গান, নৃত্য, পাঠ-আবৃত্তি। অনুষ্ঠানে ছায়ানটের শিল্পী ছাড়াও আমন্ত্রিত শিল্পী ও দল অংশ নেবেন। উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর তাদের মিলনায়তনে বিকাল ৪টায় আয়োজন করেছে ‘আত্মশক্তির উদ্বোধনেই নিহিত মানবমুক্তি’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে শিল্পকলা একাডেমি, বেলা ১১টায় তিন দিনের এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়া থাকছে চ্যানেল আইয়ের ‘পর্দা জুড়ে ২৪ ঘণ্টা রবীন্দ্রমেলা’।