img

রক্তশূন্যতা কমায় লাল শাক

প্রকাশিত :  ১৪:৫২, ১০ অক্টোবর ২০১৮

রক্তশূন্যতা কমায় লাল শাক

জনমত ডেস্ক ।।  সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত লাল শাক খেলে দেহে ভিটামিনের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে শরীরের অভ্যন্তরে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামসহ এমন কিছু উপাদানের ঘাটতি দূর হয়, যা ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের মতো রোগ দূরে রাখে। নিয়মিত লাল শাক খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
 

১. লাল শাকে উপস্থিত কিছু উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে ক্ষিদে কমে যায়। এ কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

২. বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন লাল শাক খেলে শরীরের ভিতরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি-এর ঘাটতি দূর হয়। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।

৩. লাল শাকে উপস্থিত অ্যামাইনো অ্যাসিড, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি শরীরে উপস্থিত একাধিক টক্সিক উপাদানের ক্ষতি করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ক্যান্সার সেল যাতে জন্ম নিতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে। 

৪. এই শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া এটি গ্যাস্ট্রিকের জন্যও উপকারী।। ৫. লাল শাকে উপস্থিত ভিটামিন সি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

৬. একাধিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়মিত লাল শাক খেলে একদিকে যেমন কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ে, তেমনি  রক্তে উপস্থিত একাধিক ক্ষতিকর উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে রক্ত পরিশুদ্ধ হয়। 

৭. লাল শাকের মূল দিয়ে দাঁত মাজার পর লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের হলুদ ভাব কেটে যায়। 

৮. লাল শাকে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার মাত্রা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ কারণে এটি অ্যানিমিয়া রোগীদের জন্য উপকারী।

img

ঘরের সাজে পূজার আমেজ

প্রকাশিত :  ০৮:২০, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

সনাতনী বিশ্বাস অনুযায়ী দুর্গতিনাশিনীর আগমনে নিজেকে সাজানোর পাশাপাশি ধুয়ে-মুছে সাফসুতরো হয়ে ঘরও সেজে উঠুক। প্রাকৃতিক নানা উপাদান দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন। ফুল, লতাপাতা, গাছের ডাল, ছোট-বড় ইনডোর প্লান্ট ভিন্নতা যোগ করবে। এ ছাড়া ঘরে থাকা নানা অনুষঙ্গও ব্যবহার করুন।

নান্দনিক হয়ে উঠবে ঘর। তবে গৃহসজ্জার আগে ঘরের রং, আলো, আকার ভাবনায় রেখে ইন্টেরিয়র পরিকল্পনা করতে হবে।

ঘরের আকার

প্রথমেই নজর দিতে হবে ঘরের পরিধির দিকে। পরিকল্পনা করতে হবে সে অনুযায়ী।

দেয়ালের রং, প্রাকৃতিক আলোর প্রবেশ গৃহসজ্জায় বেশ জরুরি। ঘর ছোট হলে সাজসজ্জা বেশি ভারী বা জটিল না করাই ভালো। উজ্জ্বল রং ও হালকা সাজের মাধ্যমে সাজালে ছোট ঘর বড় দেখাবে। দেয়ালে গাঢ় রং ব্যবহার করলে বেশি আলো প্রয়োজন হয়।

সে ক্ষেত্রে উজ্জ্বল ও স্বচ্ছ রং বেছে নিন। ঘরের পরিবেশ প্রাণবন্ত লাগবে। দিনে প্রাকৃতিক আলোর আনাগোনার সঙ্গে মৃদু আলো ও ক্যান্ডেললাইট ব্যবহার করুন। এতে বিশেষ আবহ তৈরি হবে। রাতে অবশ্যই উজ্জ্বল আলো ব্যবহার করুন।

ফুল-পাতায় সজ্জা

বসার ঘরের টিপয়ের ওপর, কোনায় রাখা টুলের ওপর কাঁসা-পিতলের থালায় কলাপাতা পেতে তাতে শিউলি, জবা, অলকানন্দা, কাঠগোলাপ কিংবা জুঁই রেখে দিন। ফুলের সুবাস বলে দেবে দিনগুলো বিশেষ। ফুলদানিতে লম্বা ধরনের কোনো পাতার সমন্বয়ে সাজাতে পারেন রজনীগন্ধা, গোলাপ, লিলি, জারবেরা, অর্কিড। সন্ধ্যার আবহে একটা মাটির পাত্রে পানি ঢেলে গাঁদা ও গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিন। তার ওপর বসিয়ে দিন ভাসমান মোম বা মাটির প্রদীপ। গৃহে উত্সবমুখর পরিবেশ ফুটে উঠবে।

শোলার ফুল পাখি

বিভিন্ন রঙের শোলার তৈরি ফুল পাখি বা মালা ঝুলিয়ে দিন মূল দরজাসহ অন্যান্য দরজায়। বাসায় আসা অতিথিদের নজর কাড়বে। মূল দরজার পাশে পোড়ামাটির প্রদীপের মতো শোলার কাস্তা তৈরি করে তাতে মোমবাতি বা প্রদীপ রাখুন। সুন্দর আলো ছড়াবে।  

আলপনা বা রঙ্গোলি

দরজার সামনের মেঝেতে আলপনা কিংবা রংবেরঙের রঙ্গোলি তৈরি করতে পারেন। এর ফাঁকে ফাঁকে বসাতে পারেন মাটির প্রদীপ। ঘরে আলো-আঁধারীর শৈল্পিক আবহ যোগ হবে।

ইনডোর প্লান্ট ও লতাপাতা

স্কাইডার প্লান্ট, পোটাসসহ অনেক ইনডোর প্লান্ট কম আলোতেও বেড়ে উঠতে পারে। এই ইনডোর প্লান্টগুলো ঘরে ঠাঁই দিতে পারেন। পিস লিলির মতো প্লান্ট ঘরে শান্তি ও সৌন্দর্য এনে দেবে। লতাপাতা ও ফার্নজাতীয় উদ্ভিদ ঘরের কোণে সুন্দর দেখাবে। ভাইনস দিয়ে দেয়ালে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। সবুজ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি হবে। বড় গাছের পাতা বা গাছ ব্যবহার করে একটি জঙ্গল বা সবুজ বন তৈরি করতে পারেন। কাঠের তৈরি কিছু ডিজাইন বা মূর্তি ব্যাক ড্রপে যুক্ত করলে ঐতিহ্যবাহী ভাব ফুটে উঠবে।

পরিবার ও ব্যক্তিত্ব

পরিবারের সবার পছন্দের বিষয়গুলো মাথায় রেখে ঘর সাজানো উচিত। এতে সবার মাঝে পারিবারিক ঐক্য বাড়বে। যে ঘরে যিনি থাকেন তাঁর স্টাইল ও পছন্দের উপাদান ব্যবহার করুন। পরিবারের পুরনো সামগ্রী বা শিল্পকর্ম ব্যবহার করতে পারেন। যেমন—দিদিমার বানানো হাতের কাজ বা ঠাকুরমার আঁকা পুরনো ছবি। পূজার অন্দরসজ্জায় ব্যক্তিগত পছন্দ ও পরিবারের ঐতিহ্যকে প্রাধান্য দিন।