রাজধানীতে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে নিহত ১, দগ্ধ ৮

প্রকাশিত :  ০৭:৫০, ১৩ অক্টোবর ২০১৮
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৫৯, ১৩ অক্টোবর ২০১৮

 রাজধানীতে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে নিহত ১, দগ্ধ ৮
জনমত রিাপোর্ট ।। ঢাকার উত্তরখানের ব্যাপারিপাড়ার একটি বাসায় চুলার গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৮ জনের মধ্যে একজন মারা গেছেন। আজ ভোর ৪টার দিকে ওই এলাকার হেলাল মার্কেটের কাছে একটি তিনতলা ভবনে এ দুর্ঘটনায়  ঘটে। নিহত ব্যকিাতর নাম আজিজুল (৩০)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অন্যান্যরা হলেন, ডাবলু (৩৩), আনজুম (৩৩), আবদুল্লাহ (৫), উর্মি (১৬), পূর্ণিমা (৩০), সুফিয়া (৬০) ও সাগর (১৪)। তাদের অবস্থাও গুরুতর বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল সার্ভিস উত্তরা স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ব্যাপারিপাড়ার তিনতলা বাড়ির নীচ তলায় শনিবার ভোরে রান্নাঘরের গ্যাসের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। চুলার গ্যাস লাইনের লিকেজ থাকায় সকালে চুলা জ্বালাতে গেলে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠে। দ্রুত আগুন নীচতলায় বাসায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে উত্তরা থেকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ছুটে গিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে ওই বাসায় থাকা আটজন দগ্ধ হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

উত্তরা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, ৮ জনের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের সারা শরীর ঝলসে গেছে। তারা একই পরিবারের কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। দ্রুত পদক্ষেপের ফলে তাদেরকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
ঢামেকসূত্রে জানা গেছে, এদের মধ্যে আজিজুল নামে একজন মারা গেছেন।

নাটোরে স্কুলছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা

প্রকাশিত :  ০৫:৫৬, ২৯ মার্চ ২০২৪

নাটোরের নলডাঙ্গায় হিমেল হোসেন (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হাত-মুখ বেঁধে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে সহপাঠীদের বিরুদ্ধে।

নিহত হিমেল হোসেন পিপরুল গ্রামের টিসিবি ডিলার ফারুক সরদারের ছেলে। সে পাটুল-হাঁপানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।

এ ঘটনায় হিমেলের দুই সহপাঠীসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— একই এলাকার পার্থ, মেহেদি, সুজন ও শিমুল। এদের মধ্যে পার্থ ও মেহেদী নিহত হিমেলের সহপাঠী।

গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এ টি এম মাইনুল ইসলাম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে হিমেলকে তার  বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় সহপাঠী পার্থ। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল হিমেল। এ ঘটনায় হিমেলের বাবা ফারুক সরদার নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ করলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ রাতেই পার্থকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অপর সহপাঠী মেহেদী এবং এলাকার ‘সিনিয়র’ বন্ধু সুজন ও শিমুলকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের সাথে নিয়ে রাত দেড়টার দিকে  পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পেছনে পরিত্যক্ত ইউনিয়ন পরিষদের পাশের একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে হিমেলের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এ.টি.এম. মাইনুল ইসলাম বলেন, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর হিমেলের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছিল না পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হিমেলের মুঠোফোনের সূত্র ধরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। নলডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।