জনমত ডেস্ক ।। পানি পান করলে ব্লাড সুগার বা রক্তে চিনি কমতে পারে এমন কেউ বললে হয়তবা \r\nঅনেকেই বিশ্বাস করতে পারবেন না। কিন্তু বিশেষজ্ঞগণ সম্প্রতি এক গবেষণা \r\nরিপোর্টে এমনই দাবি করেছেন। শুধু তাই নয়, গবেষকগণ বলছেন, যারা প্রতিদিন ১৬ \r\nআউন্স বা তার চেয়ে কম পানি পান করে (দুই কাপ) তাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত \r\nহবার ঝুঁকি যারা স্বাভাবিক পানি পান করে তাদের চেয়ে শতকরা ৩০ ভাগ বেশি। আর \r\nকেনইবা পানি পানের সঙ্গে ডায়াবেটিসের সংশ্রব খুঁজে পেয়েছেন তারও ব্যাখ্যা \r\nদিয়েছেন গবেষকগণ।
\r\n
এক গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়, ভ্যাসোপ্রেসিন নামক এক ধরনের হরমোন শরীরের \r\nহাইড্রেশন নিয়ন্ত্রণ করে। যদি প্রতিদিন কম পানি পান করা হয় বা কোনো \r\nব্যক্তির যদি পানি শূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন হয় তাহলে রক্তে ভ্যাসোপ্রেসিন \r\nহরমোনের মাত্রা বেড়ে যায় যা লিভারকে অধিক সুগার তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করে। \r\nবিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন মহিলাদের অন্তত ৬-৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত। আর\r\n পুরুষদের এর চেয়ে খানিকটা বেশি পানি পান করা ভালো। তবে পানির পাশাপাশি \r\nতাজা ফলের রস পানেও কোনো ক্ষতি নেই। তবে যাদের প্রচুর পানি খাওয়ার অভ্যাস \r\nনেই তারা প্রতিবার আহারের পূর্বে অন্তত এক গ্লাস পানি পান করতে পারেন। \r\nএমনটি পরামর্শ দিয়েছেন দ্য একাডেমী অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটিকস-এর \r\nমুখপাত্র কনস্ট্যান্স ব্রাউন বিগস।
প্রকাশিত :
১০:০৪, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সর্বশেষ আপডেট: ১০:১৯, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
তলিয়ে গেছে দেশের ১১ থেকে ১৩টি জেলা আকস্মিক বন্যায়। বন্যা-কালীন সময়ে ত্রাণ ও দুর্গতদের সাহায্য গুরুত্ব পেয়েছে। কিন্তু বন্যা পরবর্তী সময়ে পুনর্বাসন ও কিছু করণীয় থাকে।
আভাস পেলে যা করবেন
আকস্মিক বন্যার শঙ্কা অনেক বেড়েছে। তাই বন্যার আভাস পেলে মুড়ি, চিড়া, গুড়, চিনি বা শুকনো জাতীয় খাবার সংরক্ষণ করা ভালো। বিশেষ করে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংরক্ষণের জন্য চৌবাচ্চার ব্যবস্থা করা ভালো। এছাড়া সহজে বহনযোগ্য চুলা ও রান্না করার জন্য শুকনো জ্বালানির ব্যবস্থা রাখতে পারেন। বাড়ির বৃদ্ধ, শিশু, শারীরিক প্রতিবন্ধী বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারীর দিকে বিশেষ নজর রাখুন। এছাড়া টাকা, জমির দলিল, শিক্ষা সনদসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিরাপদে রাখুন। পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সংরক্ষণে রাখুন। বন্যা পরবর্তী সময়ে বন্যার পানিতে হাঁটবেন না, সাঁতার কাটবেন না বা গাড়ি চালাবেন না। কারণ ৬ ইঞ্চি পানির স্তরেও আপনি নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারেন।
ডায়রিয়া হলে
বন্যার সময় ডায়রিয়া বেশি দেখা দেয়। ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। লবণ ও পানির অভাব পূরণ করাই এর একমাত্র চিকিৎসা। শরীর থেকে যে পরিমাণ পানি বেরিয়ে যায়, তা যদি দ্রুত ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হয়, মানুষ তখনই অসুস্থ হয়ে পড়েন ও শরীরে লবণ পানির ঘাটতি দেখা দিলে মৃত্যু হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।
বন্যার সময় চর্মরোগ
বন্যার পানি গোসল বা গায়ে লাগানো থেকে বিরত থাকুন। কেননা এ পানি বিভিন্ন জীবাণুর ধারক ও বাহক। তাই এ পানির সংস্পর্শে বিভিন্ন চর্ম রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। সব সময় পানির সংস্পর্শে থাকার জন্য হাতে-পায়ে স্যাঁতসেঁতে ও ভেজা আবহাওয়ার কারণে ত্বক বা ত্বকের খোসপাঁচড়া, ফাঙ্গাল ইনফেকশন, প্যারনাইকিয়া, স্ক্যাবিস জাতীয় নানা ধরনের ত্বকের অসুখ হয়ে থাকে।
টিউবওয়েল ডুবে গেলে
যেসব টিউবওয়েল বন্যায় ডুবে গেছে, সেগুলোর পানি ডিসইনফেকশন না করে পান করবেন না। নিজেরাই করতে পারেন এ কাজ। ১০০ গ্রাম ব্লিচিং পাউডারের সঙ্গে দেড় থেকে দুই লিটার পরিমাণ পানি একটি জগ বা পাত্রে ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর টিউবওয়েলের মূল অংশটি পাইপ থেকে খুলে পাইপের মধ্যে সেই মিশ্রণটি ঢেলে দিন। এরপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। টিউবওয়েলের মূল অংশটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট, প্রয়োজনে আরও বেশি সময় ধরে হাতল চাপতে থাকুন।
বাড়ি ফিরলে
অনুমতি দিলেই বা নিরাপদ বলার পরেই বাড়ি ফিরবেন। একটি সারভাইভাল কিট প্যাক করুন। সেখানে কমপক্ষে তিন দিনের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও পানি নিন। প্রত্যেকের জন্য একটি করে পোশাক, প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখুন। জরুরি তথ্যের জন্য রেডিও, স্থানীয় পরিবর্তনকারী সিস্টেম বা সরকারী নির্দেশাবলী শুনুন। বাড়িতে ঢোকার আগে দেখে নিন কোনো কাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে কি না। বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র পরিদর্শন করার আগে পাওয়ার চালু করবেন না। সাপ ও বিভিন্ন প্রাণী আপনার বাড়িতে থাকতে পারে, তাই সতর্ক থাকুন। সম্ভব হলে গ্লাভস ও বুট পরুন। বন্যা-দূষিত প্রতিটি ঘর পরিষ্কার, জীবাণুমুক্ত ও শুকিয়ে নিন।