img

ব্রিটেনসহ ইউরোপে রামাদ্বান শুরু শুক্রবার থেকে

প্রকাশিত :  ০৬:২১, ২৩ এপ্রিল ২০২০

তারাবির নামাজ ঘরেই পড়ার পরামর্শ

ব্রিটেনসহ ইউরোপে রামাদ্বান শুরু শুক্রবার থেকে

জনমত ডেস্ক: ব্রিটেন ও ইউরোপে পবিত্র রোজা শুরু হচ্ছে ২৪ এপ্রিল শুক্রবার থেকে। বৃহস্পতিবার প্রথম তারাবিহ। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ, ব্রিটেন, ইউরোপ ও আমেরিকার মুসলিম কমিউনিটি রোজা শুরু করে থাকেন। আজ মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশে চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামীকাল ৩০ দিন পূর্ণ হবে শাবান মাসের অর্থাৎ শুক্রবার থেকে সৌদি আরবসহ ইউরোপ আমেরিকায় রোজা শুরু হবে।

প্রথম রোজার সেহরির শেষ সময় ৪টা ৭ মিনিটে আর ইফতার ৮টা ১৬ মিনিটে। করোনাভাইরাসের কারনে স্কুল সমূহ বন্ধ থাকায় অভিভাবকদের রোজার প্রস্তুতি নিতে একটু সময় পাবেন বলে জানিয়েছেন অনেক অভিভাবক।

এদিকে করোনাভাইরাসের প্রদুর্ভাবের কারনে পবিত্র রমজান মাসেও বন্ধ থাকবে লন্ডনের মসজিদ সমূহ। ফলে রমজান মাসের তারাবির নামাজ ঘরেই পড়ার পরামর্শ দিয়েছে কাউন্সিল অব মস্ক টাওয়ার হ্যামলেটস। মসজিদ বন্ধ থাকলেও বৃদ্ধ এবং দুর্দশাগ্রস্থ মুসল্লিদের বিশেষ ব্যবস্থায় ইফতার বিতরন করবে ইস্ট লন্ডন মসজিদ ও ব্রিকলেইন মসজিদ। তবে ইস্ট লন্ডন মসজিদ বন্ধ থাকলেও প্রতিদিন ইলেক্ট্রনিক ও স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয় ভিত্তিক আলোচনার ব্যবস্থা রেখেছে ।

একই সাথে টেলিফোনের মাধ্যমে পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক পৃথক এডভাইসসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানার সুযোগ রেখেছে ইস্ট লন্ডন মসজিদ। মসজিদের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন দুদর্শাগ্রস্থ পরিবারের জন্যও তারা ফুডপ্যাকের ব্যবস্থা রেখেছেন।

ব্রিটিশ সরকারের পরবর্তী নিদের্শনা না পাওয়া পর্যন্ত ঘরেই নামাজ পড়ার আহবান জানিয়েছেন মসজিদ কর্তৃপক্ষ।


img

জুমার দিনে যে পোশাক পরা সুন্নত

প্রকাশিত :  ০৫:৫৩, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন জুমাবার। এদিনের সওয়াব-মর্যাদা ঈদুল ফিতর ও আজহার মতো। জুমাবার মুসলমানদের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত দিন। আল্লাহ তায়ালার কাছে জুমার গুরুত্ব এত বেশি যে, পবিত্র কোরআনে ‘জুমা’ নামে একটি সূরা নাজিল করা হয়েছে।

রাসুল (স.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৮৪) আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৯৮) 

জুমার দিনে বিশেষ কিছু আমলের কথা এসেছে হাদিস শরিফে। এর একটি হলো উত্তম পোশাক পরে জুমার নামাজ আদায় করা। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, তার কাছে থাকা সুন্দরতম জামাটি পরিধান করল এবং সংগ্রহে থাকলে সুগন্ধি ব্যবহার করল, এরপর জুমায় উপস্থিত হলো, কারও কাঁধ ডিঙিয়ে গেল না, তারপর আল্লাহর তাওফিক অনুযায়ী সুন্নত-নফল পড়ল, এরপর খতিব বের হওয়া থেকে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত নীরব থাকল, তার এই নামাজ এ জুমা থেকে সামনের জুমা পর্যন্ত (গুনাহের) কাফফারা হবে।’ (আবু দাউদ: ৩৪৩) 

জুমার দিনে উত্তম পোশাক

রাসুলুল্লাহ (স.) জুমার দিনে উত্তম পোশাক পরিধানে জোর দিয়েছেন। অধিকাংশ মানুষ এক্ষেত্রে উদাসীন। ঈদের নামাজের মতোই জুমার প্রস্তুতি নিতে হয়। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (স.) জুমার দিন মানুষের উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি তাদের বেদুইনদের পোশাক পরিহিত দেখেন। তখন তিনি বলেন, ‘তোমাদের কী হলো? যার সামর্থ্য আছে সে যেন তার কাজকর্মের সময়ে ব্যবহৃত কাপড় দুটি ছাড়া জুমার নামাজের জন্য আরও দুটি কাপড়ের ব্যবস্থা করে।’ (আবু দাউদ: ১০৭৮, ইবনে মাজাহ: ১০৯৬)

রাসুল (স.)-এর সাদা রংয়ের জামা পছন্দ করতেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (স.) বলেছেন, ‘তোমরা সাদা কাপড় পরিধান করবে। কারণ তা তোমাদের জন্য উত্তম। আর তোমরা সাদা কাপড় দিয়ে মৃতদের দাফন করবে এবং তোমাদের জন্য উত্তম সুরমা হলো ইসমাদ। এতে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং পলকে পশম উৎপন্ন করে।’ (আবু দাউদ: ৩৮৩৮) 

উত্তম পোশাকে নামাজ পড়ার ফজিলত

নামাজ মহান ইবাদত। আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎস্বরূপ। এমন ইবাদতের জন্য পোশাক হওয়া চাই যথোপযুক্ত। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন- يَا بَنِي آدَمَ خُذُوا زِينَتَكُمْ عِندَ كُلِّ مَسْجِدٍ ‘হে আদম সন্তান! প্রত্যেক নামাজের সময় সাজসজ্জা (সুন্দর পোশাক-পরিচ্ছদ) গ্রহণ করো।’ (সুরা আরাফ: ৩১) ভালো জামা না থাকলে পুরনো কাপড় পরাতেও দোষ নেই। তবে তা যেন পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অহংকার আসতে পারে—এমন কাপড় পরিধান করা বাঞ্ছনীয় নয়। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি: ৫/৩৩৩)