img

জাতীয় পত্রিকার সম্পাদকগণ রাজপথে

প্রকাশিত :  ১২:৪৮, ১৫ অক্টোবর ২০১৮
সর্বশেষ আপডেট: ২০:০২, ১৫ অক্টোবর ২০১৮

জাতীয় পত্রিকার সম্পাদকগণ রাজপথে

জনমত ডেস্ক ।। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় সংশোধনের দাবীতে মানববন্ধন করছে সম্পাদক পরিষদ।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে উপস্থিত হয়েছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকগণ। 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় সংশোধনের দাবীতে মানববন্ধন করছে সম্পাদক পরিষদ।

আজ সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করেছেন তারা।

পরিষদটির সাধারণ সম্পাদক ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম তাদের ৭টি দাবী উল্লেখ করে একটি বিবৃতি পাঠ করেছেন।

সম্পাদক পরিষদের সাত দফা দাবি হচ্ছে:

১. সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা সুরক্ষার লক্ষ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারা অবশ্যই যথাযথভাবে সংশোধন করতে হবে।

২. এসব সংশোধনী বর্তমান সংসদের শেষ অধিবেশনে আনতে হবে।

৩. পুলিশ বা অন্য কোনও সংস্থার মাধ্যমে কোনও সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালানোর ক্ষেত্রে তাদেরকে শুধু নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু আটকে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে, কিন্তু কোনও কম্পিউটার ব্যবস্থা বন্ধ করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। তারা শুধু তখনই প্রকাশের বিষয়বস্তু আটকাতে পারবে, যখন সংশ্লিষ্ট সংবাদ প্রতিষ্ঠানের সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করে কেন ওই বিষয়বস্তু আটকে দেওয়া উচিত, সে বিষয়ে যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে পারবে।

৪. কোনও সংবদামাধ্যম প্রতিষ্ঠানের কোনও কম্পিউটার ব্যবস্থা আটকে দেওয়া বা জব্দ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আদালতের আগাম নির্দেশ নিতে হবে।

৫. সংবাদমাধ্যমের পেশাজীবীদের সাংবাদিকতার দায়িত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধের ক্ষেত্রে প্রথমেই আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করতে হবে (যেমনটা বর্তমান আইনে আছে) এবং সংবাদমাধ্যমের পেশাজীবীদের কোনও অবস্থাতেই পরোয়ানা ছাড়া ও যথাযথ আইন প্রক্রিয়া অনুসরণ ছাড়া আটক বা গ্রেফতার করা যাবে না।

৬. সংবাদমাধ্যমের পেশাজীবীর দ্বারা সংঘটিত অপরধের ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের গ্রহণযোগ্যতা আছে কিনা, তার প্রাথমিক তদন্ত প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে করা উচিত। এই লক্ষ্যে প্রেস কাউন্সিলকে যথাযথভাবে শক্তিশালী করা যেতে পারে।

৭. এই সরকারের পাস করা তথ্য অধিকার আইনকে দ্ব্যর্থহীনতভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ওপর প্রাধান্য দেওয়া উচিত। এই আইনে নাগরিক ও সংবাদমাধ্যমের জন্য যেসব স্বাধীনতা ও অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে, সেগুলোর সুরক্ষা অত্যাবশ্যক।


img

মেয়ের সঙ্গে এসএসসি পাস করলেন ৪৪ বছরের ইউপি সদস্য নুরুন্নাহার

প্রকাশিত :  ১১:৫৩, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২০, ১৩ মে ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একসঙ্গে এসএসসি পাস করেছে মা ও মেয়ে। তাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দি গ্রামে। মা ও মেয়ে একসঙ্গে এসএসসি পাসের ঘটনায় নুরুন্নাহারের পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা। স্বজনরা অভিনন্দন জানাতে ছুটে আসছেন তার বাড়িতে।

রোববার (১২ মে) প্রকাশিত ফলাফলে কারিগর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মা নুরুন্নাহার জিপিএ ৪.৫৪ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এবং চাতলপাড় ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ‍্যালয় থেকে মেয়ে নাসরিন আক্তার ২.৬৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

নুরুন্নাহার জানান, অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বিয়ে হয়ে যায়। শ্বশুর বাড়ির লোকজন ছিলেন রক্ষণশীল। এ অবস্থায় পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারিনি। দুইবার সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হই। সবার অনুমতি নিয়ে আবার পড়াশুনা করি। কেননা, লেখাপড়ার কোনো বিকল্প নেই। আজ আমার আশা পূরণ হয়েছে। তবে পড়ালেখা করে এই বয়সে চাকরি করার ইচ্ছা নেই নুরুন্নাহারের। তবে এইচএসসিতে ভর্তি হবেন এবং পড়াশুনা চালিয়ে যাবেন বলে আশা ব‍্যক্ত করেন।

নুরুন্নাহার বেগম চাতলপাড় ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী আসন ১-২-৩ ওয়ার্ডের দুইবারের নির্বাচিত সদস্য। তিনি ২ সন্তানের জননী। ছেলে তেজগাঁও কলেজে পড়াশুনা করছে এবং মেয়ে নাসরিন এবার মায়ের সঙ্গে এসএসসি পাস করেছেন।

চাতলপাড় ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ‍্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জন কুমার বিশ্বাস বলেন, ইউপি সদস্য নুরুন্নাহারকে সবার অনুসরণ করা উচিত। শিক্ষার কোনো বয়স নেই। নুরুন্নাহার তার দৃষ্টান্ত। আমি তার কর্মময় জীবনের সফলতা কামনা করছি।