img

লকডাউনে মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন

প্রকাশিত :  ১২:৩০, ২৬ এপ্রিল ২০২০
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩২, ২৭ এপ্রিল ২০২০

লকডাউনে মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন

জনমত ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশে দেশে চলছে লকডাউন। ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। দিনের পর দিন ঘরে থাকতে থাকতে মানুষের মধ্যে এক ধরনের মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানসিক চাপে থাকা মানুষদের জন্য করোনার ঝুঁকি বেশি। তাই এই করোনার কালে নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রথমত থাকতে হবে চাপমুক্ত এবং একইসঙ্গে আত্মবিশ্বাসী।

কিন্তু যেকোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মানসিক চাপ চাইলেই দূরে রাখা যায় না। এমনিতেই মনের ভেতর ভয়, সংশয় কাজ করে। মন শক্তি কমে আসে, মানসিক দুর্বলতা তৈরি হয়। 

মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা যায়- এমনই কিছু টিপস পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো:


* শরীর সুস্থ ও চাঙ্গা রাখার একটি বড় উপায় হচ্ছে ব্যায়াম। তাই এই করোনা মহামারিতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। মন ফুরফুরে থাকবে।

* ঘুম কম হলে সবকিছুই এলোমেলো লাগে। বিশেষত এই সময়টাতে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রতি নজর দিন। সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

* কিছু খাবার আছে যেগুলো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ কমাতে এই ঘরবন্দি সময়ে বেশি বেশি পানি পান করুন। অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন। গ্রিন টি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার খান।

* বিপদে যে স্থির থাকে সেই প্রকৃত মানসিকভাবে বলবান। মন্দ সময় আসবেই, কিন্তু তাতে নিয়ে দুশ্চিন্তা না বাড়িয়ে হালকা থাকার চেষ্টা করুন। 

* প্রতিদিন ডায়রি লেখার অভ্যাস করুন। তাতে মনের ওপর থেকে ভার নেমে যাবে। 

* অনেকেরই অনেক রকম শখ থাকে। লকডাউনের এই সময়ে ঘরে থেকে পছন্দের কাজগুলো বেশি বেশি করুন। 

* নেতিবাচক চিন্তু দূরে ঠেলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় মানসিক প্রস্তুতি রাখুন। তাতে মনের সাহস ও দৃঢ়তা বাড়বে। মনে শক্তির যোগান হবে।

* কোনও কিছু অগোছালো রাখাবেন না। এমনকি নিজের ঘর, জামাকাপড় সবকিছু গোছগাছ রাখুন। তাতে মানসিক স্বস্তি বোধ হবে।

* কাছে মানুষদের সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। তবে এমন বন্ধুর সঙ্গে মনের কথা বলা যাবে না, যে কিনা আপনাকে নিয়ে উপহাস করতে পারে।

img

কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১০:৩১, ০৯ মে ২০২৪

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কেবল বয়স্কদের থাকে এ ধারণাটি সঠিক নয়। অল্প বয়সের মানুষের মধ্যে রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে। অপেক্ষাকৃত ২০ থেকে ৪০ বছরের কমেও এটি হতে পারে। দেশের অল্প বয়সী জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশ পুরুষ আর ৯ শতাংশ নারী। 

অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ার পেছনে তরুণ প্রজন্মের কিছু বদভ্যাস দায়ী। অতি লবণযুক্ত ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, ওজন বৃদ্ধি ও কায়িক শ্রমের অভাব অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই তরুণদের ৬৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপের কোনো উপসর্গ নেই।

চিকিৎসকেরা বলেন, রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে মানেই একই সঙ্গে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকিও। অল্প বয়সেই কোনও গুরুতর রোগের আশঙ্কা এড়িয়ে চলতে যে নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন: 

ব্যস্ততার মধ্যে কিছুটা সময় বের করে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত চার দিন সাইকেল চালানো, সাঁতার বা যে কোনও খেলাধুলো করতে পারলে ভালো। এছাড়া, সকালে ঘুম থেকে উঠে, বিকেলে ও রাতে খাবার পরে হাঁটাহাঁটি করতে পারলে স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী। 

ছোট থেকেই প্রোটিন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো। পাশাপাশি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। না হলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এই উপাদানগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।  

বয়স কম হলেও নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে হবে। বিশেষ করে যদি পরিবারে এমন কোনও রোগ থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে সময় থাকতেই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। 

তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।