দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু আরো ৫, নতুন আক্রান্ত ৫৬৪
জনমত ডেস্ক : দেশে করোনায় (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মারা গেছেন ১৬৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬৪ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৬৬৭ জন।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মিডিয়া বুলেটিনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত মহা-পরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
অতিরিক্ত মহা-পরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৯৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৬৪ জনের দেহে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৬৬৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় এ পর্যন্ত ১৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গতকাল বুধবার দেশে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৯৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করে একদিনে সর্বোচ্চ ৬৪১ জনের শরীরে করেনা শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া আরও ৮ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
ডিসেম্বরে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে বেশিরভাগ দেশই ভাইরাসটিতে তেমন পাত্তা দেয়নি। অনেক দেশই ধারণা করেছিল, এটি চীনা ভাইরাস এবং এর সংক্রমণ হয়তো ইউরোপ-আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়বে না। এজন্য সেখানকার দেশগুলো তেমন কোনো পদক্ষেপও নেয়নি। ফলও দিতে হচ্ছে তাদের। কারণ সংক্রমণ সংখ্যার দিক থেকে প্রথম দেশগুলোর তালিকার মাঝেই নেই চীন।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলে বাড়ানো হয় সতর্কতা। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য মার্চেই ব্যবস্থা নেয় বাংলাদেশ সরকার। বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। পঞ্চম দফায় সেই ছুটি বাড়ানো হয়েছে আগামী ৫ মে পর্যন্ত।
শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের পদক্ষেপ অনেকটা এ রকমই। তবে এর মাঝেও কিছু কিছু দেশ তাদের দেয়া লকডাউন কিছুটা শিথিল করছে। স্পেন, জার্মানি ও ভারত সেই পথে হেঁটেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালিও তেমনটাই ভাবছে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ লাখ ২৮ হাজার ২১৫ জন। এছাড়া এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৩২ লাখ ২০ হাজার ১৪৮ জনের শরীরে। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ লাখ ৩০৩ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১৯ লাখ ৯১ হাজার ৬৩০ জন। এদের মধ্যে ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৮১৯ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৫৯ হাজার ৮১১ জনের অবস্থা গুরুতর।