img

গর্ভবতী মা ও সন্তানকে করোনায় সুরক্ষিত রাখতে যা করণীয়

প্রকাশিত :  ১২:২৪, ০৩ মে ২০২০

গর্ভবতী মা ও সন্তানকে করোনায় সুরক্ষিত রাখতে যা করণীয়

জনমত ডেস্ক: করোনা সংক্রমণের এ সময় একজন গর্ভবতী নারী কীভাবে নিজেদের এবং তাদের শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে পারবেন তা নিয়ে ‘কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির সময়ে গর্ভাবস্থার পরিচর্যা’বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। এতে গর্ভবতী নারী ও শিশুর সুরক্ষা নিয়ে নানা পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গর্ভাবস্থায় দেহ এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসার কারণে গর্ভবতী নারীরা গর্ভাবস্থার শেষের দিকে মাসগুলোতে খারাপভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারেন। এ কারণে  আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। যেমন-

১. কারোনাভাইরাস রোগের (কোভিড-১৯) লক্ষণ রয়েছে এমন কারো সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।

২. সম্ভব হলে গণপরিবহন এড়িয়ে চলুন।

৩.সম্ভব হলে বাড়িতে থেকে কাজ করুন।

৪. পাবলিক প্লেস বা লোকালয়, বিশেষ করে বন্ধ বা দেয়ালঘেরা স্থানগুলোতে ছোট-বড় সব ধরনের জমায়েত পরিহার করুন।

৫. বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শারীরিক সংস্পর্শ পরিহার করুন।

৬. ধাত্রী, প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবাদাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য টেলিফোন, মেসেজ বা অনলাইন সেবা ব্যবহার করুন।

৭. অতিরিক্ত সুরক্ষার জন্য সাবান ও পানি দিয়ে বার বার হাত ধোয়া, ঘরে বার বার স্পর্শ করা হয় এমন স্থান, জিনিসপত্র, নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা উচিত।

৮. কোভিড-১৯ এর সঙ্গে মিল আছে এমন কোনো লক্ষণ নিজের মধ্যে দেখা যাচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করুন। সমস্যা মনে হলে শুরুতেই স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সেবা গ্রহণ করুন।

ইউনসেফের ওই প্রতিবেদনে সন্তান জন্ম নেয়ার পর শিশুর সুরক্ষার জন্য প্রসূতি মাকে সহজ থাকার চেষ্টার করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এতে প্রসূতি মায়েদের শুধু পরিবারের সঙ্গেই থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের আসতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে, এই সময় প্রসূতির মায়েদের যদি অন্য সন্তান থাকে তাহলে তারা যাতে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে না মেশে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়মিত হাত ধুতে ও নিজেদের যত্ন নেয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। 

img

এই গরমে চোখের যত্ন নিবেন যেভাবে

প্রকাশিত :  ১০:৪৭, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

চোখ মানবদেহের খুব গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল অঙ্গ। আবহাওয়ার তারতম্যে চোখের স্বাস্থ্যের এদিক-ওদিক হতে পারে। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য গ্রীষ্মকাল মাঝেমধ্যে ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। তাপ ও ধুলাবালু নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই এ সময় চাই চোখের বিশেষ যত্ন।

অনেকে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন , কিন্তু চোখের দিকে সেভাবে খেয়াল থাকে না। তাপদাহ ও অতিবেগুনি রশ্মি চোখেরও অনেক ক্ষতি করে।

সমস্যা

চোখের অ্যালার্জি: অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও দূষণ এর অন্যতম কারণ। এ কারণে চোখ চুলকায় ও লালচে রং ধারণ করে। এমনকি রোদে গেলে চোখ জ্বালাপোড়াও করে থাকে। এ ধরনের সমস্যা হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চোখের চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

চোখের অঞ্জলি: এ ধরনের সমস্যায় চোখের পাতা ফুলে যায়, লাল হয় ও ব্যথা অনুভূত হয়। এগুলো সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে হয়ে থাকে।

চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়া: গরমে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে চোখ শুকনো (ড্রাই আই) হতে পারে।

অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব: বেশিক্ষণ ধরে রোদের মধ্যে কাজ করলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চোখের ক্ষতি করে।

করণীয়

রোদ থেকে চোখকে বাঁচাতে রোদচশমা পরার বিকল্প নেই। রোদচশমা ব্যবহার করুন। এটি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে শতভাগ সুরক্ষা দেবে।

মাথায় হ্যাট কিংবা ছাতা ব্যবহার করুন।

চোখকে সরাসরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্রের (এসি) হাওয়া থেকে রক্ষা করুন। এতে চোখ আরও শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই যেখানে কাজ করেন, তার ঠিক সামনে এসি থাকা চলবে না।

চোখের বিশ্রাম দিতে প্রতিদিন ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।

দীর্ঘ সময় চোখের কাজ করা বা ল্যাপটপ–কম্পিউটারে কাজ করার সময় বিরতি নিন ও চোখের কিছু ব্যায়াম করুন।

দিনের মধ্যে কয়েকবার পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করুন। এমনকি চোখে পানির ঝাপটাও দিতে পারেন। এতে চোখের ময়লা ভেতর থেকেই পরিষ্কার হবে।

বিশ্রামের সময় চোখের ওপর পাতলা করে কেটে নেওয়া শসার টুকরো রাখতে পারেন। এটি আপনার চোখ ঠান্ডা ও আর্দ্র রাখতে সহায়তা করবে।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, গাজর, কলিজা ও বাদাম রাখার চেষ্টা করুন।

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।