পাকিস্তানে শিশু ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

প্রকাশিত :  ০৭:৫৭, ১৭ অক্টোবর ২০১৮

পাকিস্তানে  শিশু ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। পাকিস্তানে ছয় বছর বয়সী শিশু জয়নাব আমিনকে ধর্ষণের পর হত্যাকারী ইমরান আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার ভোরে কোট লাখপাত কারাগারে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন অনলাইন জানিয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেট ও জয়নাবের বাবা মুহাম্মদ আমিন মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় উপস্থিত ছিলেন।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের কাসুরে গত জানুয়ারিতে একটি আবর্জনার স্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় জয়নাবের লাশ। তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে গোটা পাঞ্জাব। এমনকি বিক্ষোভে জনতার ওপর পুলিশ গুলি চালালে দুজন নিহতও হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও জয়নাব হত্যার ঘটনা ব্যাপক সাড়া ফেলে। ‘হ্যাশট্যাগ জাস্টিস ফর জয়নাব’ লিখে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন চলচ্চিত্র ও ক্রিকেট তারকারা। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এ ঘটনায় একমাত্র আসামি ইমরান আলিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের নিম্ম আদালত ইমরানকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর জয়নাবের বাবা মুহাম্মদ আমিন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আজ জয়নাব বেঁচে থাকলে তার বয়স সাত বছর দুই মাস হতো। তার মা শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছেন।’


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

টাকার বিছানায় ঘুমিয়ে ভাইরাল নেতা

প্রকাশিত :  ০৯:১৮, ২৮ মার্চ ২০২৪

বিছানায় ছড়িয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। আর সেই টাকার মধ্যে শুয়ে আছেন ভারতের আসাম রাজ্যের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজনীতিবিদ বেঞ্জামিন বসুমাতারি। এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চারদিকে হৈ চৈ পড়ে যায়। সবার জানার আগ্রহ কে এই নেতা যিনি দেশের মানুষের এত টাকা মেরে দিয়েছেন।

জানা যায়, বেঞ্জামিন বসুমাতারি। ভারতের আসামের ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেল (ইউপিপিএল)-এর একজন নেতা। প্রধানমন্ত্রীর আবাসন প্রকল্প এবং গ্রামীণ চাকরি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বড় এক দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত তিনি। অদ্ভুত এক কাণ্ড ঘটিয়ে আবারও আলোচনায় এসেছেন এই নেতা।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে বসুমাতারির। আর তাতেই ভারত জুড়ে তোলপাড়। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, টাকার বিছানায় ঘুমিয়ে আছেন আসামের ওদালগুড়ি জেলার ভৈরাগুড়িতে গ্রাম পরিষদ উন্নয়ন কমিটির (ভিসিডিসি) এই চেয়ারম্যান। তার ওপর ৫০০ রুপির নোটের স্তূপ।

ছবিটি নিয়ে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে। এদিকে বসুমাতারির এমন কাণ্ডের দায় নিতে অস্বীকার করেছে তার দল ইউপিপিএল। বোডোল্যান্ড-ভিত্তিক দলটির প্রধান এবং বোডোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের (বিটিসি) প্রধান নির্বাহী সদস্য প্রমোদ বোরো বুধবার সকালে বিষয়টি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, বেঞ্জামিন বসুমাতারি আর দলের সঙ্গে যুক্ত নন। কয়েক মাস আগেই তাকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতি দিয়ে প্রমোদ বোরো বলেছেন, ‘বেঞ্জামিন বসুমাতারির একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমগুলোয় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা স্পষ্ট করতে চাই যে, বেঞ্জামিন বসুমাতারি আর ইউপিপিএলের সঙ্গে যুক্ত নন। তাকে গত ১০ জানুয়ারি দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি সকল গণমাধ্যম এবং সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের অনুরোধ করছি যে, বেঞ্জামিন বসুমাতারিকে ইউপিপিএলের সঙ্গে যুক্ত করা থেকে বিরত থাকুন। তার ক্রিয়াকলাপের দায়িত্ব সম্পূর্ণ তার নিজের। দল তার ব্যক্তিগত কোনো কাজের জন্য দায়ী নয়।’

বিরোধীরা অবশ্য ইউপিপিএল প্রধানের এমন বক্তব্য মানতে নারাজ। তাদের দাবি, বেঞ্জামিন বসুমাতারি এখনও ইউপিপিএলে যুক্ত আছেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোডোল্যান্ডের এই নেতা প্রধানমন্ত্রীর আবাসন প্রকল্প এবং গ্রামীণ চাকরি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বড় আকারের একটি দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত। ওদালগুড়ি উন্নয়ন অঞ্চলে বসুমাতারি ভিসিডিসির অধীনে পিএমএওয়াই এবং এমএনআরইজিএ প্রকল্পের অধীন দরিদ্র সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে তিনি ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।