img

পবিত্র রমজান মাস হোক কোরআনময়

প্রকাশিত :  ১২:৩৬, ০৭ মে ২০২০

পবিত্র রমজান মাস হোক কোরআনময়

মাওলানা আনোয়ার হোসাইন

আল্লাহ তায়ালা বছরে বারটি মাস নির্ধারণ করেছেন। সবগুলো মাসের গুরুত্ব সমান নয়। বারো মাসের কিছু আছে সম্মানিত মাস। ওই মাসগুলোকে আল কোরআনেই বলা হয়েছে ‘আশহুরুল হুরুম’ বা সম্মানিত মাস।

ওই মাসগুলোতে যুদ্ধবিগ্রহে লিপ্ত হওয়া নিষিদ্ধ। সম্মানিত মাস চারটি- রজব, জিলক্বদ, জিলহজ্জ ও মোহাররম। কিছু মাস রয়েছে হজ্জের মাস। ওগুলোতে সারা দুনিয়া থেকে আল্লাহ প্রেমীরা বাইতুল্লাহ যিয়ারত ও হজ্জের উদ্দেশ্যে মক্কায় সমবেত হন। ওগুলোর মর্যাদাও স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। আরবী বছরের প্রথম মাস মোহাররমের গুরুত্বও কিছুটা ব্যতিক্রম। তবে মুমিনের ঈমানী জিন্দেগীতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাস হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান।

আমাদের মাঝে পবিত্র মাহে রমজান এসে উপস্থিত। নবী করীম (সা.) থেকে নিয়ে পরবর্তী বুযূর্গানে দ্বীন রমজান আসার আগেই রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। দুর্বল এক বর্ণনায় পাওয়া যায়, রজব মাস আসার পর থেকে রাসূল (সা.) দোয়া করতেন, হে আল্লাহ! রজব ও শাবান মাসে আমাদের হায়াতে বরকত দিয়ে রমজান পর্যন্ত আমাদেরকে পৌঁছে দিন। এটা ছিলো নবী করীম (সা.) এর মনের আকাঙ্খা। প্রতিটি মুমিনের অন্তরেই এমন আকাঙ্খা লালিত হয়। এক বর্ণনায় এসেছে, রমজান আসার আগেই নবী করীম (সা.) কোমড়ে গামছা বেঁধে নেমে যেতেন। মোহাদ্দিসগণ বলেছেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, তিনি রমজানে ইবাদতের সময় বের করার জন্য পারিবারিক যাবতীয় কাজ কর্ম রমজানের আগেই গুছিয়ে নিতেন।

আমাদের ঈমান দুর্বল। তা সত্বেও মুসলমান হিসেবে রমজানের গুরুত্ব সকলেই কমবেশি জানি। এমন কাউকে পাওয়া যাবে না যে, সে রমজানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে না। রমজানের কিছু কিছু আমল আছে যেগুলোতে সকলেই কমবেশি অংশগ্রহণ করে থাকি। যেমন রমজান এলে রোজা রাখা, রাতের বেলায় তারাবির নামাজ আদায় করা, সেহরি ও ইফতার করা। তাই সাধারণত মনে করা হয় রমজানের বৈশিষ্ট্য শুধু এগুলোই যে, দিনে রোজা রাখা, রাতের বেলায় তারাবির নামাজ আদায় করা আর সেহরি ও ইফতার খাওয়া। অথচ আরো কতো কতো রহমত ও বরকতের বিষয় আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দিয়ে থাকেন তা আমরা জানি না। এ জন্যে সেগুলোর ব্যাপারে আমরা তৎপর হই না। এক হাদিসে এসেছে, নবী করীম (সা.) রমজানের শেষরাতে জেগে ওঠতেন এবং বলতেন, ‘তোমরা পরিবারের লোকদেরকে সজাগ করে দাও। দেখো! আল্লাহ তায়ালা আকাশের খাযানা খুলে দিয়েছেন। তোমাদের মাঝে যে চায় সে তা গ্রহণ করতে পারে! তবে রমজানের আমল অনেক রকম থাকলেও রমজানের গুরুত্বের মূল কারণ হচ্ছে, মহা গ্রন্থ আল কোরআন এ মাসে নাযিল হয়েছিলো। যে কোরআন মানবজাতিকে হিদয়েত করবে আলোর দিকে। যার বর্ণনা বহু হাদীস ও তাফসীরের কিতাবগুলোতে এসেছে।


মহাগ্রন্থ আল কোরআনকে দুবার নাযিল করা হয়েছে এবং উভয়টি ছিলো রমজানে।

(এক) লওহে মাহফুজ থেকে দুনিয়ার আসমানে নাযিল করা:

অফুরন্ত নেয়ামত ও বরকতের মাস হচ্ছে রমজান। এ মাসের একটি প্রসিদ্ধ ও বরকতময় রজনী হচ্ছে শবে কদর। উলামায়ে কেরাম বলেন, রমজানের মর্যাদার কারণ হচ্ছে, এই শবে কদর। এই এক রাতের ইবাদত, আল্লাহ তায়ালার কাছে হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম। আল কোরআনে বলা হয়েছে, ‘শবে কদর হাজার মাস থেকে উত্তম। তাতে ফেরেশতারা ও জিবরাইল (আ.) অবতীর্ণ হন তাদের রবের হুকুমে, প্রত্যেক কাজ নিয়ে।’ (সূরা কদর-৩,৪) আর শবে কদরের মর্যাদার কারণ হচ্ছে, এই রাতে আল কোরআনকে লাওহে মাহফুজ থেকে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার আসমানে নাযিল করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে তাফসিরের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘রুহুল মাআনি’ তে লেখা হয়েছে, ‘ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, শবে কদরে লাওহে মাহফুজ থেকে আল কোরআনকে এক সঙ্গে নাযিল করে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার আকাশে বাইতুল ইজ্জাত নামক স্থানে রাখেন। সেখান থেকে হজরত জিবরাইল (আ.) তেইশ বছরে নবী করীম (সা.) এর ওপর পূর্ণ কোরআন নাযিল করেন। তেইশ বছরে রাসূল (সা.)-কে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হতো বা মানুষেরা অনেক রকমের আমল করে নবী করীম (সা.) এর কাছে এর বিধান জানতে আসতো, তো এই পরিপ্রেক্ষিতে হজরত জিবরাইল (আ.) ওহি নিয়ে এসে রাসূল (সা.)-কে প্রশ্নের জবাব বা আমলের শরয়ী বিধান জানিয়ে দিতেন। এভাবেই তেইশ বছরে পূর্ণ কোরআন নাযিল হয়।’ (রুহুল মাআনি, খন্ড-৩০, পৃষ্ঠা-৫২২) কোরআন নাযিল ও শবে কদর সম্পর্কে আরো অনেক মতামত রয়েছে। তবে অন্যান্য মতগুলোকে প্রত্যাখ্যান করত প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ইবনে হাজার (রাহ.) সহীহ বোখারীর ব্যাখ্যা গ্রন্থে লেখেন, ‘ এই রাতে কোরআনকে একসঙ্গে লওহে মাহফুজ থেকে দুনিয়ার আসমানে বাইতুল ইজ্জাত নামক স্থানে অবতীর্ণ করা হয়।’ (রুহুল মাআনী-খন্ড-৩০, পৃষ্ঠা-৫২৩)

আলোচনার সারাংশ হচ্ছে, রমজানের গুরুত্বের কারণ হচ্ছে, শবে কদর আর শবে কদরের গুরুত্বের কারণ হচ্ছে আল কোরআন। তাই বলা যায়, এই মাসে আল্লাহ তায়ালা কোরআনকে নাযিল করেছিলেন বিধায় রমজানের এত গুরুত্ব। এক আয়াতেও বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত পাওয়া যায়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘রমজান মাস, যে মাসে কোরআন নাজিল করা হয়েছে, যা মানব জাতির জন্য পথপ্রদর্শক ও (তাতে রয়েছে) সৎ পথ পাওয়ার ও (সত্যকে মিথ্যা থেকে) পৃথক করার উজ্জল প্রমাণাদি।’ (সূরা বাকারা-১৮৫)

আয়াতের মর্ম হচ্ছে, আল কোরআন নাযিল হয়েছে মানবজাতির হেদায়েতের জন্য। আর হেদায়েতের এই কিতাব নাযিলের জন্য সময় নির্বাচন করা হয়েছে রমজান মাসকে। যা দ্বারা রমজানের সঙ্গে কোরআনের সম্পর্ক কতটুকু গভীর, তা স্পষ্টভাবে বুঝা যায়। তাফসিরে উসমানিতে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘হাদীস শরীফে আছে যে, হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর সহীফা, তাওরাত ও ইঞ্জিল সবই রমজান মাসে অবতীর্ণ করা হয়েছিলো। আর কোরআন শরীফও রমজানের ২৪তম রাতে লওহে মাহফুজ থেকে প্রথম আকাশে সবটুকুকে একত্রে নাজিল করা হয়। এরপর দুনিয়ার আসমান থেকে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রাসূল (সা.) এর ওপর অল্প অল্প করে নাযিল হয়।... প্রতি রমজানে অবতীর্ণ হওয়া অংশটুকু জিবরাইল (আ.) রাসূল (সা.)-কে শুনিয়ে যেতেন। এ সকল ঘটনা থেকে রমজান মাসের মর্যাদা ও কোরআনের সঙ্গে এর গভীর সম্পর্ক ও বৈশিষ্ট্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ জন্য এ মাসে তারাবির নামাজ দেয়া হয়েছে। উক্ত নামাজে দীর্ঘ সময় কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। রমজান মাসে তারাবির নামাজে কোরআনকে একবার হলেও খতম করতে হয়। অতএব রমজান মাসে কোরআনের খেদমত খুবই যত্ন ও গুরুত্বসহকারে করা উচিত। কেননা কোরআনের খেদমতের জন্যই আল্লাহ তায়ালা এই মাসকে নির্ধারণ করেছেন। (তাফসিরে উসমানি-৭২)

 (দুই) দুনিয়ার আসমান থেকে রাসূল (সা.) এর ওপর ওহি শুরু হয় রমজানে: 

রাসূল (সা.) যখন হেরা গুহায় ধ্যানে মগ্ন থাকেন তখন এই রমজানেই তার ওপর প্রথম ওহি নাযিল হয়। তাছাড়া রোজা ফরজ বিধান হওয়ার বিষয়টা বাদ দিলে, রমজানের অফুরন্ত নেয়ামত ও বরকতের কারণও হচ্ছে আল কোরআন। এ প্রসঙ্গে সামনে আলোচনা আসবে। রমজানের মাহাত্ম্য যেহেতু কোরআনের খাতিরে, তাই নবী করীম (সা.) থেকে নিয়ে পরবর্তী সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ী ও তাবেতাবেয়ী সকলেই রমজানে কোরআন চর্চাকে খুব গুরুত্ব দিতেন। তাদের সময় ব্যয় হতো কোরআন তেলাওয়াত, কোরআন শিখা, শেখানো ও কোরআনের অন্যান্য খেদমতে। রমজান ছাড়া অন্য সময়ে নবী করীম (সা.) তাহাজ্জুদে দীর্ঘ সময় কোরআন তেলাওয়াত করতেন। কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার কারণে তাঁর পা ফুলে ওঠতো। সাহাবায়ে কেরাম বলতেন, আল্লাহ তায়ালা কী আপনার সমস্ত কিছু মাফ করে দেননি? তাহলে আপনি এত দীর্ঘ নামাজ কেন পড়েন যে, পা ফুলে ওঠে? রাসূল (সা.) তাদের উত্তরে বলতেন, আমি কী আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হবো না? তবে রমজানে তিনি ও হজরত জিবরাইল (আ.) কোরআন কেন্দ্রিক বিশেষ মেহনত করতেন। তিনি হজরত জিবরাইল (আ.)-কে নিয়ে কোরআনের দাওর করতেন। দাওর বলা হয়, একজন তেলাওয়াত করা অপরজন শুনা। তারপর অন্যজন তেলাওয়াত করা ও প্রথমজন শুনা। দাওর করার দ্বারা নবী করীম (সা.) এর বিভিন্ন উদ্দেশ্য ছিলো।

 (১) কোরআনের হেফজকে মজবুত করা: নবী করীম (সা.) কোরআনকে ভালোভাবে মুখস্থ রাখার জন্য হজরত জিবরাইল (আ.)-কে শুনাতেন। নবী করীম (সা.) হচ্ছেন ওই ব্যক্তি যার কোরআন মুখস্থ রাখার জন্য দাওরের প্রয়োজন ছিলো না। এর দ্বারা মূলত তিনি পরবর্তী উম্মতকে কোরআন হেফাজতের পদ্ধতি শিখিয়েছেন।

(২) ক্বেরাত ঠিক করা: হাদীসে এসেছে আল্লাহ তায়ালা আরবের প্রচলিত সাতটি আরবি ভাষায় কোরআন নাযিল করেছিলেন, যেন প্রত্যেক এলাকার মানুষ কোরআন শিখতে পারে। ভাষার ভিন্নতা ছাড়াও পড়ার পদ্ধতিও বিভিন্ন রকম ছিলো। নবী করীম (সা.) হজরত জিবরাইল (আ.)-কে কোরআন তেলাওয়াত শুনিয়ে, তার থেকে জেনে নিতেন কোন পদ্ধতি বহাল রাখা যাবে আর কোনটি বহাল রাখা যাবে না।

(৩) উম্মতকে শিক্ষা দেয়া: কোরআন দাওরের একটি হেকমত ছিলো উম্মতকে শিক্ষা দেয়া যে, আমি এবং জিবরাইল (আ.) কোরআনের দাওর করে যেভাবে অফুরন্ত নেয়ামত ও রহমত লাভ করছি তোমরাও কোরআনের দাওর করে তার অধিকারী হও। (ইনআমুল বারী শরহে সহীহিল বোখারী, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-২৪৬)

 সাহাবায়ে কেরামের মাঝে অনেকে ছিলেন যারা রমজানের পুরো রাত কোরআন তেলাওয়াত করে পার করে দিতেন। হজরত ওসমান (রা.) সারা রাত কোরআন তেলাওয়াত করতেন। হজরত ইমাম আবু হানিফা (রা.) প্রতি রাতে একবার কোরআন খতম করতেন। এ সকল ঘটনা দ্বারা প্রমাণিত হয়, আমাদের পূর্ববর্তী বুযূর্গদের অন্তরে কোরআনের প্রতি টান কেমন ছিলো। কিন্তু আফসোস! আমরা রমজান মাস পার করি কিন্তু কোরআন শেখার কোনো গুরুত্ব উপলব্ধি করি না। অথচ কুরআনের আলো ছাড়া খাঁটি মুমিন হওয়া কখনো সম্ভব নয়। 

রাসূল (সা.) বলেছেন, যার ভেতর কোরআন নেই সে বিরাণ বাড়ির মতো। অর্থাৎ বিরাণ বাড়িতে যেমন জ্বিনেরা বাসা বাঁধে তেমনি যার ভেতর কোরআন নেই তার ভেতরও শয়তান বাসা বেঁধে থাকে। তাই পবিত্র রমজানে আমাদের কাজ হোক কোরআন শেখা। কোরআনের বিধিবিধানকে বাস্তবায়নের দৃঢ় প্রত্যয় হোক এই রমজান থেকে।    

img

শেষ দিনে ভিসার অপেক্ষায় ৩৭ শতাংশ হজযাত্রী

প্রকাশিত :  ১০:৫৯, ১১ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৪, ১১ মে ২০২৪

হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করার জন্য দ্বিতীয় দফায় আবেদনের জন্য বাড়ানো সময় শেষ হচ্ছে আজ শনিবার।  কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়নি। 

শনিবার সকালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

হজ এজেন্সি মালিক ও ধর্ম মন্ত্রণালয় আশা করছে, শনিবারের মধ্যে বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে। অল্প কিছু বাকি থাকলে, সেটাও দু-একদিনের মধ্যে করার জন্য সময় পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না- এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই।

ধর্ম মন্ত্রণালয় এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল । এরপর সেটি ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সবশেষ ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিন পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন ৬ হাজার ৩৯২ জন যাত্রী। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে সাতটি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ২ হাজার ৭৬৯ জন যাত্রী। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ৯টি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ৩ হাজার ৬২৩ জন হজযাত্রী। 

এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৬৬৮ জন, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১টি ফ্লাইটে ৪৪৫ জন, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৫১০ জন সৌদি আরব গেছেন। দুই দিনে তিন বিমান সংস্থার ১৬টি ফ্লাইটে ৬ হাজার ৩৯২ হজযাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন।

বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। কোনো অভিযোগ ছাড়াই যাত্রীরা ঢাকা ত্যাগ করছেন।

এদিকে বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে যাদের ভিসা হয়নি তারা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। যদিও ধর্মমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন ভিসা নিয়ে জটিলতা কেটে যাবে। ২৫৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সির অনেকেই প্রথম দফার বর্ধিত সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ না করায় দ্বিতীয় দফা সময় বাড়ানো হয়েছে।