img

করোনায় খাবার জীবাণুমুক্ত করতে ইউনিসেফের পরামর্শ

প্রকাশিত :  ১০:৩৪, ০৯ মে ২০২০

করোনায় খাবার জীবাণুমুক্ত করতে ইউনিসেফের পরামর্শ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে খাবার জীবাণুমুক্ত করা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৭টি পরামর্শ দিয়েছে ইউনিসেফ।

করোনার ভয়াবহতার এই সময়ে সবাই যখন ঘরবন্দি তখন স্বাস্থ্যকর খাবারের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ খাবারই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে জোরদার করার অন্যতম প্রধান উপায়।

লকডাউনের এই সময়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ধরে রাখতে ৭টি পরামর্শ দিয়েছে ইউনিসেফ। যার মূল প্রতিপাদ্য হলো খাবার জীবাণুমুক্ত করা ও প্যাকেটজাত খাবার জীবাণুমুক্ত রাখতে করণীয়।

ইউনিসেফের ৭ পরামর্শ-

১. খাবার ও খাবারের মোড়ক থেকে করোনা সংক্রমণ হতে পারে। নিজে বাজার করুন কিংবা হোম ডেলিভারি নেন- বাজারের ব্যাগ, খাবারের মোড়ক কিংবা কাঁচা তরকারির ওপরে করোনাভাইরাস পড়ে থাকতে পারে। যা স্পর্শ করলে এবং হাত পরিষ্কার না করলে আপনিও আক্রান্ত হতে পারেন করোনাভাইরাসে। তাই বাইরে থেকে আনা যেকোনো জিনিস স্পর্শ করার পরই সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

২. খাবারের মোড়ক ময়লার ঝুঁড়িতে ফেলে দিতে হবে। খাবারের কৌটা খোলার আগে তার বাইরের অংশে জীবাণুনাশক প্রয়োগ করে মুছে নিতে হবে। কাঁচা তরকারি ধুতে হবে বহমান পানিতে। সম্ভব হলে সেখানেও সাবান ব্যবহার করতে পারেন। এরপর হাত ধুয়ে ফেলুন।

৩. রান্না ও খাবার পরিবেশনের আগে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৪. মাছ, মাংস কাটার জন্য আলাদা ‘চপিং বোর্ড’ ব্যবহার করুন।

৫. যেসব খাবার নষ্ট হতে পারে তা ফ্রিজে রাখুন। মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৬. ঘরের বর্জ্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। একটি ব্যাগে সব বর্জ্য বেঁধে ফেলা উচিত।

৭. খাবার পরিবেশন ও খাওয়ার আগে থালা-বাসন-চামচ পরিষ্কার করে নিতে হবে। ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। এছাড়া পরিবারের সব সদস্যের হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন।

img

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের সম্পর্ক

প্রকাশিত :  ১৩:৪৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫৭, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক। প্রতি রাতে যারা ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্যা ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে জামা নেটওয়ার্ক ওপেন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের বরাতে বলা হয়েছে, যারা প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার কম সময় ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৬ শতাংশ। এই ক্ষতি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেও পূরণ করা যাবে না।

যুক্তরাজ্যের প্রায় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের উপর গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রাতে সাত ঘণ্টার বেশি ঘুমান তাদের তুলনায় যারা তিন থেকে চার ঘণ্টা ঘুমান তাদের ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা ৪১ শতাংশ বেশি। যুক্তরাজ্যে আনুমানিক ৪.৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং ১৩.৬ মিলিয়ন মানুষ তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইপ-টু ডায়াবেটিস শরীরের চিনি বা গ্লুকোজ প্রক্রিয়ার ক্ষমতায়কে প্রভাবিত করে এবং শরীরে ইনসুলিন শোষণে বাধা দেয়; যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। সময়ের সাথে সাথে এটি গুরুতর শারীরিক ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে স্নায়ু এবং রক্তনালির।

 যুক্তরাজ্যের বায়োব্যাঙ্কে সংরক্ষিত ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুসের চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার ১২ বছরের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়েছে।

এতে গবেষকরা দেখেছেন, যারা স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন, সপ্তাহে দুইবারের কম লাল মাংস, প্রতিদিন চার চামচের বেশি শাকসবজি, প্রতিদিন দুই বা তিন টুকরার বেশি ফল গ্রহণ করেন এবং সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাছ খান, এমন ৭,৯০৫ জনের টাইপ-টু ডায়াবেটিস দেখা দিয়েছে।

সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গবেষক ক্রিশ্চিয়ান বেনেডিক্ট বলেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস মেনে চলা ব্যক্তিদের টাইপ-টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ২৫ শতাংশ কম এবং যারা এই খাদ্যাভাস মেনে চলেছেন কিন্তু ৬ ঘণ্টার কম ঘুমিয়েছেন তাদের আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা বেশি।