img

ত্বকের সৌন্ধর্যের জন্য প্রতিদিন যা করতে হবে

প্রকাশিত :  ১৫:১২, ১৮ অক্টোবর ২০১৮
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:২০, ১৮ অক্টোবর ২০১৮

ত্বকের সৌন্ধর্যের জন্য প্রতিদিন যা করতে হবে

জনমত ডেস্ক ।। ত্বকের কুঁচকে যাওয়া ঠেকাতে কৃত্রিম পদ্ধতির চেয়ে খাবারের দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শই দিচ্ছেন মার্কিন গবেষকেরা। এ নিয়ে বিস্তর গবেষণাও চলছে।
বলিরেখা দূর করার জন্য বিশেষ কিছু খাবারের পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন গবেষকেরা। লস অ্যাঞ্জেলেসের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ জেসিকা উ জানিয়েছেন, ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। ‘ফিড ইওর ফেস’ নামের একটি বইও লিখেছেন জেসিকা।
জেসিকা জানিয়েছেন, মানুষ যেসব খাবার গ্রহণ করে তা হরমোনের ভারসাম্যের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। ত্বকের বয়স বাড়ার সঙ্গে খাবারের ভূমিকা রয়েছে। জেসিকার মতে, অলিভ ওয়েলকে ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে মনে করা হয়। ২০১২ সালে ‘প্লস ওয়ান’ সাময়িকীতে এক গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল যাতে এক হাজার ২৬৪ জনের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায় প্রতিদিন ২ চা চামচ পরিমাণ অলিভ ওয়েল গ্রহণ করলে ৩১ শতাংশ ক্ষেত্রে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে। অলিভ ওয়েলে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বক সজীব রাখে।
অলিভ ওয়েলের পাশাপাশি ত্বকের যত্নে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান টমেটো। যাঁরা প্রতিদিন পাঁচ চা চামচ পরিমাণ টমেটো স্যুপ খান এবং সঙ্গে এক চামচ করে অলিভ ওয়েল, তাঁদের ত্বক অন্যদের তুলনায় বেশি সজীব থাকে। ২০০৮ সালে যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা পরীক্ষা করে দেখেছেন যাঁরা শুধু অলিভ ওয়েল গ্রহণ করেন তাদের তুলনায় টমেটো ও অলিভ ওয়েল গ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ ক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া যায়। গবেষকেরা বলেন টমেটো লাইকোপেন নামে বিশেষ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের সজীবতা আনতে পারে। এ ছাড়াও টমোটোর পুষ্টিগুণ থাকায় এটি ফুসফুস, অগ্ন্যাশয়, কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক।
ত্বক ভালো রাখতে গবেষকেদের পরামর্শ হচ্ছে গ্রিন টি পান করা। ২০১১ সালে ‘জার্নাল অব নিউট্রিশনে’ প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বলা হয় যারা ১২ সপ্তাহ ধরে দৈনিক গ্রিন টি পান করেন তাদের ত্বক বেশি মসৃণ ও নমনীয় হয়। এ ছাড়াও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা পায়। গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকে রক্তের প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে এবং ত্বক সুস্থ রাখে।
ত্বক ভালো রাখতে বেশি করে পানি খাবার বিকল্প নেই। ত্বকের ভাঁজ দূর করার পাশাপাশি বেশি করে পানি পান করলে শরীরে চিনি জমতে পারে না। শরীরে চিনির পরিমাণ বেড়ে গেলে ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। গবেষকেদের পরামর্শ হচ্ছে ত্বকের সমস্যা দূর করতে বেশি করে পানি পান করতে হবে।
পানির পাশাপাশি নিয়মিত কফি পান করলেও ত্বকের ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যেতে পারে। তবে কফি পানের পরিমাণ যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখার পরামর্শও দেন গবেষকেরা।
ত্বকের যত্নে ডিম উপকারী। ডিমে চর্বি কম প্রোটিন থাকে বেশি। গবেষকেরা বলেন, খাবারে যত চর্বি কম তত ত্বকের জন্য ভালো। ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বলা হয় ১৭ গ্রাম চর্বির বৃদ্ধিতে ২৮ শতাংশ ত্বকের কুচকে যাওয়া ভাব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ত্বকের যত্নে সবজি হিসেবে মিষ্টি কুমড়া এবং গাজরও উপকারী হতে পারে। মিষ্টি কুমড়ায় থাকা বিটা ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এর চাহিদা পূরণ করে। ত্বককে সজীব ও নরম ও সতেজ রাখতে সক্ষম দৈনিক আধ কাপ পরিমাণ মিষ্টি কুমড়ার তরকারি।
গবেষকেরা বলেন, সুন্দর ত্বকের জন্য গাজর উত্কৃষ্ট খাবার। তাঁরা বেশি বেশি গাজর খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
সুন্দর থাকবেন কী খেলে?
নানান উপকরণ একসঙ্গে মিলিয়ে বা গুঁড়া করে নানান প্যাক তৈরির ঝক্কিতে হয়তো নিজের ত্বক বা চুলের যত্ন নেওয়াই হয় না। ব্যস্ত জীবনে এই হ্যাপা কজন সামলাতে পারেন, বলুন তো? সময় নেই, তাই বলে থেমে থাকবে রূপচর্চা? একদমই তা নয়। রোজকার খাবারদাবার একটু বুঝেশুনে খেলে খাবার থেকেই মিলবে চুল, ত্বক ও নখের সৌন্দর্যের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্মরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হরষিত কুমার পাল বলেন, চুল, নখ ও ত্বক সুস্থ রাখতে প্রয়োজন সুষম খাদ্যাভ্যাস। প্রতিটি খাদ্য উপাদান গ্রহণ করতে হবে পরিমাণমতো। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শর্করা, আমিষ, স্নেহজাতীয় পদার্থ, ভিটামিন, খনিজ উপাদান ও পানি রাখতে হবে সঠিক পরিমাণে। কোনো খাদ্য উপাদান ত্বক বা চুলের জন্য উপকারী বলে সেই উপাদানটি অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করা যেমন ঠিক নয়, তেমনি কোনো একটি খাদ্য উপাদান দৈনন্দিন চাহিদার চেয়ে কম পরিমাণে গ্রহণ করাও উচিত নয়
তিনি আরও জানালেন, পানি যেমন ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখে, তেমনি প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি পান করলে কিডনিতে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই প্রয়োজনের তুলনায় কম বা বেশি পানি পান করা কোনোটিই ঠিক নয়; যতটা প্রয়োজন, ততটাই পান করতে হবে। আপনার শরীরের পানির চাহিদা মিটছে কি না, তা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। পানির চাহিদা পূরণ না হলে প্রস্রাবের রং হলুদ দেখায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়াও থাকতে পারে।

রূপচর্চায় খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্ব সম্পর্কে আরও জানালেন রূপবিশেষজ্ঞ সোনালী ফেরদৌসি মজুমদার। দেখুন তাঁর পরামর্শ।
১. চুল মজবুত ও সুস্থ রাখতে আমিষজাতীয় খাবার প্রয়োজন। আমিষের অভাবে চুল পড়ে যেতে পারে। উজ্জ্বল ত্বক ও সুন্দর নখের জন্যও চাই আমিষজাতীয় খাবার। মাছ, মাংস, ডিম, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, দুধ ও দুধের তৈরি খাবার থেকে আমিষ পাওয়া যায়।
২. আয়রনের অভাবেও চুল পড়তে পারে। কচুশাকসহ অন্যান্য সবুজ শাক, পেয়ারা, আপেল, কলিজা প্রভৃতিতে আয়রন রয়েছে।
৩. ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মাথা ও দেহের ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। মাছের তেল ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস।
৪. সুস্থ চুল ও সুস্থ ত্বকের জন্য আরেকটি প্রয়োজনীয় উপাদান ভিটামিন এ। রঙিন শাকসবজি ও ফলমূলে রয়েছে ভিটামিন এ।
৫. চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ করতে সাহায্য করবে বায়োটিন। কাঠবাদাম, ডিমের কুসুম, কলিজা প্রভৃতি থেকে মিলবে প্রয়োজনীয় এই উপাদানটি।
৬. চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করবে জিংক। ত্বকের কোষগুলোর জন্যও জিংক প্রয়োজন। গম, যবসহ বিভিন্ন শস্যকণায় মিলবে জিংক।
৭. ত্বকের জন্য আরও একটি প্রয়োজনীয় উপাদান হলো ভিটামিন সি। লেবু, আমড়া, পেয়ারাসহ বিভিন্ন টক ফলে পাবেন প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি।
৮. এ ছাড়া চুল ও ত্বকের সৌন্দর্যে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
*[২]
মুখের ত্বকে ক্রিম

মুখে আগে কিছুটা ক্রিম লাগান। এবার দুই আঙুল থুতনির ওপর রাখুন। থুতনিতে হালকা একটু চাপ দিয়েই দুই হাত দুই দিকের কানের লতির কাছে নিয়ে যান।সময়টা যেমনই হোক শীত বা গরমকাল, মুখে ক্রিম মাখতে হবেই। ঋতু অনুযায়ী হয়তো ক্রিমের ধরন কিছুটা বদলে যাবে। যে ধরনের হোক বিশেষজ্ঞরা ভালো মানের ক্রিমটাই ব্যবহার করতে বলেন। আবার বয়স বুঝেও বেছে নিতে হবে ক্রিম। ক্রিমের কৌটার ওপরেই বয়স উল্লেখ করা থাকে। কথা আরও আছে। শুধু ভালো মানের ক্রিম ব্যবহার করলেই হবে না। মুখে ক্রিম লাগাতে হবে সঠিক উপায়ে ও একটু সময় নিয়ে

এবার নাকের দুই দিক থেকে আঙুল দুটি চলে যাবে কানের ওপরের অংশ পর্যন্ত।মুখে ক্রিম কীভাবে মাখতে হবে তা বুঝিয়ে দিলেন আয়ুর্বেদ রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা। তিনি প্রথমেই জানালেন, মানুষের ত্বক পাঁচ ধরনের সাধারণ, শুষ্ক, তৈলাক্ত, মিশ্র ও স্পর্শকাতর। ২০ বছর বয়স পর্যন্ত আমাদের ত্বক এমনিতেই ভালো থাকে। ক্ষয়ক্ষতি শুরু হতে থাকে এর পর থেকে। ত্বকের অযত্নের ফলাফল পাওয়া যায় ৩০ বছরের পর থেকে। তাই ২৫ বছর থেকেই ত্বক সম্পর্কে সচেতন হয়ে যাওয়া ভালো। গোসল, মুখ ধোয়া বা অন্য কোনো কারণে ত্বকে পানি লাগলেই ময়েশ্চারাইজার মাখা উচিত। শুষ্ক ত্বকে চাই ভারী ক্রিম। তৈলাক্ত ত্বকে পানি বেশি আছে এমন ক্রিম। আর স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য একটু বুঝে-শুনে ক্রিম বেছে নেওয়া উচিত। সম্ভব হলে আগে ছোট কৌটা কিনে কিছুদিন ব্যবহার করুন। ত্বকে কোনো সমস্যা না হলে পরবর্তী সময়ে বড় কৌটা কিনতে পারেন। একই রকম ত্বক হলেই যে একই ক্রিম মানিয়ে যাবে, তা কখনো কখনো না-ও হতে পারে।

২০ বছর পার হলেই রাত ও দিনের জন্য আলাদা ক্রিম কেনা উচিত। ২০ বছর বয়সের আগে ত্বক ভালো থাকার কারণে যেভাবে ইচ্ছা ক্রিম লাগানো যায়। ওই বয়সে নিয়ম-কানুন বেশি অনুসরণ না করলেও ক্ষতি নেই। ২৫ বছরের পর একটু নিয়ম মেনে ক্রিম লাগানো উচিত। ত্বককে ওপরের দিকে তুলে ধরে মুখে ক্রিম মালিশ করতে হবে। ফেসওয়াশ ব্যবহার করার সময়ও একই নিয়ম অনুসরণ করা উচিত। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখের ত্বক নিচের দিকে ঝুলে যেতে থাকে। গলায় ভাঁজ পড়ে সবার আগে। মুখের ক্রিমটা পুরো গলাতেও লাগাতে হবে। এতে করে মুখের ও গলার রং, টোন একই রকম হবে।

*[৩]
মুখে দাগ!
চোখে কালি, ব্রণ বা মেস্তার দাগ, ব্ল্যাকহেডস জমে যাওয়াসহ নানা কারণে মুখের কোনো কোনো অংশের রং পরিবর্তিত হতে দেখা যায়। পুরো মুখের ত্বক একই রকম রাখতে কীভাবে রূপচর্চা করতে পারেন, তা জানাচ্ছেন রূপবিশেষজ্ঞ আমিনা হক
চোখের কালি দূর করতে
১. শসা বা আলু ছেঁচে চোখের ওপর ২০ মিনিট রেখে দিন। ব্যবহৃত টি ব্যাগ কিছুক্ষণ চোখের ওপর রেখে দিলেও কাজে দেবে।
২. বাঁধাকপি সেদ্ধ করে তার পেস্টও চোখে লাগিয়ে রাখতে পারেন।
৩. পেস্তাবাদাম বাটার সঙ্গে অল্প মধু লাগিয়ে ব্যবহার করলেও চোখের কালি দূর হয়
৪. করলা হালকা ছেঁচে চোখের ওপর দিয়ে রাখতে পারেন।
মুখে ব্রণের কালো দাগ দূর করতে
১. কাঁচা ব্রণে সমপরিমাণ লবঙ্গ, তুলসীপাতা, নিমপাতা, পুদিনাপাতা একসঙ্গে পেস্ট করে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখলে সেখানে দাগ হবে না।
২. শুষ্ক ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করতে লবঙ্গ তেল খুব উপকারী।
৩. ব্রণ শুকিয়ে যাওয়ার পর মুখে চিনি আর দারুচিনি বাটা একসঙ্গে পেস্ট করে লাগাতে পারেন। লবঙ্গ বা দারুচিনি ত্বকে লাগানোর পর একটু জ্বালা করবে, এতে কোনো ক্ষতি নেই।
মেস্তার দাগ দূর করতে
১. অ্যালোভেরা জেল বের করে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন।
২. তালমাখনা অথবা ইসবগুলের ভুষি কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। থকথকে হয়ে যাওয়ার পর মুখে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে পারেন।
ব্ল্যাক হেডস দূর করতে
১. পোলাওয়ের চাল ও মুগ ডাল আধা ভাঙা করে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এটি ১০-১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখার পর যেসব জায়গায় ব্ল্যাক হেডস বেশি, সেখানে হালকা ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন।
২. সুজি হালকা ভেজে নিয়ে তার সঙ্গে টকদই ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. ডিমের সাদা অংশ ও বেকিং সোডার মিশ্রণ মুখে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখার পর টিস্যু পেপার দিয়ে চাপ দিলেও ব্ল্যাক হেডস সহজে উঠে আসে।
৪. লেবুর রস আর চিনি জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করার পর এই মিশ্রণ দিয়ে স্ক্রাবিং করে নিন। এরপর পরিষ্কার পাতলা কাপড় দিয়ে মুখে হালকা চাপ দিয়ে ব্ল্যাক হেডস তুলে নিতে পারেন।
রোদে পোড়া ভাব দূর করতে
১. টমেটোর রস এবং মধু রোদে পোড়া ভাব দূর করে।
২. গাজর, মধু এবং বেকিং পাউডারের মিশ্রণও কার্যকরী।
৩. শুষ্ক ত্বকে তিলের তেল ভালোভাবে কিছুক্ষণ মালিশ করে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।
এ ছাড়া মেকআপের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কীভাবে মুখের ত্বকের এ খুঁতগুলো ঢেকে রাখতে পারেন, সেই উপায় বাতলে দিলেন রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা মুন্নী। তিনি জানালেন, ব্রণের দাগ ছাড়াও ঠোঁটের আশপাশ, চিবুক, চোখের নিচে নানা কারণে কালচে হয়ে যায়। মেকআপের সময় সবার আগে ওইসব জায়গায় ত্বকের ধরন ও রং অনুযায়ী কনসিলার ব্যবহার করতে হবে। সাধারণত গায়ের রঙের চেয়ে এক ধাপ গাঢ় রঙের কনসিলার ব্যবহার করতে হয়। এরপর আঙুল কিংবা নরম ব্রাশ দিয়ে সেসব স্থানে কনসিলার ভালোভাবে বসাতে হবে। তারপর ফাউন্ডেশন, ফেস পাউডার দিয়ে বেস করে নিয়ে ব্লাশন, শিমার ও আর যা যা লাগাতে চান, লাগাতে পারেন। চোখের আশপাশের অংশের ত্বক খুব নাজুক, তাই সেখানে কনসিলার লাগিয়ে ঘষাঘষি করা একদম উচিত হবে না বরং আলতো করে ব্রাশ চেপে তা বসাতে হবে।

img

বৃষ্টির সময় নিরাপদে থাকতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১২:৩২, ১৩ মে ২০২৪

ঝড়-বৃষ্টির কাল গ্রীষ্মে বৃষ্টি হবেই। এতে প্রশান্তির পরশ যেমন রয়েছে, তেমনই মুখোমুখি হতে হয় নানা অসুবিধারও। তাই বলে তো নিজের অফিস আর বাসার কাজ থেমে থাকে না। তবে বাসা থেকে কোথাও যাওয়ার লক্ষ্যে বের হওয়ার পর বৃষ্টি শুরু হলে তা মহাবিপদের। না হয় সঠিক সময়ে কাজে পৌঁছানো, না থাকে নিজের পোশাক ঠিক। আবার বৃষ্টির মধ্যেই যত দুর্ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুরক্ষা রাখা জরুরি।

বৃষ্টির সময় নিরাপদে থাকার উপায়সমূহ-

১. বাসা বা বাড়ির বাইরে থাকলে নিরাপদ কোনো জায়গায় থাকা প্রয়োজন। রাস্তায় কিংবা খোলা কোনো জায়গায় কখনোই থাকা যাবে না। প্রয়োজনে নিকটবর্তী কোনো নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিন।

২. বৃষ্টি বা ঝড় হলে তখন গাড়ি চালানো একদমই উচিত নয়। এ সময় রাস্তার পাশে নিরাপদ জায়গা দেখে গাড়ি থামিয়ে সেখানে আশ্রয় নিন। আর অবশ্যই গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখুন।

 ৩. রাস্তায় যদি বৃষ্টির সময় কোনো খোলা তার বা রাস্তায় তার পড়ে থাকতে দেখেন তাহলে তার আশপাশে যাবেন না। সেই তার যদি পানির স্পর্শে থাকে তাহলে সেই পানি থেকেও সাবধান। সম্ভব হলে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দিন। আর এ সময় যদি রাস্তা পারাপার হতে হয় তাহলে অবশ্যই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করবেন।

৪. বাড়ির ছোট সন্তানদের ভেতরে রাখুন। তাদের কোনোভাবেই বাইরে যেতে দিবেন না।

৫. বৃষ্টির সময় কোনো গাছের নিচে দাঁড়ানো উচিত নয়। এ সময় গাছের ডাল ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

৬. বাসায় বা বাড়ি থাকলে টর্চ লাইট, হারিকেন বা আলোর বিকল্প উপায় রাখুন। বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ বিপর্যয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৭. গ্রীষ্ম বা বর্ষার সময় মোবাইল ফোনে সব সময় যথেষ্ট চার্জ রাখুন। যাতে করে যেকোনো প্রয়োজনে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

৮. বাসা বা বাড়ির বাইরে থাকলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। কেননা, মোবাইল ফোন থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকে।