img

মাস্ক জীবাণুমুক্ত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৫ পরামর্শ

প্রকাশিত :  ২০:২০, ১৭ মে ২০২০

মাস্ক জীবাণুমুক্ত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৫ পরামর্শ

জনমত ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে হাত ধোয়ার পাশাপাশি নাক-মুখ ঢাকা মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মাস্ক ব্যবহারের পর অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে। অপরিষ্কার মাস্ক পরলে আক্রান্ত হতে পারেন করোনাসহ বিভিন্ন রোগে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) পরিবর্তিত নির্দেশিকায় মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছে। আর ব্যবহার করা মাস্ক জীবাণুমুক্ত করতে পরামর্শ দিয়েছে। গেঞ্জির কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার সবচেয়ে ভালো। যেভাবে মাস্ক জীবাণুমুক্ত করবেন-


১. ঘরে ফিরে দড়ি, ফিতে বা রাবার ব্যান্ডের অংশ ধরে মাস্ক খুলতে হবে। সরাসরি মাস্কে হাত দেয়া যাবে না। সাবানপানিতে ভিজিয়ে ধুয়ে নিন। রোদে শুকাতে দিন, তাতে মাস্ক জীবাণুমুক্ত হবে।

২. গরম পানি ও লবণ দিয়ে মাস্ক ফুটিয়ে নিতে পারেন। এর পর রোদে শুকাতে দিন। শুকিয়ে যাওয়ার পর ইস্ত্রি করুন।

৩. ভেজা মাস্ক পরবেন না। এতে সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ৪. ধুতে না চাইলে সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করুন। এই মাস্ক একবার ব্যবহারের পর ফেলে দিতে হয়।

৫. বাইরে গেলে দুটি মাস্ক ব্যাগে রাখুন। মুখে বাঁধা মাস্ক কোনো কারণে নষ্ট হলে বা ভিজে গেলে অন্যটি ব্যবহার করুন। 

img

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের সম্পর্ক

প্রকাশিত :  ১৩:৪৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫৭, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক। প্রতি রাতে যারা ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্যা ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে জামা নেটওয়ার্ক ওপেন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের বরাতে বলা হয়েছে, যারা প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার কম সময় ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৬ শতাংশ। এই ক্ষতি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেও পূরণ করা যাবে না।

যুক্তরাজ্যের প্রায় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের উপর গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রাতে সাত ঘণ্টার বেশি ঘুমান তাদের তুলনায় যারা তিন থেকে চার ঘণ্টা ঘুমান তাদের ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা ৪১ শতাংশ বেশি। যুক্তরাজ্যে আনুমানিক ৪.৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং ১৩.৬ মিলিয়ন মানুষ তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইপ-টু ডায়াবেটিস শরীরের চিনি বা গ্লুকোজ প্রক্রিয়ার ক্ষমতায়কে প্রভাবিত করে এবং শরীরে ইনসুলিন শোষণে বাধা দেয়; যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। সময়ের সাথে সাথে এটি গুরুতর শারীরিক ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে স্নায়ু এবং রক্তনালির।

 যুক্তরাজ্যের বায়োব্যাঙ্কে সংরক্ষিত ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুসের চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার ১২ বছরের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়েছে।

এতে গবেষকরা দেখেছেন, যারা স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন, সপ্তাহে দুইবারের কম লাল মাংস, প্রতিদিন চার চামচের বেশি শাকসবজি, প্রতিদিন দুই বা তিন টুকরার বেশি ফল গ্রহণ করেন এবং সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাছ খান, এমন ৭,৯০৫ জনের টাইপ-টু ডায়াবেটিস দেখা দিয়েছে।

সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গবেষক ক্রিশ্চিয়ান বেনেডিক্ট বলেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস মেনে চলা ব্যক্তিদের টাইপ-টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ২৫ শতাংশ কম এবং যারা এই খাদ্যাভাস মেনে চলেছেন কিন্তু ৬ ঘণ্টার কম ঘুমিয়েছেন তাদের আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা বেশি।