img

লকডাউনে সারাদিন ঘুমিয়ে নিজের ক্ষতি করছেন

প্রকাশিত :  ১১:০৪, ২৫ মে ২০২০

লকডাউনে সারাদিন ঘুমিয়ে নিজের ক্ষতি করছেন

জনমত ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে চলমান অঘোষিত লকডাউনে তেমন কোনো কাজ নেই। টিভি বা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে বেশিরভাগ সময়ই কাটছে ঘুমিয়ে।

আবার একটা কথাও প্রচলিত রয়েছে, সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। কিন্তু এই পর্যাপ্ত মানে একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ট বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা।

এই সময়ের এক প্রতিবদনে বলা হয়, অতিরিক্ত ঘুম শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। আর কী কী ক্ষতি পারে জেনে নিন ---

১. সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ৯ ঘণ্টা ও তার বেশি সময় ঘুমান, তাদের মধ্যে বিষণ্ণতার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

২. বেশি সময়ের ঘুম মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা হ্রাস করে।

৩. কানাডার কুইবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়, রাতে আট ঘণ্টার বেশি ঘুমের কারণে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা হারায় দেহ। এতে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের শঙ্কা বেড়ে যায়।

৪. আট ঘণ্টার বেশি সময় নিয়মিত ঘুমোলে হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৫.  ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত ঘুম।

প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেও ২৬ মার্চ থেকে দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি অফিসসমূহে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। তবে জরুরি প্রয়োজনে সেবা দেয়ার কাজে নিয়োজিত অফিসগুলো খোলা রয়েছে।

img

বৃষ্টির সময় নিরাপদে থাকতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১২:৩২, ১৩ মে ২০২৪

ঝড়-বৃষ্টির কাল গ্রীষ্মে বৃষ্টি হবেই। এতে প্রশান্তির পরশ যেমন রয়েছে, তেমনই মুখোমুখি হতে হয় নানা অসুবিধারও। তাই বলে তো নিজের অফিস আর বাসার কাজ থেমে থাকে না। তবে বাসা থেকে কোথাও যাওয়ার লক্ষ্যে বের হওয়ার পর বৃষ্টি শুরু হলে তা মহাবিপদের। না হয় সঠিক সময়ে কাজে পৌঁছানো, না থাকে নিজের পোশাক ঠিক। আবার বৃষ্টির মধ্যেই যত দুর্ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুরক্ষা রাখা জরুরি।

বৃষ্টির সময় নিরাপদে থাকার উপায়সমূহ-

১. বাসা বা বাড়ির বাইরে থাকলে নিরাপদ কোনো জায়গায় থাকা প্রয়োজন। রাস্তায় কিংবা খোলা কোনো জায়গায় কখনোই থাকা যাবে না। প্রয়োজনে নিকটবর্তী কোনো নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিন।

২. বৃষ্টি বা ঝড় হলে তখন গাড়ি চালানো একদমই উচিত নয়। এ সময় রাস্তার পাশে নিরাপদ জায়গা দেখে গাড়ি থামিয়ে সেখানে আশ্রয় নিন। আর অবশ্যই গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখুন।

 ৩. রাস্তায় যদি বৃষ্টির সময় কোনো খোলা তার বা রাস্তায় তার পড়ে থাকতে দেখেন তাহলে তার আশপাশে যাবেন না। সেই তার যদি পানির স্পর্শে থাকে তাহলে সেই পানি থেকেও সাবধান। সম্ভব হলে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দিন। আর এ সময় যদি রাস্তা পারাপার হতে হয় তাহলে অবশ্যই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করবেন।

৪. বাড়ির ছোট সন্তানদের ভেতরে রাখুন। তাদের কোনোভাবেই বাইরে যেতে দিবেন না।

৫. বৃষ্টির সময় কোনো গাছের নিচে দাঁড়ানো উচিত নয়। এ সময় গাছের ডাল ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

৬. বাসায় বা বাড়ি থাকলে টর্চ লাইট, হারিকেন বা আলোর বিকল্প উপায় রাখুন। বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ বিপর্যয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৭. গ্রীষ্ম বা বর্ষার সময় মোবাইল ফোনে সব সময় যথেষ্ট চার্জ রাখুন। যাতে করে যেকোনো প্রয়োজনে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

৮. বাসা বা বাড়ির বাইরে থাকলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। কেননা, মোবাইল ফোন থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকে।