img

লকডাউন উঠে গেলে সুস্থ থাকতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১৪:৪৯, ২৭ মে ২০২০

লকডাউন উঠে গেলে সুস্থ থাকতে যা করবেন

করোনা ভাইরাস কবে নিশ্চিহ্ন হবে? করোনার আতঙ্ক থেকে মুক্তি মিলবে কবে?- এ কথা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) মনে করে, করোনা থেকে পুরোপুরি মুক্তি কোনোদিনই হয়ত মিলবে না। সংস্থাটির মতে, ‘সবার বাস্তববাদী হওয়াই ভালো, কারণ, এই রোগটা কবে একেবারে চলে যাবে তা কেউ বলতে পারে না।’

 তবে, করোনা সংক্রমণের মধ্যেই ধীরে ধীরে লকডাউন উঠে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশও হয়তো অচিরেই সে পথে যাবে। তার মানে হচ্ছে করোনাকে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে শিখতে হবে। 

বিষেজ্ঞদের মতে, করোনা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে সব সময়ের জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে আমাদের। তাহলে হয়তো করোনার সঙ্গে বসবাস করেও আক্রান্ত হওয়া থেকে নিজেকে এবং অন্যকে বাঁচিয়ে রাখা মানুষের জন্য সহজ হবে। 

জেনে নেওয়া যাক কী কী পদক্ষেপ আমাদের আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে পারে:

১. করোনা থেকে বাঁচতে হাত ধোয়ার অভ্যাসটি অবশ্যই ধরে রাখতে হবে। গণপরিবহনে উঠলে, ভিড় পথে চলাফেরার পর, লিফটের বোতাম, দরজার হাতল বা সিঁড়ির রেলিং ধরলে, অনেকে ব্যবহার করে এমন কিছুতে হাত দিলে, টাকা দেওয়া-নেওয়া করলে সেই হাত নাকে-মুখে-চোখে বা অন্য কোথাও লাগার আগেই ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। 

২. খাওয়ার আগে, টয়লেট থেকে এসে নিয়মিত হাত পরিষ্কার করতে হবে। 

৩. বাইরে বের হওয়ার সময় সঙ্গে ছোট একটা সাবান ও ৭০ শতাংশ অ্যালকোহল আছে এমন স্যানিটাইজার নেয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

৪. সাধারণ মানুষের গ্লাভস পরার দরকার নেই। নিয়ম মেনে না পরলে উল্টো বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। এর চেয়ে হাত ধুয়ে নেওয়া অনেক নিরাপদ।

৫. রাস্তায় বের হলে এখনকার মতো সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। অফিসেও মাস্ক পরে থাকতে হবে। কাপড়ের ট্রিপল লেয়ার মাস্ক ব্যবহার সবচেয়ে ভালো। তবে গরমে সমস্যা বোধ করলে ডাবল লেয়ারের বড় আকারের মাস্ক ব্যবহার করুন। বাড়ি ফিরে সাবান পানি দিয়ে মাস্ক ধুয়ে শুকিয়ে নিন।

৫. মাস্ক পরলেও অন্যদের সঙ্গে ৬ ফুটের বেশি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। না হলে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব রাখা জরুরি।

৬. চোখ নিরাপদ রাখতে চশমা না হয় সানগ্লাস ব্যবহার করুন। কারণ চোখ দিয়েও জীবাণু ঢুকতে পারে।

৭. নারীদের বড় চুল হলে ভালো করে বেঁধে স্কার্ফ বা ওড়নায় মাথা ঢেকে নেবেন। গণপরিবহন ব্যবহার করলে খোলা চুল অন্যের নাকে-মুখে উড়ে লাগতে পারে। সেই চুল পরে নিজের নাকে-মুখে লাগলে বিপদ হতে পারে।

৮. বাইরে বের হলে নিয়মিত ধোয়া যাবে এমন জুতা ব্যবহার করুন।

৯. এ সময় কোনো ধরনের অলংকার ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ ধাতুর উপর প্রায় পাঁচ দিন থেকে যেতে পারে করোনার জীবাণু। এখন ঘড়ি ব্যবহারও ঠিক নয়।

১০. অফিসে নিজের জন্য আলাদা কাপ, প্লেট রেখে দিন। খাওয়ার আগে সেগুলো সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ব্যবহার করুন।

১১. বাইরে খাওয়ার অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন। বাসা থেকে নিয়মিত খাবার নিয়ে যান। এ সময় রাস্তার পাশের কোনো দোকান থেকে কিছু খাওয়া ঠিক নয়

১২. জুতা বাইরে খুলে ঘরে ঢুকবেন। জুতায় জীবাণুনাশক স্প্রে করে প্রতিদিন রোদে দিন। না হয় ধুয়ে ফেলুন। 

১৩. বাইরে থেকে ফিরে জামাকাপড় ধুয়ে ফেলবেন। 

১৪. মোবাইল জীবাণুমুক্ত করতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।

১৫. বাড়িতে কাজের লোক বা অন্য কেউ এলে ঘরে ঢোকার আগে হাত এবং পা ভালো করে সাবান পানি দিয়ে ধুতে উৎসাহিত করুন।

১৬. খাওয়া-দাওয়ার দিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। এ সময় ভাজাপোড়া কম খাওয়াই ভালো। এর পরিবর্তে খাদ্য তালিকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন খাবার রাখতে হবে।

img

বৃষ্টির সময় নিরাপদে থাকতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১২:৩২, ১৩ মে ২০২৪

ঝড়-বৃষ্টির কাল গ্রীষ্মে বৃষ্টি হবেই। এতে প্রশান্তির পরশ যেমন রয়েছে, তেমনই মুখোমুখি হতে হয় নানা অসুবিধারও। তাই বলে তো নিজের অফিস আর বাসার কাজ থেমে থাকে না। তবে বাসা থেকে কোথাও যাওয়ার লক্ষ্যে বের হওয়ার পর বৃষ্টি শুরু হলে তা মহাবিপদের। না হয় সঠিক সময়ে কাজে পৌঁছানো, না থাকে নিজের পোশাক ঠিক। আবার বৃষ্টির মধ্যেই যত দুর্ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুরক্ষা রাখা জরুরি।

বৃষ্টির সময় নিরাপদে থাকার উপায়সমূহ-

১. বাসা বা বাড়ির বাইরে থাকলে নিরাপদ কোনো জায়গায় থাকা প্রয়োজন। রাস্তায় কিংবা খোলা কোনো জায়গায় কখনোই থাকা যাবে না। প্রয়োজনে নিকটবর্তী কোনো নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিন।

২. বৃষ্টি বা ঝড় হলে তখন গাড়ি চালানো একদমই উচিত নয়। এ সময় রাস্তার পাশে নিরাপদ জায়গা দেখে গাড়ি থামিয়ে সেখানে আশ্রয় নিন। আর অবশ্যই গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখুন।

 ৩. রাস্তায় যদি বৃষ্টির সময় কোনো খোলা তার বা রাস্তায় তার পড়ে থাকতে দেখেন তাহলে তার আশপাশে যাবেন না। সেই তার যদি পানির স্পর্শে থাকে তাহলে সেই পানি থেকেও সাবধান। সম্ভব হলে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দিন। আর এ সময় যদি রাস্তা পারাপার হতে হয় তাহলে অবশ্যই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করবেন।

৪. বাড়ির ছোট সন্তানদের ভেতরে রাখুন। তাদের কোনোভাবেই বাইরে যেতে দিবেন না।

৫. বৃষ্টির সময় কোনো গাছের নিচে দাঁড়ানো উচিত নয়। এ সময় গাছের ডাল ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

৬. বাসায় বা বাড়ি থাকলে টর্চ লাইট, হারিকেন বা আলোর বিকল্প উপায় রাখুন। বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ বিপর্যয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৭. গ্রীষ্ম বা বর্ষার সময় মোবাইল ফোনে সব সময় যথেষ্ট চার্জ রাখুন। যাতে করে যেকোনো প্রয়োজনে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

৮. বাসা বা বাড়ির বাইরে থাকলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। কেননা, মোবাইল ফোন থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকে।