img

কয়েক দিনের মধ্যেই ছোট হচ্ছে মন্ত্রিসভা --কাদের

প্রকাশিত :  ১৭:০৩, ২১ অক্টোবর ২০১৮

কয়েক দিনের মধ্যেই ছোট হচ্ছে মন্ত্রিসভা  --কাদের

জনমত ডেস্ক ।। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে \r\nরেখে অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই মন্ত্রীসভার আকার ছোট হয়ে যাবে। তিনি বলেন, \r\n‘১৫-২০ দিন পরেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। তাই খুব অল্প কয়েকদিনের \r\nমধ্যেই মন্ত্রিসভার আকার ছোট হয়ে যাবে।’  

\r\n

ওবায়দুল কাদের আজ রোববার রাজধানীর \r\nকলাবাগানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটিতে ‘কার্যকর ট্রাফিক \r\nব্যবস্থাপনা : দেশের সার্বিক উন্নয়নের অনুঘটক’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে \r\nপ্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

\r\n

অনুষ্ঠানে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিভিন্ন \r\nপদক্ষেপের বিষয়ে সরকারের করণীয় নিয়ে মন্তব্য করার সময় সেতুমন্ত্রী কাদের \r\nবলেন, আজই পার্লামেন্টের শেষ অধিবেশন শুরু হবে। আর ১৫-২০ দিন পরেই \r\nনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। এরপরে \r\nনির্বাচনী ব্যস্ততা, ক্যাম্পেইন শুরু হবে।

\r\n

তিনি বলেন, সিডিউল ঘোষণা মানেই ক্যাম্পেইন\r\n শুরু। খুব শিগগিরই কয়েক দিনের মধ্যেই মন্ত্রিসভার কাজের ধরন পাল্টে যাবে, \r\nমন্ত্রিসভার আকার ছোট হয়ে যাবে। মন্ত্রিসভার আকার ছোট হলে সেখানে আমি থাকব \r\nকি না সেটা প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কেউ জানেন না। কারা সেই মন্ত্রিসভায় থাকছেন \r\nএটা প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কেউ বলতে পারবেন না। তবে সরকার এই সরকারই থাকবে। \r\nসেই মন্ত্রিসভায় কারা কারা থাকছেন সেটা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন।

\r\n

সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, ‘আমি যদি থাকিও \r\nনির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর মেজর কোন পলিসির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। \r\nআমাদের কাজ সীমিত হয়ে যাবে। আমরা রুটিন কাজ করব। ইচ্ছে করলেই বড় কোনো \r\nপ্রজেক্ট উদ্বোধন বা কাজ শেষ হয়েছে অথবা নির্মাণ কাজ শুরুর উদ্বোধন করতে \r\nপারব না। এসব বিষয় থেকে বিরত থাকতে হবে। কাজেই এখন কোন কিছুই করতে পারব না।\r\n তবে আপনাদের প্রস্তাবনাগুলো আমাকে দিলে পরে রিসার্স করে যদি সুযোগ পাই \r\nকাজে লাগাতে পারব।

\r\n

নির্বাচন কমিশন বিভক্ত বলে বিএনপি মহাসচিব\r\n মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দাবীকে হাস্যকর বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের \r\nসাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, প্রধান নির্বান কমিশনার ও চার নির্বাচন কমিশনার\r\n নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠিত। কমিশনের একজন সদস্য ভিন্নমত পোষণ গণতন্ত্রের \r\nঅভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য।
তিনি এ বিষয়ে আরো বলেন, পাঁচ কমিশনারের একজন ভিন্নমত পোষণ করলেই কমিশন বিভক্ত হয়ে যায় না।

\r\n

সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট\r\n সিলেটে সমাবেশের অনুমতির ইঙ্গিত পেয়েও তারা নাটক করছে। সমাবেশের অনুমতি \r\nনিয়ে নাটক করা তাদের পুরনো অভ্যাস।
গোল টেবিল অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ \r\nউপস্থাপন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির ট্রাস্টি বোর্ডের \r\nচেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান।

\r\n

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন \r\nঢাকা ট্রান্সপোর্ট কোর্ডিনেশন অথরিটির (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক ও \r\nঅতিরিক্ত সচিব খন্দকার রাকিবুর রহমান, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক \r\nব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ।

\r\n

মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, \r\nড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ এম \r\nইসলাম, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব-উল-হক মজুমদার, বাংলাদেশ \r\nপ্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষক পরিবহন বিশেষজ্ঞ শামসুল হক প্রমুখ।

img

আলোচিত 'সানভীস বাই তনি'র ভয়ংকর প্রতারণা, শোরুম সিলগালা

প্রকাশিত :  ১০:৩৩, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৪৫, ১৪ মে ২০২৪

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বেশ আলোচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনি। যিনি পরিচিত ‘সানভিস বাই তনি’র নামে। রাজধানীতে পোশাক ও কসমেটিক্সের কয়েকটি শোরুম আছে তার। এছাড়া অনলাইনে ড্রেস বিক্রি করেন তিনি। এবার তিনি আলোচনায় এসছেন কোনো পোশাক বা কসমেটিক্স নিয়ে নয়, বরং  প্রতারণার অভিযোগে।

পাকিস্তানি বলে বেশি দামে দেশি পোশাক বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনির বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে গুলশানে ‘সানভীস বাই তনি’র শোরুম সিলগালা করা হয়েছে।

সোমবার গুলশান শুটিং ক্লাব এলাকায় পুলিশ প্লাজা মার্কেটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

রোবাইয়াত ফাতেমা তনির রাজধানীতে কয়েকটি শোরুম আছে । অনলাইনেও বিক্রি করেন পোশাক এবং কসমেটিক্স। তবে এবার আলোচনায় আসলেন প্রতারণার অভিযোগে।

ভোক্তা অধিকার অধিদফতর জানায়, তৈরি পোশাক বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে কসমেটিক্স বিক্রি করা হতো এই আউটলেটে।

ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ভোক্তা অধিদফতরের অভিযোগের সফটওয়্যারে এ প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু অভিযোগ আসার পর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে এবং এ দোকানে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল।

আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করে। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়। শত শত কাস্টমার এভাবে প্রতারিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ এলে তাদের শুনানির জন্য নোটিশ করা হয়েছে। তারা সেটি দেখেও জবাব দেয়নি। তারা যেহেতু কোনো জবাব দেয়নি, উপস্থিত হয়নি, আমাদের কাছে মনে হয়েছে এসব অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। এখানে এসে সেটার প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে।’

তিনি আরো বলেন, আমরা তাদের শোরুম বন্ধ করে দিয়েছি। এখন তারা কাগজপত্র নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে হাজির হয়ে প্রমাণ দেবে। এ ছাড়া কতগুলো কাস্টমারকে এসব ড্রেস সরবরাহ করা হয়েছে, সেসব তথ্য দেবে।