img

ব্রণের দাগ দূর করতে আর চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে আমলকী

প্রকাশিত :  ১৪:৪২, ২৪ অক্টোবর ২০১৮
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:৫৪, ২৪ অক্টোবর ২০১৮

ব্রণের দাগ দূর করতে আর চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে আমলকী

 জনমত ডেস্ক  ।।   ।রূপচর্চা-বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে আমলকীর নানামুখী উপকারিতা সম্পর্কে জানা যায়। 

ব্রণের দাগ দূর করতে: আমলকী প্রাকৃতিকভাবেই ব্রণ ও অন্যান্য দাগ দূর করতে পারে। আমলকীর রস মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সংবেদনশীল ত্বক হলে আমলকীর রসের সঙ্গে পানি মিশিয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। 

মৃতকোষ দূর করে: আমলকীর রস মুখের স্ক্রাবার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ত্বকের রংয়ের ভারসাম্য বজায় রাখে, ত্বক টানটান ও মসৃণ করে।

এক চামচ আমলকীর গুঁড়ার সঙ্গে গরম পানি মেশান। এর সাহায্যে মুখ স্ক্রাব করুন। পাঁচ মিনিট পরে ধুয়ে নিন। চাইলে এতে সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিতে পারেন।   

চুল পড়া কমায়: আমলকী চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। শুকনা আমলকীর গুঁড়া পানিটে ফুটিয়ে নিন। পানি ফুটে ওঠা শুরু করলে তা ভালোভাবে নেড়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটা চুল ও মাথার ত্বকে লাগাতে পারেন।

সপ্তাহে একবার ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ হবে। আমলকীর রস মাথার ত্বকে লাগিয়ে তা আধ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন, নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা বাড়বে। চুল পড়া কমাতে ও রুক্ষতা কমাতে নিয়মিত আমলকীর তেল ব্যবহার করুন। এটা প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে ও চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

আমলকীর তেল বানানোর উপায়

তাজা আমলকীর রস ১ কাপ, নারিকেল তেল ১ কাপ। একটি পাত্রে তেল নিয়ে তাতে আমলকীর রস (পানি ছাড়া) মিশিয়ে ফুটান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে তেল ঘন হয়ে আসবে। পাত্রে বাদামি রংয়ের তলানি জমবে।

তেল ঠাণ্ডা হয়ে আসলে তা একটি কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করুন। গোসলে যাওয়ার ২০ মিনিট আগেও এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুল ঘন ও মসৃণ হবে।

img

গরমে সুস্থ থাকতে কী খাবেন, কী খাবেন না

প্রকাশিত :  ১৩:২২, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

তীব্র গরমে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে শরীরে অস্বস্তি, ক্লান্তির মত একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। তাই শরীর হাইড্রেটেড রাখতে আপনাকে খেতে হবে পানি ও পানিযুক্ত খাবার।

গরমে কী ধরনের খাবার আমাদের শরীরের জন্য ভালো সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রাভা হেলথের ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের পুষ্টিবিদ নূর-ই-জান্নাত ফাতেমা বেশ কিছু খাবারের কথা উল্লেখ করেছেন, যা শরীরকে এই গরমেও রাখবে সুস্থ।

সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।

পানি

পূর্ণবয়স্ক একজন নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার, পূর্ণবয়স্ক একজন পুরুষের ৩-৩.৫ লিটার বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করেই পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কার্যকর। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করবে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে।

সবজি

কাঁচা পেঁপে, পটল, ধুন্দল, শসা, চিভিঙ্গা, গাজর, লাউ, পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। 

তাছাড়া পাতলা করে রান্না করা টক ডাল, সজনে ডাল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। যাদের ইউরিক এসিড বেড়ে যায় তারা এ সময় ঢেঁড়স, বেগুন এড়িয়ে চলুন। 

মৌসুমি ফল

কাঁচা আম খুবই ভালো পানিশূন্যতা দূর করার জন্য। কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এ ছাড়া ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে,  যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।

তরমুজ শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে শরীরের জন্য দরকার।

বাঙ্গি একটি খুবই পুষ্টিকর একটি ফল, যা খুবই সহজলভ্য এবং দামেও তুলনামূলক সস্তা। শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গির তুলনা নেই।

আখের রস

আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে বিট লবণ, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বাড়ে, পুষ্টিগুণও বাড়ে।

বেলের শরবত

বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম  ও ফাইবার।

পুদিনার শরবত

শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে এবং সতেজ অনুভূতির জন্য পুদিনার শরবত অতুলনীয়।

জিরা পানি

নোনতা স্বাদযুক্ত এই পানীয় হজমে সাহায্য করে।তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবতে আলাদা করে চিনি বা মধু অ্যাড করবেন না।

যা খাবেন না

অনেক কার্বনেটেড বেভারেজ আমরা গরমের সময় প্রচুর খেয়ে থাকি,যা ঠিক না। এই পানীয়গুলো শরীরকে সাময়িক চাঙা করলেও এর কোনো পুষ্টিগুণ নেই, বরং শরীরকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝাল, বাইরের খোলা শরবত, বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া এ সময় যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। পাতলা ঝোল ঝোল খাবার খাওয়া এ সময় সবচেয়ে ভালো।