img

মহামারির কারণে এ বছরের মতো হজ যাত্রা বাতিল করল সৌদি আরব

প্রকাশিত :  ১৭:৪৪, ১৩ জুন ২০২০

মহামারির কারণে এ বছরের মতো হজ যাত্রা বাতিল করল সৌদি আরব

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা থাবা এবার হজ যাত্রায়। করোনা সংক্রমণের ভয়ে এবার হজ যাত্রা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। এবছরের মত হজ যাত্রা আর হচ্ছে না। ১৯৩২ সালের পর প্রথম হজ যাত্রা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল সৌদি আরব।

এই মুহূর্তে সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখেরও বেশি মানুষ। তাই এবছরের মত হজ যাত্রা বাতিল করল সৌদিআরব সরকার। তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই বাতিল করা হয়েছে হজ যাত্রা। সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

জুলাই থেকেই শুরু হওয়ার কথা হজ যাত্রার। ১৯৩২ সালের পর এই প্রথম হজ যাত্রা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। মুসলিম বিশ্বের জন্য এটা বড় দুঃসংবাদই বলা যায়। প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ হজ যাত্রায় অংশ নেয়। করোনা থাবায় হজ যাত্রা বন্ধ রাখার কারণে বিপুল আর্থিক ক্ষতিও স্বীকার করতে হবে সৌদিকে। সে দেশের অর্থনীতির সিংহভাগ জড়িয়ে রয়েছে হজ যাত্রা।

তবে হজ যাত্রীদের স্বার্থে পরবর্তীকালে হজ যাত্রা শুরু হলেও যাত্রী সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে সৌদি আরব সরকার। মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে হজ যাত্রায় যাওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, কম্বোডিয়াও পাঠাচ্ছে না হজ যাত্রী। অন্যদিকে করোনা আবহে একাধিক দেশ হজ যাত্রা বন্ধ করে দিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় থেকে প্রায় আড়াই কোটি হজ যাত্রী যায়। সেটাও এবার বন্ধ করে দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া।


img

শেষ দিনে ভিসার অপেক্ষায় ৩৭ শতাংশ হজযাত্রী

প্রকাশিত :  ১০:৫৯, ১১ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৪, ১১ মে ২০২৪

হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করার জন্য দ্বিতীয় দফায় আবেদনের জন্য বাড়ানো সময় শেষ হচ্ছে আজ শনিবার।  কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়নি। 

শনিবার সকালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

হজ এজেন্সি মালিক ও ধর্ম মন্ত্রণালয় আশা করছে, শনিবারের মধ্যে বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে। অল্প কিছু বাকি থাকলে, সেটাও দু-একদিনের মধ্যে করার জন্য সময় পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না- এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই।

ধর্ম মন্ত্রণালয় এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল । এরপর সেটি ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সবশেষ ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিন পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন ৬ হাজার ৩৯২ জন যাত্রী। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে সাতটি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ২ হাজার ৭৬৯ জন যাত্রী। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ৯টি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ৩ হাজার ৬২৩ জন হজযাত্রী। 

এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৬৬৮ জন, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১টি ফ্লাইটে ৪৪৫ জন, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৫১০ জন সৌদি আরব গেছেন। দুই দিনে তিন বিমান সংস্থার ১৬টি ফ্লাইটে ৬ হাজার ৩৯২ হজযাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন।

বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। কোনো অভিযোগ ছাড়াই যাত্রীরা ঢাকা ত্যাগ করছেন।

এদিকে বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে যাদের ভিসা হয়নি তারা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। যদিও ধর্মমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন ভিসা নিয়ে জটিলতা কেটে যাবে। ২৫৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সির অনেকেই প্রথম দফার বর্ধিত সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ না করায় দ্বিতীয় দফা সময় বাড়ানো হয়েছে।