img

আদা-পানি হজমশক্তি বাড়ায়

প্রকাশিত :  ১৯:৪৯, ২৫ অক্টোবর ২০১৮

আদা-পানি হজমশক্তি বাড়ায়

জনমত ডেস্ক ।। রান্নায় বহুল ব্যবহার হয় এমন একটি মশলার নাম হচ্ছে আদা। সে সঙ্গে এটি অনেক গুণসম্পন্ন একটি প্রাকৃতিক উপাদান। ওষুধ তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়। আদায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান যা স্বাস্থ্য রক্ষায় দারুন কার্যকরী। 

আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় আদা পানি খাওয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আদাকে পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে পানিটা খেলে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়।
নিয়মিত আদা-পানি খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। এতে গা গোলানো এবং বমি ভাবও অনেকটা কমে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, আদা-পানি রক্তে খারাপ কোলেষ্টেরলের মাত্র কমায়। এতে সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে। 
আদা-পানি শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে। অনেকেই সারাদিনে পরিমাণ মতো পানি পান করেন না। ফলে শরীরে পানিশূন্যতার আশঙ্কা থেকেই যায়। এতে স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। এমন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় আদা-পানি। শরীরে নানা কারণে বিভিন্ন ধরনের ইনফ্ল্যামেশন দেখা যায়। আদা সে সব কমিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
আদায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস রয়েছে। এর ফলে হৃদরোগ, আ্যালঝাইমার, ক্যানসারের মতো রোগ প্রতিরোধে এটি ভূমিকা রাখে। আদা তারুণ্য ধরে রাখতেও সহায়তা করে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে আদা ডায়াবেটিসের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। স্বাস্থ্যকর খাবার ও নিয়মিত ব্যায়ামের সঙ্গে আদা পানি ওজন কমাতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। সূত্র : এনডিটিভি।
img

বয়স ৩০ পেরোলে যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন

প্রকাশিত :  ০৭:১২, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৩০, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

পুরুষ কিংবা নারী, ৩০ বছর বয়সের পর সবারই শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে, যা তাদের স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। সেক্ষেত্রে এই বয়সে প্রত্যেকের খাবারের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। 

কারণ বয়স বাড়ার সাথে সাথে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, রক্তশূন্যতা, থাইরয়েড ইত্যাদি অনেক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া ডায়েট ভালো না হলে ত্বকে দ্রুত বার্ধক্য দেখা দিতে শুরু করে, যা পরবর্তীতে পালটানো সহজ হয় না। 

চলুন জেনে নেওয়া যাক ৩০ বছর বয়সের পর কোনো ধরনের খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত-

মিষ্টি জিনিস

অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া কোনো বয়সেই ভালো নয়, তবে ৩০ বছর বয়সের পর যতটা সম্ভব মিষ্টি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।

আসলে, ৩০ বছর বয়সের পরে, বিপাক ধীরে ধীরে ধীর হতে শুরু করে, যার কারণে স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি আগের তুলনায় বহুগুণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া অতিরিক্ত চিনি খেলে মুখে ব্রণ, বলি, দাগ এবং স্থূলত্বের মতো বয়স দেখা দেয়।

বেশি ভাজা খাবার 


৩০-এর পরে, প্রত্যেককেই যতটা সম্ভব ভাজা খাবার খাওয়া এড়ানো উচিত। এই বয়সে, খাদ্যতালিকায় শুধুমাত্র কম তেলযুক্ত স্বাস্থ্যকর বাড়িতে তৈরি খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উত্তম।

অতিরিক্ত ভাজা খাবারে ট্রান্স ফ্যাট পাওয়া যায়, যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়াও, এটি ত্বকের জন্য মোটেও ভালো নয়।

ক্যাফেইন 

৩০ বছর বয়সের পরে, অতিমাত্রায় ক্যাফেইন গ্রহণ করা এড়ানো উচিত। আসলে, ক্যাফেইনের অত্যধিক সেবন হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণ হতে পারে, যার কারণে বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা যেমন হতাশা, উদ্বেগ, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত ক্যাফেইন ত্বককে দ্রুত বুড়িয়ে দেয়। 

বেশি লবণ 

যদিও প্রতিটি বয়সে লবণ খাওয়া কমানো উচিত, বিশেষ করে ৩০ বছর বয়সের পরে। খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ রক্তচাপের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

এ ছাড়া হার্ট ও কিডনি সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। যারা ৩০ বছর বয়সের পরে অতিরিক্ত লবণ খান তাদেরও থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে।

কার্বোহাইড্রেট 

৩০ বছর বয়সের পরে, প্রত্যেকের সাদা রুটি, পাস্তা, সাদা ভাতের মতো পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট থেকে দূরে থাকতে হবে। আসলে, এই সমস্ত জিনিস খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

যার কারণে আরও অনেক রোগও হতে পারে। ৩০ বছর বয়সের পরে, মহিলাদের বিপাক প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়, যার কারণে এই রোগগুলির ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এছাড়াও, তাদের নেতিবাচক প্রভাব ত্বকেও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।