লন্ডনবাংলা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে সাংবাদিক পীর হাবীবের মতবিনিময়
এসময় বিলেতের সাংবাদিকগণ বাংলাদেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী নির্বাচন সম্পর্কে চাইলে পীর হাবীবুর রহমান বাংলাদেশের সম্ভাবনা এবং সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বহুক্ষেত্রে বাংলাদেশেরে উন্নয়নে যেমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন, তেমনি সীমাহীন দুর্নীতির কারনে হতাশা প্রকাশ করেন।
তিনি আগামী নির্বাচনকে দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় বলে উল্লেখ্য করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা এবার একটি স্বচ্ছ নির্বাচন দিবেন অঙ্গীকার করেছেন। নির্বাচন কতটুকু স্বচ্ছ হবে এমন প্রশ্ন করা হলে, সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেননি।
তিনি সাম্প্রতিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এই আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সাংবাদিকরা নির্যাতিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার ইচ্ছা করলেই যেকাউকে গ্রেফতার করতে পারে।
তিনি বলেন, সব বাধা অতিক্রম করে একদিন ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। দাবি আদায়ে ছাত্রদের দ্বারা সংগঠিত দুটি আন্দোলন তাকে আবারও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। তিনি বলেন, আমরা ৭১-এ পেরেছিলাম ৯০-এ পেরেছিলাম আবার ২০১৮-তে পারলাম দল এবং মত কে পিছনে রেখে এক হতে? তিনি বলেন যাদেরকে আমরা ফাস্টফুড জেনারেশন মনে করতাম তারাই শক্ত ভাবে দেখিয়ে দিলো নিজেদের দায়িত্ব¡বোধের জায়গা থেকে।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, লন্ডনবাংলা প্রেসক্লাবের ট্রেজারার আ স ম মাসুম, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহিব চৌধুরী, বেলাল আহমদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী, চ্যানেল এস এর নিউজ এডিটর কামাল মেহেদী, সাম্পাহিক দেশ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ, সাপ্তাহিক সুরমা সম্পাদক আহমেদ ময়েজ, সাপ্তাহিক ইউরো বাংলার সাবেক সম্পাদক আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল, মাসিক দর্পণ সম্পাদক রহমত আলী, সত্যবানী সম্পাদক সৈয়দ আনাছ পাশা, বেতার বাংলার ডায়রেক্টর মোস্তাক আলী বাবুল, ওয়ানবাংলানিউজ সম্পাদক জাকির হোসেন কয়েছ, চ্যানেল এস এর সিনিয়র সাংবাদিক ইব্রাহিম খলিল, জনমত পত্রিকার ইমরান আহমদ, ইউকেবিডি টাইম সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম, সাংবাদিক রোমান বখত, শীহাবুজ্জামান কামাল, এনামুল আহসান তানিম, জুয়েল রাজ, আনোয়ার ইসলাম, আফজাল হোসেন, রেজাউল করিম মৃদা, খিজির হায়াত খান কাওছার প্রমুখ।