img

ব্রিটেনে ৪৮ ঘন্টায় ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাই

প্রকাশিত :  ১০:৫৪, ০২ জুলাই ২০২০

ব্রিটেনে ৪৮ ঘন্টায় ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাই

জনমত ডেস্ক: গত ৪৮ ঘন্টায় যুক্তরাজ্যের অনেক কোম্পানি কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। এতে চাকরি হারাতে যাচ্ছে প্রায় ১২ হাজার মানুষ। মূলত খুচরা বিক্রেতা ও বিমান চলাচল খাতের কোম্পানিগুলোই এই কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে নেওয়া লকডাউনের কারণে এই খাতগুলোই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

লন্ডনের বৃহৎ পরিষেবা কোম্পানি জন লুইস বলেছে, তারা তাদের স্টোরগুলো বন্ধ করে দেবে। তবে এতে কতজন চাকরি হারাবে, তা নিশ্চিত করেনি।

যুক্তরাজ্যের টপশপের মালিক আর্কেডিয়া এবং হ্যারোডস জানিয়েছেন , তারা মোট ১ হাজার ১৮০ জন কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছেন। গত ৪৮ ঘন্টায় যেসব কোম্পানী কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে, এর মধ্যে আপার ক্রাস্টের মালিক এসএসপি গ্রুপ থেকে ৫০০০ কর্মী, হ্যারডস থেকে ৭০০ কর্মী, আর্কিডিয়া থেকে ৫০০ কর্মী, শার্ট প্রস্তুতকারক টিএম লেউইন থেকে প্রায় ৬০০ কর্মী, ভার্জিন মানি, ক্লাইডেসডেল ও ইয়র্কশায়ার ব্যাংক থেকে ৩০০ কর্মী, যুক্তরাজ্যের বিমান নির্মাতা এয়ারবাস থেকে ১ হাজার ৭০০ কর্মী, ইজি জেট থেকে ১ হাজার ৩০০ ক্রু এবং ৭২৭ পাইলট ছাঁটাই হচ্ছে।

করোনা মহামারি ঠেকাতে ২৩ মার্চ থেকে লকডাউনে যায় যুক্তরাজ্য। এতে ব্যবসা–বাণিজ্য মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন যদিও ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা সহজ করা হচ্ছে, তবে গ্রাহকের চাহিদা এখনো হতাশাজনক।

কর্মী ছাঁটাইয়ের এ ঘোষণায় আতঙ্কিত কর্মীরা। যন্ত্র প্রকৌশলী জেমস ফিলিপস বিবিসিকে বলেন, তিনি আশঙ্কা করছেন যে তাকে ছাঁটাই করা হতে পারে। তিনি মার্চ থেকে সাময়িক ছুটিতে ছিলেন। এখন তাকে তার নিয়োগকর্তার সঙ্গে ছাঁটাইয়ের একটি পরামর্শ সভায় অংশ নিতে বলা হয়েছে।

বেশির ভাগ ব্যবসার ক্ষেত্রে কর্মীখরচই সবচেয়ে বড় ব্যয়। অনেক কোম্পানি শ্রমিকদের বেতনভাতা দিতে সরকারের সাময়িক ছুটির স্কিম ব্যবহার করছে। এই কর্মসূচির আওতায় ৯০ লাখের বেশি শ্রমিকের ৮০ ভাগ মজুরি প্রদান করা হয়েছে। তবে আগামী মাস থেকে এই কর্মসূচি ফিরিয়ে নেওয়া শুরু হবে এবং তা অক্টোবরে শেষ হবে।

বেশিরভাগ কোম্পানিই ইমেইল বার্তায় কর্মীদের জানিয়েছেন, এই মহামারির চলমান প্রভাবের কারণে, ব্যবসা পরিচালনায় আমাদের কর্মশক্তি কমাতে হচ্ছে।

হ্যারোডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইকেল ওয়ার্ড স্টাফকদের এক ইমেইল বার্তায় বলেছেন, \'আমাদের প্রায় ৪ হাজার ৮০০ কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৪ শতাংশ ছাটাই করতে বাধ্য হচ্ছি । তিনি বলেন, সব ঠিকঠাক হলে আবার কর্মী নিয়োগ দেব আমরা।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে চান না ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৯:০৯, ১২ মে ২০২৪

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী রাফায় ইসরায়েল পূর্ণ মাত্রায় অভিযান পরিচালনা করলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে অস্ত্রের চালান স্থগিতের যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তার সঙ্গে একমত নয় যুক্তরাজ্য সরকার।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মনে করেন, ইসরাইলের ওপর যুক্তরাজ্যের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা হামাসকে আরও শক্তিশালী করবে। খবর বিবিসির

ক্যামেরন জানান, গাজার রাফাহ শহরে বড় ধরনের স্থল অভিযানকে সমর্থন করেন না তিনি। তবে দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পথে হাঁটার পক্ষে না তিনি। 

এদিকে দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জনাথন অ্যাশওয়ার্থ বলেছেন, তিনি চান না যুক্তরাজ্যের তৈরি অস্ত্র রাফায় ব্যবহার হোক।

ইসরাইল প্রতিবছর যে অস্ত্র কেনে তার মাত্র ১ শতাংশ যুক্তরাজ্য থেকে যায় বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন।

যু্ক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা আরও কয়েকটি দেশ ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছে, যদি তারা রাফায় সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে তবে সেখানে গণহারে বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা নিহত হবে এবং বড় ধরণের মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে।

এদিকে সব সতর্কবার্তা এবং হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফায় স্থল অভিযান পরিচালনা করবেন।

ইসরাইলের দাবি, রাফায় হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধা অবস্থান করেছে। তাই সেখানে পূর্ণমাত্রায় অভিযান ছাড়া গাজায় হামাসকে নির্মূল করার তাদের লক্ষ্য পূরণ হবে না।

সোমবার থেকে রাফায় আকাশ হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। মিশর সীমান্তবর্তী এই নগরীতে স্থল অভিযানের প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা। এজন্য রাফার বাসিন্দা এবং সেখানে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।

গাজায় ইসরাইলের আকাশ হামলায় তিন ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার পর ক্যামেরন নিজেই ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

সে কথা উল্লেখ করে ক্যামেরন আরও বলেন, শেষবার আমি যখন ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে বলেছিলাম তার মাত্র কয়েকদিন পর ইরান নিষ্ঠুরভাবে ইসরাইলে হামলা করে বসে। তাই আমি আজ খুব সাধারণ ভাবে ঘোষণা দিতে চাই যে, আমরা আমাদের অস্ত্র রপ্তানির কৌশল পরিবর্তন করলে সেটা হামাসকে আরও শক্তিশালী করবে এবং এটা জিম্মিদের মুক্ত করে আনার চুক্তিকে আরও কঠিন করে তুলবে।