img

ব্রিটেনে ৫ হাজার পাউন্ডের মধ্যে নতুন বাড়ি কিনলে স্ট্যাম্প ফি লাগবে না

প্রকাশিত :  ১৭:২৬, ০৬ জুলাই ২০২০

ব্রিটেনে ৫ হাজার পাউন্ডের মধ্যে নতুন বাড়ি কিনলে স্ট্যাম্প ফি লাগবে না

জনমত ডেস্ক: করোনাভাইরস মহামারির অর্থনৈতিক মন্দা অবস্থা কে স্বচল করতে বৃটিশ সরকার ভিন্ন ভিন্ন উদ্দ্যোগ গ্রহন করছে। ব্রিটেনে এই করোনাভাইরস মহামারিতে বাড়ী ঘর কেনা বেচা এমনিতেই কম হচ্ছে। দীর্ঘ দিন পর বাড়ী দাম কমেছে। প্রায় শতকরা ১৪ শতাংশ ।

বাড়ী ঘর বেচা কেনা যেন বাড়ে সে জন্য বৃটিশ সরকারের চ্যানচ্যালর রিশি সুনাক ঘোষনা দেন .”বাড়ী দম £৫০০,০০০ পাউন্ড পর্যন্ত হলে রেজিস্টি খরচ ৬ মাসের জন্য মৌকুফ করা হলো”।£৫০০,০০০ পাউন্ড পর্যন্ত কোন রেজিস্ট্র খরচ লাগবে না । এই নিয়ম আগামী ৬ মাস পর্যন্ত বহাল থাকবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন। “স্ট্যাম্প ডিউটি মৌকুফ হলে অনেক ক্রেতাই বাড়ী ঘর কিন্তে আগ্রহী হবেন”।

লক ডাউনের ফলে অর্থনৈতিক মন্দ অবস্থায় প্রোপার্টির উপর প্রভাব ফেলেছে। ব্রিটেনের অন্যতম সংস্থা “লেন্ডার ন্যাশন ওয়াইড জানায়। একটি বাড়ীর মূল্যের ১.৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এটা প্রোপার্টি মার্কেটের জন্য চ্যালেঞ্জিং সময়।

তবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বলছে লক ডাউনের ফলে সৃস্ট মন্দা থেকে বৃটেন দ্রুত ফিরে আসবে। লক ডাউন শিথিলের সাথে সাথে অর্থনৈতিক অবস্থা সচল হবে।

সেই লক্ষে বৃটিশ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দিচ্ছে নতুন নতুন আইডিয়া। জন সাধারন কে উদ্বুদ্ধ করার নানা কৌশল । বাড়ী ঘর বিক্রি এবং প্রোপার্টির মার্কেট স্বচল হলে। বৃটেনের অর্থনৈতিক অবস্থা হবে আরো স্বচল । স্ট্যাম্প ডিউটি ফি মৌকুফ ঘোষনাকে স্বাগত জানিয়েছেন ক্রেতার।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তাদের ৫০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে ব্রিটেন

প্রকাশিত :  ১১:১৯, ১৪ মে ২০২৪

ব্রিটেনের আর্থিক উন্নয়ন সংস্থা (ডিএফআই) ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট (বিআইআই) ‘প্রভাব বিনিয়োগ’ ছোট ব্যবসা এবং নারী উদ্যোক্তাদের সমর্থন দিতে বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় এসএমই ব্যাংক ব্র্যাক ব্যাংককে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে।

এই ঋণটি ক্ষুদ্র এবং ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং নারী নেতৃত্বাধীন ব্যবসার বৃদ্ধিকে সমর্থন দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তহবিল সরবরাহ করবে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি।

মঙ্গলবার ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিআইআই’র একথা বলা হয়েছে।

ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক এই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এই বিনিয়োগ বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়নে সহায়তার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করেছে এবং এটি বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের আধুনিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের একটি বড় নিদর্শন।’

তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং নারী উদ্যোক্তাদের আরও অর্থনৈতিক সুযোগ গ্রহণ করতে এবং আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম করবে।

বাংলাদেশে প্রায় ১০ মিলিয়ন এমএসএমই রয়েছে। এতে জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশকে নিযুক্ত রয়েছে এবং দেশের শিল্প উৎপাদনের অর্ধেক এই খাত থেকে আসে।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং দারিদ্র্য নিরসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে এই অর্থয়নকে অপরিহার্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

ব্র্যাক ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, এই ধরণের অর্থায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে দেশের মোট ঋণের মাত্র ২০ শতাংশ নারী-মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানসহ এসএমইতে যাচ্ছে।

বিআইআই’র ঋণের অর্ধেক এমএসএসই খাতে যাবে এবং অবশিষ্টাংশ অর্ধেক নারী উদ্যোক্তাদের কাছে যাবে। যাতে মোট ৩ হাজার ৫শ’এমএসএসই এবং নারী উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছানো হবে, যাতে তাদের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই বিনিয়োগকালীন কাজ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য লিঙ্গ সমতার ওপর জাতিসংঘের ইউএন এসডিজি ৫, এসডিজি  ৮ সমর্থন দেবে। সেইসাথে শিল্প, উদ্ভাবন এবং অবকাঠামোতে এসডিজি ৯ সমর্থন করে।