img

প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোরের বর্ণাঢ্য জীবন

প্রকাশিত :  ১৭:৫৪, ০৬ জুলাই ২০২০
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:০৫, ০৬ জুলাই ২০২০

প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোরের বর্ণাঢ্য জীবন

বিনোদন ডেস্ক: কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহন করেন। তিনি বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের বহু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। যেজন্য তিনি 'প্লেব্যাক সম্রাট' নামে পরিচিত। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে, জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প, হায়রে মানুষ রঙের ফানুস, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, আমার বুকের মধ্যে খানে, আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান, ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা, সবাই তো ভালোবাসা চায় প্রভৃতি।

বাংলা চলচ্চিত্রের গানে অবদানের জন্য তিনি আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। সম্প্রতি তিনি দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরের একটি নামী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরিরে আসেন, তার শারীরীক অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহীতে তাকে একটি হাসপাতলে ভর্তি করা হয়, সেখানেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।  


সঙ্গীত জীবন

এন্ড্রু কিশোর প্রাথমিকভাবে সংগীতের পাঠ শুরু করেন রাজশাহীর খ্যাতনামা ওস্তাদ আবদুল আজিজ বাচ্চুর কাছে মুক্তিযুদ্ধের পর কিশোর নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, আধুনিক, লোক ও দেশাত্মবোধক গানে রেডিওতে তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর কিশোর নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, আধুনিক, লোক ও দেশাত্মবোধক গান শ্রেণিতে রাজশাহী বেতারের সঙ্গে তালিকাভুক্ত ছিলেন।


নেপথ্য সঙ্গীত জীবন

এন্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে আলম খান সুরারোপিত মেইল ট্রেন চলচ্চিত্রের "অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তাঁর কেউ" গানের মধ্য দিয়ে তার রেকর্ডকৃত দ্বিতীয় গান বাদল রহমান পরিচালিত এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী চলচ্চিত্রের "ধুম ধাড়াক্কা"। তবে এ জে মিন্টু পরিচালিত ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রতীজ্ঞা চলচ্চিত্রের "এক চোর যায় চলে" গানে প্রথম দর্শক তার গান শুনে এবং গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি অন্যান্য প্লেব্যাক গান রেকর্ড করেন যেমন 'ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে', 'ভালবেসে গেলাম শুধু' এর মত জনপ্রিয় সব গান।


ব্যক্তিগত জীবন

এন্ড্রু কিশোর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই কেটেছে তার শৈশব ও কৈশোর। এন্ড্রু কিশোর সংসার জীবনে স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রু এবং সজ্ঞা (২৬) নামে এক মেয়ে ও সপ্তক (২৪) নামে এক পুত্র সন্তান রেখে গেছেন। তার দুজনই বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনা করছেন। সজ্ঞার পড়াশোনা প্রায় শেষের দিকে।


প্রতিষ্ঠান

এন্ড্রু কিশোর এছাড়াও একজন ব্যবসায়ী। ১৯৮৭ সালে তিনি বরাবর আহমাদ ইউসুফ, আনোয়ার হোসেন বুলু, ডলি জহুর, দিদারুল আলম বাদল, শামসুল ইসলাম নান্টু সাথে টিভি নাটক, বাণিজ্যিক এবং অন্যান্য প্রযোজনার জন্য একটি বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠান 'প্রবাহ' শিরোনামে উদ্বোধন করেন।

১৯৭৭ সালে আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ সিনেমায় ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে এন্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু হয়। 

সেই শুরুর পর থেকে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এন্ড্রু কিশোরের খুব জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে এন্ড্রু কিশোরের খুব জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘পদ্মপাতার পানি’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙাল’প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।  

‘প্লেব্যাক সম্রাট’ খ্যাত দেশবরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর নন-হজকিন লিম্ফোমা নামক ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন তিনি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছিলেন। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করেও ক্যান্সার নির্মূল হয়নি প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পীর। চিকিৎসক হাল ছেড়ে দেওয়ায় ক্যান্সার নিয়েই ৯ মাস পর ২০২০ সালের ১১ জুন দেশে ফেরেন তিনি। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি রাজশাহীতে ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।

এন্ড্রু কিশোর ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য দেশ-বিদেশের আরও অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন উপমহাদেশের খ্যাতনামা এই শিল্পী।


img

প্রেমের কথা স্বীকার মন্দিরার, প্রেমিক কি রাজ?

প্রকাশিত :  ১৮:৪০, ১৩ মে ২০২৪

নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’ সিনেমাটির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটেছে মন্দিরা চক্রবর্তীর। কাজলরেখার জন্য প্রশংসার পাশাপাশি ব্যক্তি জীবন নিয়েও বেশ আলোচনায় রয়েছেন তিনি। গুঞ্জন চলছে অভিনেতা শরীফুল রাজের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এ অভিনেত্রীর। মন্দিরাও এবার জানালেন তিনি প্রেম করছেন, তবে কার সঙ্গে সে নিয়ে রয়েছে রহস্য।

পরীর ডানা ভেঙে পড়ে যাওয়া শরিফুল রাজ নাকি মন্দিরার তালে তালে সুর তুলেছেন। শোনা যাচ্ছে, তারা নাকি গোপনে চুটিয়ে প্রেম করছেন। সুযোগ পেলেই একান্তে সময় কাটাচ্ছেন।

ঢালিউড অন্দরমহলের খবর, রমজানের ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘কাজলরেখা’ সিনেমায় অভিনয়ের সূত্র ধরেই কাছাকাছি এসেছেন রাজ-মন্দিরা। পর্দার বাইরে তাদের রসায়ন দেখে তেমনটা আন্দাজ করা স্বাভাবিক বটে। ফলে এ নিয়ে হচ্ছে আলোচনা।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে রাজের সঙ্গে প্রেম বিষয়ক প্রশ্নের মুখে পড়েন মন্দিরা। সেখানে প্রেমের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। তবে কার সঙ্গে—সেটা পরিষ্কার করেননি।

রাজ ভালো বন্ধু জানিয়ে মন্দিরা বলেন—আমরা খুবই ভালো বন্ধু। প্রেমটা হওয়ার সুযোগ নেই আসলে। বলতে পারি, সে আমার খুবই ভালো একজন বন্ধু হয়ে উঠেছে। শুটিংয়ের সময় সে আমার বন্ধু ছিল না। কারণ, তখন আমার সঙ্গে তার বেশি কথা হতো না, খুবই কম। আমাদের শুটিং হচ্ছিল ২০২২ সালে। এখন সে যে লাইফটা কাটাচ্ছে, তখন সে এই লাইফে ছিল না। তার তখন সন্তান হয়েছিল, সবকিছু মিলিয়ে সে তার মতো ছিল। তখন মাত্রই আমাদের প্রথম দেখা।

তিনি আরও বলেন—বাস্তব জীবনে প্রেম আছে, প্রেম ছাড়া তো একজন মানুষ থাকতে পারে না। আমার মনে হয়, প্রত্যেক মানুষের জীবনে প্রেম থাকা জরুরি, প্রেম করা উচিত। প্রেম করলে মন ভালো থাকে, শরীর ভালো থাকে। এখন বিয়ে করার কোনো ইনটেনশন একদম নেই, পরিবার থেকেও এখন প্রেশার নেই। এখন কাজে মনযোগ দিতে চাই।

তবে প্রেমিকের পরিচয় প্রকাশ করেননি মন্দিরা। সেই দায়িত্ব দিলেন সাংবাদিকদের ওপর। তিনি বলেন— প্রেম তো করছি, কার সঙ্গে করছি, কীভাবে করছি—এটা সাংবাদিকদের দায়িত্ব খুঁজে বের করার। আপনারাই খুঁজে বের করুন।

চ্যানেল আইয়ের রিয়েলিটি শো ‘সেরা নাচিয়ে’র মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন মন্দিরা। নাচের পাশাপাশি চলচ্চিত্রে মনোযোগী হতে চাইছেন তিনি। আগামী ঈদে ‘নীলচক্র’ নামে একটি চলচ্চিত্র মুক্তির কথা রয়েছে তার। এ ছাড়া নতুন আরেকটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধও হয়েছেন তিনি।