img

এক কাপ কফির দামেই মিলবে অক্সফোর্ডের করোনা টিকা

প্রকাশিত :  ১৮:০৯, ১১ জুলাই ২০২০

এক কাপ কফির দামেই মিলবে অক্সফোর্ডের করোনা টিকা

জনমত ডেস্ক: মহামারি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে সবথেকে এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী অক্টোবরেই গুরুতর অসুস্থদের জন্য মিলবে তাদের ভ্যাকসিন। ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এই টিকার প্রতিটি ডোজ তৈরির খরচ মোটামোটি এক কাপ কফির দামের সমান।

 মহামারিতে পরিণত হওয়া করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জোরালো প্রচেষ্টা চললেও এখন পর্যন্ত কার্যকর ভ্যাকসিন উদ্ভাবন সম্ভব হয়নি। বিশ্বে তৈরি দুই শতাধিক ভ্যাকসিনের মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে ১৫টির। এরমধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ উৎপাদনকারী অ্যাস্ট্রাজেনেকার পরীক্ষামূলক প্রকল্পটি প্রথম ভ্যাকসিন হিসেবে চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলছে, ভ্যাকসিন তৈরিতে তারাই সবথেকে এগিয়ে রয়েছে।

অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিনের এখন চলছে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ। এর ফলাফল বা কার্যকারিতার বিষয়টি আগস্ট মাসের শেষ নাগাদ জানা যাবে। পরীক্ষায় সফলতার প্রমাণ পাওয়া গেলেই নিয়ন্ত্রকরা জরুরি ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে অক্টোবরের মধ্যেই উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রোগীরা এ ভ্যাকসিন পাবেন।

যুক্তরাজ্যের ভ্যাকসিন টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কেট বিনহ্যাম বলেন, ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে অক্সফোর্ড। অন্য ভ্যাকসিন তাদের কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরুর অনেক আগেই অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়ে যেতে পারে।

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি আন্তর্জাতিকভাবে দ্রুত সরবরাহের জন্য সাপ্লাই চেইন তৈরি করছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, ইতিমধ্যে ২০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরির ফরমায়েশ পেয়েছেন তারা। প্রতি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরির খরচ পড়েছে এক কাপ কফির দামের সমান।

img

বজ্রপাতের সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সুরক্ষায় যা করবেন

প্রকাশিত :  ১১:৫২, ১৩ মে ২০২৪

কালবৈশাখীর সময় হঠাৎ ঝড়, বজ্রপাত আর বৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক। এসময় বজ্রপাতে টিভি, ফ্রিজ, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নষ্ট হওয়ার অনেক খবর পাওয়া যায়। তাই এই সময়ে আপনার ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে সতর্ক থাকুন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক বজ্রপাত বা বৃষ্টির সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস কীভাবে সুরক্ষায় রাখবেন।

ঝড়বৃষ্টি বা বজ্রপাতের সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সুরক্ষার উপায়সমূহ—

* আপনার বাড়ির সব ধরনের বৈদ্যুতিক সংযোগের সঙ্গে আর্থিং ব্যবস্থা করুন। সম্ভব হলে বজ্রপাতের সময় মেইন লাইনের সঙ্গে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখুন।

* ফ্রিজ বা এসির সঙ্গে সরাসরি বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকলে বজ্রপাতের সময় তা খুলে রাখাই নিরাপদ। এমনকি এ সময় এসি চালানো থেকেও বিরত থাকুন।

* বজ্রপাতের সময় ফোন ব্যবহার বিপজ্জনক নয়। তবে তা ঘরের মধ্যে। ছাদে বা রাস্তায় খোলা জায়গায় থাকলে ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। বজ্রপাতের সময় ফোন ব্যবহার করলে আপনি বজ্রপাতের শিকার হতে পারেন।

* বজ্রপাতের সময় বা বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর টিভি বন্ধ রাখুন। এই সময় ডিশ বা ইন্টারনেটের সংযোগ খুলে রাখতে পারেন।

* ঝড়বৃষ্টির সময় রাউটার বন্ধ রাখুন। এতে অনেক দিন পর্যন্ত রাউটার ভালো থাকবে। এমনকি এর সঙ্গে সরাসরি কোনো ডিভাইস সংযুক্ত থাকলে সেটিও রক্ষা পাবে।

* বজ্রপাতের সময় ল্যাপটপ, স্মার্টফোন কিংবা যে কোনো ডিভাইস চার্জ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। চার্জারের সঙ্গে লাগানো থাকলে তা খুলে দিন।

* বাড়ির ডেস্কটপ বা কম্পিউটারের সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে তা বন্ধ করে দিন। এমনকি এ সময় ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ চালানো থেকেও বিরত থাকুন। যদিও রাউটারের সঙ্গে ওয়াইফাই সংযোগে থাকা মোবাইল বা ল্যাপটপের ক্ষেত্রে তাদের বজ্রাঘাতে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বাড়ির বিদ্যুতের সঙ্গে ল্যাপটপ বা রাউটারের সংযোগ থাকলে তা বিছিন্ন করে দিন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাতের সময় ঘরের ভেতরে থাকলে স্মার্টফোন ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু এই সময় ইন্টারনেট বন্ধ রাখাই ভালো। তবে যদি মারাত্মক আকারে বজ্রপাত হয় সে ক্ষেত্রে ফোনটি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারেন। না হলে স্মার্টফোনটির তো বটেই, যিনি সেটি ব্যবহার করছেন, তারও বিপদ হতে পারে।