অরফানেজ মামলা

সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড খালেদা জিয়ার

প্রকাশিত :  ০৮:১৯, ৩০ অক্টোবর ২০১৮
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:১৯, ৩০ অক্টোবর ২০১৮

সাজা বাড়িয়ে  ১০ বছর কারাদণ্ড খালেদা জিয়ার

জনমত রিপোর্ট ।। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

এই মামলায় নিম্ন আদালতের ৫ বছরের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। আর দুদকের সাজা বাড়ানোর আবদনের ফলে ৫ বছর বাড়িয়েছেন আদালত। এছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকিদের সাজাও বহাল রেখেছেন আদালত। ফলে এই মামলায় প্রত্যেকের সাজা ১০ বছর হলো।

মামলার বাকি পাঁচ আসামি হলেন- মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার এক রায়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেন রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশীবাজারে অস্থায়ী ঢাকার ৫ নং বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালত। একইসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ মামলার অন্য পাঁচ জনের প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। নানা রোগে আক্তান্ত হওয়ায় বর্তমানে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ মামলায় অভিযুক্তরা। অপরদিকে মামলায় খালেদা জিয়াসহ প্রত্যেকের সাজা বৃদ্ধি ও বহাল চেয়ে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

১২ জুলাই থেকে শুরু হয় আপিল ও রুল শুনানি। সোমবার (২৯ অক্টোবর) রাষ্ট্র, দুদক ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষ করা হয়। ফলে পরেরদিনই (আজ মঙ্গলবার) রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এছাড়া একইদিন (২৯ অক্টোবর) এই মামলায় একজন অতিরিক্ত সাক্ষী নেয়ার বিএনপির চেয়ারপারনের আইনজীবীদের আবেদন খারিজ করে দেন প্রধানবিচার প্রতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।

নাটোরে স্কুলছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা

প্রকাশিত :  ০৫:৫৬, ২৯ মার্চ ২০২৪

নাটোরের নলডাঙ্গায় হিমেল হোসেন (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হাত-মুখ বেঁধে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে সহপাঠীদের বিরুদ্ধে।

নিহত হিমেল হোসেন পিপরুল গ্রামের টিসিবি ডিলার ফারুক সরদারের ছেলে। সে পাটুল-হাঁপানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।

এ ঘটনায় হিমেলের দুই সহপাঠীসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— একই এলাকার পার্থ, মেহেদি, সুজন ও শিমুল। এদের মধ্যে পার্থ ও মেহেদী নিহত হিমেলের সহপাঠী।

গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এ টি এম মাইনুল ইসলাম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে হিমেলকে তার  বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় সহপাঠী পার্থ। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল হিমেল। এ ঘটনায় হিমেলের বাবা ফারুক সরদার নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ করলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ রাতেই পার্থকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অপর সহপাঠী মেহেদী এবং এলাকার ‘সিনিয়র’ বন্ধু সুজন ও শিমুলকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের সাথে নিয়ে রাত দেড়টার দিকে  পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পেছনে পরিত্যক্ত ইউনিয়ন পরিষদের পাশের একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে হিমেলের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এ.টি.এম. মাইনুল ইসলাম বলেন, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর হিমেলের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছিল না পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হিমেলের মুঠোফোনের সূত্র ধরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। নলডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।