img

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ১৭ অঙ্গরাজ্য ও ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলা

প্রকাশিত :  ০৭:৪৮, ১৫ জুলাই ২০২০
সর্বশেষ আপডেট: ১০:০৫, ১৫ জুলাই ২০২০

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ১৭ অঙ্গরাজ্য ও ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর প্রশাসনের নতুন কড়াকড়ি আরোপের প্রতিবাদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ১৭টি রাজ্য ও দুই শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়।

তাদের দাবি, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নিয়ম বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সামনের সেমিস্টারের জন্য কয়েক মাস ধরে যে পরিকল্পনা সাজিয়েছে, তা নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।

গত ৮ জুলাই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আদালতে যায় হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি এবং ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)।

বোস্টনের আদালতে করা এ চ্যালেঞ্জকে সোমবার সমর্থন জানিয়েছে দুই শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশটির ১৭ অঙ্গরাজ্য।

মামলায় যোগ দিয়েছে গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফটসহ ১৪ টেক কোম্পানি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এ মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। খবর আলজাজিরা ও সিএনএনের।

২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চতর শিক্ষা নিতে আসা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১০ লাখের বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী রয়েছেন।

৬ জুলাই ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) জানায়, আসন্ন ফল সেমিস্টার থেকে আমেরিকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যদি পুরোপুরি অনলাইনে ক্লাস নেয়া শুরু করে, তাহলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আমেরিকা ত্যাগ করতে হবে। এ ছাড়া সেখানে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদেরও ভিসা দেয়া হবে না।

এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী পুরোপুরি অনলাইন পড়াশোনা করছেন, তাদের অবিলম্বে একটি বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে অন্তত কিছুসংখ্যক ক্লাসে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে অথবা দেশে ফিরে যেতে হবে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত ৮ জুলাই ফেডারেল কোর্টে মামলা করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও এমআইটি।

হার্ভার্ড-এমআইটির দায়ের মামলায় বলা হয়, নতুন নির্দেশনায় লাখো শিক্ষার্থীর আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। ফেডারেল আদালতে করা এ মামলার আরজিতে বলা হয়, আসন্ন ফল সেমিস্টার শুরু হওয়ার আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি।

এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিভার্সিটি বদল করার সুযোগ নেই। এতে অনেকেই দেশটিতে শিক্ষার্থী হিসেবে তাদের বৈধ ভিসা হারাবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরে যাওয়া ব্যয়বহুল, অবাস্তব এবং অনিরাপদ বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

১৭টি রাজ্য মামলায় জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এ ধরনের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। শরৎকালে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস শুরু হলে এ নিয়মের ফলে তা থমকে যেতে পারে বলেও তারা শঙ্কা প্রকাশ করেছে।

ম্যাসাচুসেটসের অ্যাটর্নি জেনারেল মাউরা হিয়েলে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন এ ধরনের নির্বোধ নিয়মের ভিত্তি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করার চেষ্টাও করেনি। অথচ, এই নিয়মের ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের তালিকায় রাখা এবং তাদের ক্যাম্পাসে সুরক্ষা দেয়ার ব্যাপারে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের

নতুন শিক্ষার্থী ভিসার নিয়মের বিরুদ্ধে মামলায় যোগ দিয়েছে গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফটসহ ১৪ টেক কোম্পানি।

আইটি সংস্থাগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা দেশের জিডিপিতে যথেষ্ট অবদান রাখেন। আন্তর্জাতিক ছাত্ররা মার্কিন ব্যবসা-বাণিজ্যের কর্মীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস

img

নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন: ৬৫ শতাংশ হতে যাচ্ছে লিখিত, ৩৫ শতাংশ শ্রেণিভিত্তিক

প্রকাশিত :  ১৮:৪৬, ১৩ মে ২০২৪

এসএসসি পরীক্ষায় ৬৫ শতাংশ লিখিত ও ৩৫ শতাংশ শ্রেণিভিত্তিক মূল্যায়ন হবে। এমন পরিকল্পনা শিক্ষামন্ত্রণালয়ের। মূল্যায়নের জন্য গঠিত কমিটি যে সুপারিশ করেছিল, তা থেকে কিছুটা পরিবর্তন এনে লিখিত অংশের ওয়েটেজ বাড়ানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ নিয়ে আলোচনা ও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, দুই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রতি নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নপদ্ধতি চূড়ান্তকরণের কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটি যে চূড়ান্ত সুপারিশ করেছিল, তাতে কার্যক্রমভিত্তিক অর্থাৎ হাতে-কলমে মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ আর লিখিত অংশের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ করতে বলেছিল। কার্যক্রম বলতে বোঝানো হচ্ছে অ্যাসাইনমেন্ট করা, উপস্থাপন, অনুসন্ধান, প্রদর্শন, সমস্যার সমাধান করা, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি। আরও সহজ করে বললে হাতে-কলমে কাজ।

আজকের বৈঠকে  প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পাবলিক পরীক্ষা অর্থাৎ এসএসসি পরীক্ষায় লিখিত অংশের ওয়েটেজ ৬৫ শতাংশ এবং কার্যক্রমভিত্তিক অংশের ওয়েটেজ হবে ৩৫ শতাংশ। প্রথম বছরের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ধাপে ধাপে কার্যক্রমভিত্তিক অংশের ওয়েটেজ বাড়ানো হবে। লিখিত অংশের প্রশ্নপত্র হবে কার্যক্রমের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল রেখে অর্থাৎ প্রশ্ন হবে দুই অংশের মধ্যে আন্তসম্পর্ক বজায় রেখে।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন এনসিটিবি দ্রুত আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করলে এটিকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পূর্বনির্ধারিত জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় তোলা হবে।

জানা গেছে, ওই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী লিখিত ও কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়ন মিলিয়ে সময়টি পাঁচ ঘণ্টাই রাখা হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী দশম শ্রেণি শেষে যে পাবলিক পরীক্ষা হবে, সেটির নাম এখনকার মতো মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষাই রাখা হচ্ছে। এ পরীক্ষা হবে শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে।

এনসিটিবির উচ্চ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, লিখিত অংশের ওয়েটেজ ৬৫ শতাংশ করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। আরেকটু পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। 

দেশে গত বছর নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়। বর্তমানে প্রাথমিকে প্রথম থেকে তৃতীয় এবং ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে অধ্যয়ন করছে। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে চালু হবে নতুন শিক্ষাক্রম।

কিছুদিন ধরেই নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন কেমন হবে, সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে। আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে নবম শ্রেণির সামষ্টিক বা বার্ষিক মূল্যায়নটি পাবলিক পরীক্ষার আদলে নেওয়ার। তবে অন্যান্য শ্রেণির মূল্যায়ন এখনকার মতোই চলতে থাকবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন যে, মূল্যায়নটি দ্রুত চূড়ান্ত করা উচিত। কারণ, বর্তমানে যারা নবম শ্রেণিতে পড়ে, তারা নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রথমবারের মতো এসএসসি পরীক্ষা দেবে। নবম শ্রেণিতে তাদের অধ্যয়নকাল পাঁচ মাস চলছে। কিন্তু তাদের এসএসসি পরীক্ষার মূল্যায়ন কেমন করে হবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। অবশ্য নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষা হবে দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ভিত্তিতে।

শিক্ষা এর আরও খবর