ব্রিটেনে ঈদের দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক

প্রকাশিত :  ০৬:০৪, ৩১ অক্টোবর ২০১৮

ব্রিটেনে ঈদের দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক

জনমত রিপোর্ট ।। যুক্তরাজ্যে ঈদকে সরকারি ছুটি ঘোষণা নিয়ে আবারও আলোচনা হলো দেশটির পার্লামেন্টে। সোমবার পার্লামেন্ট সদস্যরা এই বিষয়টি উত্থাপন করেন। মূলত পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে ই-পিটিশনের মাধ্যম এই দাবি তোলা হয়। ঈদকে সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়ে সেখানে ৪৬ হাজার ৫০০ জন স্বাক্ষর করেন। আর হিন্দু উৎসব দীপাবলিকে ছুটির দাবি জানিয়ে স্বাক্ষর করেন ১১ হাজার ৭০০ জন।

স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির এমপি ও পার্লামেনট পিটিশন কমিটির সদস্য মার্টিন ডে বলেন, এটা বলা যেতেই পারে যে এই আবেদন খুবই জরুরি। ধর্মীয় উৎসবগুলোকে ছুটির দিন হিসেবে চাওয়াটা যৌক্তিক।

তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে খ্রিস্টান ধর্মের পর মুসলিম ও হিন্দু ধর্মালম্বীদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। খ্রিস্টানরা বড়দিন ও ইস্টার সানডেতে ছুটি পায়। তাই অন্যান্য ধর্মালম্বীদেরও ধর্মীয় উৎসবে ছুটি থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।

এই ইস্যুতে অনেকদিন ধরে প্রচারণা চালানো কনজার্ভেটিভ পার্টির এমপি বব ব্ল্যাকম্যান বলেন, রমজান মাসের শেষে মুসলিমরা ক্লান্ত থাকেন। এছাড়া সেদিনের নামাজও তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, সেদিন কেন সরকারি ছুটি হবে না। বিশেষ করে আমাদের দেশে এত মুসলিম থাকারও পরেও।

ওয়েস্টমিনস্টার হলে এর আগে ২০১৪৩ সালেও এই বিষয় নিয়ে একবার বিতর্ক হয়েছিলো। তখন এই দাবি মানেনি সরকার। তাদের যুক্তি ছিলো, বেশি সরকারি ছুটি দিলে দেশটির অর্থনীতি ‍‘উল্লেখযোগ্য’ ক্ষতির মুখে পড়বে।

ব্রিটিশ সরকারের বাণিজ্য, জ্বালানি ও শিল্প কৌশল দফতরের মন্ত্রী কেলি তোলহার্স্ট বলেন, ‘ছুটির দিনে উল্লেখযোগ্য হারে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। রানী এলিজাবেথের শাসনের হীরক জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ছুটিতে কর্মীদের পেছনে খরচ হয়েছে ১২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড।

তিনি আরও বলেন, যেই ছুটির দিনের কথা প্রস্তাব করা হয়েছে সেটার ক্ষতি কিছুটা কম হতে পারে। কারণ এক্ষেত্রে পর্যটন ও অবসরের ওপর কেন্দ্র করে বাণিজ্য জড়িত। তবে ঈদ কিংবা দীপাবলিতে পর্যটন শিল্প লাভবান হবে তেমনটা আশা করা যায় না।’

ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে ১৩০ ব্রিটিশ এমপির চিঠি

প্রকাশিত :  ০৯:১৪, ২৮ মার্চ ২০২৪

ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটেনের মেম্বার অব পার্লামেন্ট (এমপি) এবং হাউস অব লর্ডসের মন্ত্রীরা। গাজায় ইসরাইলের হামলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপের প্রতিক্রিয়ায় তারা এ আহ্বান জানান। এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরনকে একটি চিঠিও দিয়েছেন তারা। 

বৃহস্পতিবারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান। 

এই চিঠিতে সমর্থন করেছেন ১৩০ জনেরও বেশি পার্লামেন্ট মেম্বার। চিঠিটিতে ইসরাইলে অস্ত্র রপ্তানি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

লেবার এমপি জারাহ সুলতানার নেতৃত্বে চিঠিতে ১০৭ এমপি এবং ২৭ জন সহকর্মী স্বাক্ষর করেন। এর মধ্যে সাবেক শ্রম মধ্যপ্রাচ্য মন্ত্রী পিটার হেইন, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) ওয়েস্টমিনস্টার নেতা স্টিফেন ফ্লিন এবং সাবেক লেবার নেতা জেরেমি করবিন রয়েছেন। 

স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আরও আছেন রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ নোশিনা মোবারিক, পররাষ্ট্র দপ্তরের স্থায়ী সচিব জন কের এবং লেবার পার্টির সাবেক মন্ত্রী টেসা ব্ল্যাকস্টোন। চিঠিটি ৪৬ জন লেবার এমপি এবং প্রায় সব এসএনপি সংসদীয় দলের সমর্থন পেয়েছে। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলে যুক্তরাজ্যের অস্ত্র রপ্তানির \'স্বাভাবিক ব্যবসা\' \'সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য\'। 

জাতিসংঘের সাম্প্রতিক তদন্তে পাওয়া যুক্তরাজ্যের নির্মিত অস্ত্র গাজায় ব্যবহার করা হচ্ছে— এ বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। 

ব্রিটেনের পররাষ্ট্র সচিবের কাছে লেখা চিঠিতে অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে অন্যান্য দেশের নেওয়া পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেছেন এমপিরা। গত সপ্তাহে কানাডা ইসরাইলে সমস্ত অস্ত্র রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।