বাংলাদেশের জন্য এখনও বন্ধ কুয়েতের দরজা

প্রকাশিত :  ১৬:১৭, ৩০ জুলাই ২০২০

বাংলাদেশের জন্য এখনও বন্ধ কুয়েতের দরজা

জনমত ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় ৪ মাস বন্ধ থাকার পর আগামী ১ আগস্ট থেকে বিশ্ববাসীর জন্য সীমান্ত খুলে দিচ্ছে কুয়েত। তবে বাংলাদেশ এবং ভারতসহ কয়েকটি অঞ্চলের প্রবাসীরা সেই আগের মতোই দেশটিতে ঢুকতে পারবেন না।

দেশটির যোগাযোগ অধিদফতরের বরাত দিয়ে আরব টাইমস জানিয়েছে, বাংলাদেশ এবং ভারতের পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবেন ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইরান এবং নেপালের নাগরিকেরা।

এর আগে, চলতি মাসের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে পাঁচ ধাপে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার পরিকল্পনা অনুসারে ১ আগস্ট থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষণা দেয় কুয়েত সরকার।

ছুটিতে থাকা প্রবাসীদের ভ্রমণের অন্তত চারদিন আগে কুয়েত দূতাবাস অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার থেকে পিসিআর সনদ গ্রহণ করতে হবে। কুয়েত বিমানবন্দরে পৌঁছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি ফরম পূরণ করতে হবে। সরকার প্রয়োজন মনে করলে তারা সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার অথবা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য থাকবেন।

কুয়েতে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজার ৯০৩ জন কভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। ৫৬ হাজার ৪৬৭ জন সেরে উঠলেও মারা গেছেন ৪৪৪ জন।

আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের হিসাব অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেল ছয়টা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭২ লাখ ১৭ হাজার ১১২ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৭ লাখ ২৮ হাজার ৭৪০ জন। বিপরীতে মারা গেছেন ৬ লাখ ৭০ হাজার ৯৪১ জন।

বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাবার নষ্ট হয় : জাতিসংঘ

প্রকাশিত :  ১৭:৫৩, ২৮ মার্চ ২০২৪

জাতিসংঘের নতুন এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার নষ্ট হচ্ছে। যদিও এর বিপরীতে প্রতিদিন অনাহারে থাকছে প্রায় ৮০ কোটি মানুষ।

বুধবার (২৭ মার্চ) জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। খাবার অপচয়ের এ ঘটনাকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে।

জাতিসংঘের ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন লাখ কোটি ডলার মূল্যের খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন।

বাড়িঘরগুলোতে প্রতি বছর যে পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হয়, তা এক বছরে বিশ্বে মোট উৎপাদিত খাদ্যের এক পঞ্চমাংশ। জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক প্রকল্প ইউনাইটেড নেশন্স এনভায়র্নমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গের অ্যান্ডারসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় একটি বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি। শুধুমাত্র এই অপচয়ের কারণে প্রতিদিন বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে থাকেন।’

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় কেবল মানুষের আদর্শগত ব্যর্থতা নয়, বরং পরিবেশের জন্যও হুমকি। অপচয়িত বা ফেলে দেওয়া খাবার থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। আমাদের হাতে থাকা তথ্য বলছে, , ফেলে দেওয়া খাবার থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়, বিশ্বে প্রতিদিন বিমান চলাচলজনিত কারণে নির্গত হওয়া গ্রিনহাউস গ্যাসের তুলনায় তা পাঁচগুণ বেশি।

প্রতিবেদনটির তথ্য সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণের কাজে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে র‌্যাপ নামের একটি অলাভজনক গবেষণা সংস্থা। ইউএনইপির কর্মকর্তা ক্লেমেন্টেন ও’কনর এএফপিকে বলেন,‘আমরা এখানে শুধু বাড়িঘরগুলোর তথ্য দিয়েছি। এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে জরিপের ভিত্তিতে। এছাড়া রেস্তোরাঁয় খাদ্য অপচয়ের তথ্য এখানে দেওয়া হয়নি। তাই আমাদের বিশ্বাস, বাড়িঘর ও রেস্তোরাঁয় অপচয় হওয়া খাদ্যের প্রকৃত আরও অনেক, অনেক বেশি।

এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি। প্রতিবেদনটি তৈরিতে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে অলাভজনক সংস্থা ডব্লিউআরএপি। সূত্র: সিএনএন