img

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত :  ০৫:২০, ০১ আগষ্ট ২০২০
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৫০, ০১ আগষ্ট ২০২০

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

জনমত ডেস্ক : জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১ আগস্ট) সকাল ৭টায় ইদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। এসময় মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ ক্বারী কাজী মাসুদুর রহমান।

ইদের জামাতে অংশ নেওয়ার জন্য সবাইকে নিজ নিজ জায়নামাজ নিয়ে এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে এসে নামাজ আদায়ের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছে।

করোনার কারণে নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলি থেকে বিরত থাকেন।

নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়।

আজ বায়তুল মোকাররমে ইদের আরও পাঁচটি জামাত পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হবে। ইদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে। এতে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ ক্বারী হাবিবুর রহমান মেশকাত।

তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে। এতে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন মসজিদের মুয়াজ্জিন মাওলানা ইসহাক।

চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে। এতে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন জাতীয় মসজিদের চিফ খাদেম মো. শহীদুল্লাহ।

পঞ্চম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ১০টায়। এতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ূর রহমান খান। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন জাতীয় মসজিদের খাদেম হাফেজ মো. আব্দুল মান্নান।

ইদুল আজহার ষষ্ঠ ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে। এতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক উপ-পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রব মিয়া। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন জাতীয় মসজিদের খাদেম হাফেজ মো. আব্দুর রাজ্জাক।


img

অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক

প্রকাশিত :  ১৫:৩০, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:৩২, ১৪ মে ২০২৪

সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরেছেন।

মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এমভি জাহান মনি-৩ জাহাজটি সেই ২৩ নাবিককে নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যদিয়ে শেষ হলো ২৩ পরিবারের দীর্ঘ অপেক্ষার পালা। নাবিকদের দীর্ঘদিন পর কাছে পেয়ে অনেক স্বজন কেঁদে ফেলেন। নাবিকদের বরণ করতে তাদের কারও হাতে ছিল ফুল, কারও হাতে কেক। 

এক মাস আগে সোমালিয়ার দস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পেলেও এতদিন নাবিকদের দেখা পাননি স্বজনেরা। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি আরব আমিরাত ঘুরে চট্টগ্রামে আসার পর প্রথমবার নাবিকদের দেখা পেলেন স্বজনেরা।

জেটি চত্বরে ছেলে ও এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমেদের মা জ্যোৎস্না বেগম। আবেগাপ্লুত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘ঈদের চেয়ে বেশি আনন্দ হচ্ছে। জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার পর ছেলের জন্য দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ৩৩ দিন যে কীভাবে কেটেছে, তা ব্যাখ্যা করতে পারব না। এখন ছেলেকে কাছে পাব, এর চেয়ে আর বড় সুখ কী হতে পারে।’

বাবা আসবেন, এ জন্য জেটি চত্বরে ছুটে এসেছেন জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খানের দুই মেয়ে। তারা বলেন, ‘বাবাকে কাছে পাব, এটা ভাবতেই আনন্দ হচ্ছে। আমাদের আজ অনেক অনেক খুশির দিন।’

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেছেন, জিম্মি দশা থেকে মুক্ত নাবিকরা এখন আরও সাহসী। কারণ তারা ভয়কে জয় করে দেশে ফিরেছে। তাদের আরও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে। বাঙালি সাহসী বীরের জাতি। তারা এসব জিম্মি দশাকে ভয় পায় না। তারা ভয়কে জয় করেছে। আজকে আমাদের আনন্দের দিন।