img

গ্রীসে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উদযাপন

প্রকাশিত :  ০৯:৫৮, ০১ আগষ্ট ২০২০
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৫৬, ০১ আগষ্ট ২০২০

গ্রীসে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উদযাপন

উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে গ্রীসে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উদ্যাপিত হলো। পবিত্র ঈদ-উল-আযহার দিন সকালে বাংলাদেশ দূতাবাসের সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রীসের আয়োজনে এথেন্সের কুমুদুরু নামে খোলা পার্কে গ্রীসের সর্ববৃহৎ পবিত্র ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। গ্রীসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিনসহ বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ প্রবাসী বাংলাদেশি এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত প্রবাসীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানান এবং মানুষে মানুষে স¤প্রীতি ও সহমর্মিতার আহবান জানান।

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর প্রেক্ষিতে এবছর ঈদ উদযাপনে কোলাকুলি এবং করমর্দন থেকে বিরত থাকা হয়। ঈদের জামাতে গ্রীক সরকারের নিয়ম অনুযায়ী শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক পরিধানসহ সবধরনের সর্তকতা অবলম্বন করে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক নামাজ আদায় করেন।

ঈদের নামাজ আদায়ের আগে রাষ্ট্রদূত তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, পবিত্র ঈদ-উল-আযহার ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠুক প্রবাসী বাংলাদেশিদের জীবন। করোনাকালীন অবস্থায় নিজের, পরিবারের এবং সমাজের সবার জন্য স্থানীয় নিয়ম কানুন মেনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ও বিদেশে আনন্দ ও উৎসাহ-উদ্দীপনা আর ধর্মীয় পবিত্র অনুভ‚তি নিয়ে ঈদ পালন করতে এবং প্রতিটি মানুষ অন্য মানুষের পাশে দাড়াবে এই সংকল্প নিতে প্রবাসীদের আহবান জানান। তিনি ত্যাগ তিতিক্ষার মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে পরস্পরের প্রতি সহমর্মিতাভিত্তিক সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে জোর দেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী তথা মুজিব বর্ষে এই পবিত্র ঈদে আরো বেশি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নতেৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হয়ে তিনি প্রবাসীদের একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

ঈদের জামাতে আরো উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রীসের নেতৃবৃন্দসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ঈদের জামাতে দেশ ও জনগণের মঙ্গল কামনায় এবং বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী থেকে মুক্তির  জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.২২ শতাংশ

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৯, ১৩ মে ২০২৪

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার সব চেষ্টার মধ্যেও গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। এর আগের মাসে অর্থাৎ, মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সাত বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। হালনাগাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে, গত এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মার্চে এটি ছিল নয় দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এপ্রিল মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ দিকে গত এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে; আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর, যা ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ


কমিউনিটি এর আরও খবর