img

ইংল্যান্ডে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

প্রকাশিত :  ১৩:৪৮, ০১ আগষ্ট ২০২০

ইংল্যান্ডে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

জনমত ডেস্ক : ব্রিটেনে বিশেষ করে নর্থ ইংল্যান্ডে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন। এ অবস্থায় লকডাউন আরো শিথিল করার চিন্তা বাদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আগামী ১ আগস্ট থেকে পুরোপুরি লকডাউন প্রত্যাহারের চিন্তায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে আপাতত ১৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন প্রত্যাহার হচ্ছে না।

আর সরকারের উপদেস্টা প্রফেসর হুইটি বলছেন, কিছু পেলে কিছু ছাড় দিতে হবে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল পুনরায় চালুর পক্ষে তিনি। এর বিনিময়ে আবারো বন্ধ ঘোষণা করা হতে পারে পাব ও রেস্টুরেন্ট।

যদিও বরিস জনসন বলেছিলেন প্যাডেল ব্রেক করার সময় এসেগেছে। তিনি আজ শুক্রবার এক প্রেসকনফারেন্সে বলেছেন, ক্যাসিনো এবং বোলিং এলেইস আরো কিছুদিন বন্ধ থাকবে। বিয়ের অনুষ্ঠানে ৩০জন অতিথির উপস্থিতির পরিবর্তনের ঘোষণা আসার কথা থাকলেও তাও অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিনেমা, ইনডোর সেটিংসে ফেসই মাস্ক বাধ্যতামূলক রাখা হয়েছে। একই সাথে উপাসনাস্থলে প্রার্থনার জন্যও ফেইস মাস্ক বাধ্যতামূলক। আগামী সপ্তাহে এই বিষয়ে আরো ঘোষণা আসবে।

প্রফেসর হুইটি আরো বলেন, লকডাউন আর কোনভাবেই সহজ করা সম্ভব নাও হতে পারে। আমরা সব কিছু খুলে ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারব, ধারনাটি সম্পূর্ণ ভুল।

অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স জানিয়েছে গত সপ্তাহে যেখানে দিনে ২৮০০ নতুন সংক্রমন ঘটত সেখানে এসে সপ্তাহে এসে পৌছেছে ৪২০০। এটি মার্চ মাসের সমান না হলেও উদ্বেগজনক।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে চান না ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৯:০৯, ১২ মে ২০২৪

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী রাফায় ইসরায়েল পূর্ণ মাত্রায় অভিযান পরিচালনা করলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে অস্ত্রের চালান স্থগিতের যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তার সঙ্গে একমত নয় যুক্তরাজ্য সরকার।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মনে করেন, ইসরাইলের ওপর যুক্তরাজ্যের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা হামাসকে আরও শক্তিশালী করবে। খবর বিবিসির

ক্যামেরন জানান, গাজার রাফাহ শহরে বড় ধরনের স্থল অভিযানকে সমর্থন করেন না তিনি। তবে দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পথে হাঁটার পক্ষে না তিনি। 

এদিকে দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জনাথন অ্যাশওয়ার্থ বলেছেন, তিনি চান না যুক্তরাজ্যের তৈরি অস্ত্র রাফায় ব্যবহার হোক।

ইসরাইল প্রতিবছর যে অস্ত্র কেনে তার মাত্র ১ শতাংশ যুক্তরাজ্য থেকে যায় বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন।

যু্ক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা আরও কয়েকটি দেশ ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছে, যদি তারা রাফায় সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে তবে সেখানে গণহারে বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা নিহত হবে এবং বড় ধরণের মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে।

এদিকে সব সতর্কবার্তা এবং হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফায় স্থল অভিযান পরিচালনা করবেন।

ইসরাইলের দাবি, রাফায় হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধা অবস্থান করেছে। তাই সেখানে পূর্ণমাত্রায় অভিযান ছাড়া গাজায় হামাসকে নির্মূল করার তাদের লক্ষ্য পূরণ হবে না।

সোমবার থেকে রাফায় আকাশ হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। মিশর সীমান্তবর্তী এই নগরীতে স্থল অভিযানের প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা। এজন্য রাফার বাসিন্দা এবং সেখানে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।

গাজায় ইসরাইলের আকাশ হামলায় তিন ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার পর ক্যামেরন নিজেই ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

সে কথা উল্লেখ করে ক্যামেরন আরও বলেন, শেষবার আমি যখন ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে বলেছিলাম তার মাত্র কয়েকদিন পর ইরান নিষ্ঠুরভাবে ইসরাইলে হামলা করে বসে। তাই আমি আজ খুব সাধারণ ভাবে ঘোষণা দিতে চাই যে, আমরা আমাদের অস্ত্র রপ্তানির কৌশল পরিবর্তন করলে সেটা হামাসকে আরও শক্তিশালী করবে এবং এটা জিম্মিদের মুক্ত করে আনার চুক্তিকে আরও কঠিন করে তুলবে।