img

আফগানিস্তানের কারাগারে আইএসের হামলায় নিহত ২৪

প্রকাশিত :  ১২:১৪, ০৩ আগষ্ট ২০২০

আফগানিস্তানের কারাগারে আইএসের হামলায় নিহত ২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের জালালাবাদের একটি কারাগারে বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছেন। রবিবারের এই হামলায় আহত হয়েছেন আরো ৪৩ জন। হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

\r\n

জানা গেছে, পূর্ব আফগানিস্তানের ওই কারাগারটিতে প্রথমে আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলা চালানো হয়। পরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকধারীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পুলিশ ও স্পেশাল ফোর্স ওই এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বলে জানা গেছে।

\r\n

নানগারহার প্রদেশের সংসদ সদস্য সোহরাব কাদেরি জানিয়েছেন, \'হামলায় প্রায় ৩০ জন জঙ্গি জড়িত ছিল। কারাগারটিতে প্রায় দুই হাজার বন্দিকে রাখা হয়েছিল।\'

\r\n

এ বিষয়ে নানগারহার প্রদেশের গভর্নরের মুখপাত্র আতাউল্লাহ খোগয়ানি জানিয়েছেন, হামলাকারীরা বেশির ভাগই কারাগারের কাছে একটি বাজারে লুকিয়ে ছিল। আর সেখান থেকেই নিরাপত্তারক্ষীদের উদ্দেশে গুলি চালানো হয়।

\r\n

বন্দুকধারীদের হামলার সুযোগে কারাগার থেকে বন্দিরা পালিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে নিরাপত্তা বাহিনীকে তাদের জনবল সরিয়ে অন্যদিকে নিতে বাধ্য করা হয়। সোমবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় এক হাজার বন্দিকে ধরা সম্ভব হয়েছে। তবে কত বন্দি পালিয়েছে, সেটা এখনো সঠিকভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না। সূত্র : আলজাজিরা, জাকার্তা পোস্ট।

img

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৪১

প্রকাশিত :  ০৭:০৫, ১৩ মে ২০২৪

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা এবং আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও ১৭ জন। 

সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় দুর্যোগ সংস্থার এক কর্মকর্তা।

কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা ভারী বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যার কারণে রাস্তা-ঘাঁট, বাড়ি-ঘর, মসজিদ প্লাবিত হয়েছে।

পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মকর্তা ইলহাম ওয়াহাব এএফপিকে বলেন, গত রাত পর্যন্ত আমরা ৩৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তবে আজ সকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে।

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, এখনও ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে। নিখোঁজদের মধ্যে আগাম জেলায় তিনজন এবং তানাহ দাতারে ১৪ জন। বন্যার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এই দুই এলাকায় কয়েক লাখ মানুষের বসবাস।

এখন পর্যন্ত কতজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেননি ইলহাম ওয়াহাব। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অনুসন্ধান, উদ্ধার, সরিয়ে নেওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা এবং তল্লাশি অভিযানের দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

বন্যার কারণে রাস্তাঘাট যেন নদীতে পরিণত হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় মসজিদ এবং ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা লাহার নামেও পরিচিত। আগ্নেয়গিরির প্রধান উপাদান যেমন ছাই, বালি এবং নুড়ি পাথর বৃষ্টির কারণে আগ্নেয়গিরির ঢালে নেমে আসে। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং রাস্তাঘাট ভেসে গেছে।

বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা বেড়ে যায়। কিছু এলাকায় বন উজাড়ের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। দীর্ঘ সময় মুষলধারে বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

২০২২ সালে সুমাত্রা দ্বীপে বন্যায় প্রায় ২৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সে সময় দুই শিশুর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।