নেত্রকোনার মদনে নৌকা ডুবে ১৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ১০:২৫, ০৫ আগষ্ট ২০২০
সর্বশেষ আপডেট: ১১:০১, ০৫ আগষ্ট ২০২০

নেত্রকোনার মদনে নৌকা ডুবে ১৭ জনের মৃত্যু

জনমত ডেস্ক : নেত্রকোনার মদন উপজেলায় পর্যটনকেন্দ্র মিনি কক্সবাজার নামে খ্যাত উচিতপুরের হাওরে ঘুরতে এসে নৌকাডুবিতে ১৭ জনের মৃত্যু গয়েছে। এদের মধ্যে দুটি কন্যাশিশু ও বাকিরা পুরুষ। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উচিতপুরের সামনের হাওর গোবিন্দশ্রী রাজালী কান্দা নামক স্থানে এঘটনা ঘটে। কন্যাশিশু দুটির পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলো লুবনা আক্তার (১০) ও জুলফা আক্তার (৭)। এরা সহোদরা এবং চরশিতা ইউনিয়নের ওয়ারেছ উদ্দিনের মেয়ে। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে ময়মনসিংহ সদর থানার ৫ নম্বর চরশিরতা ইউনিয়ন ও আটপাড়া তেলিগাতী থেকে ৪৮ জন ঘুরতে মিনি কক্সবাজার উচিতপুরে আসে। পরে ঘুরতে গেলে হাওরের উত্তাল ঢেউয়ে গোবিন্দশ্রী রাজালীকান্দা নামক স্থানে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি মো. রমিজুল হক জানান, মদন হাওরে নৌকা ডুবিতে ১৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ৩১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তারা সবাই ভালো আছেন।

নাটোরে স্কুলছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা

প্রকাশিত :  ০৫:৫৬, ২৯ মার্চ ২০২৪

নাটোরের নলডাঙ্গায় হিমেল হোসেন (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হাত-মুখ বেঁধে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে সহপাঠীদের বিরুদ্ধে।

নিহত হিমেল হোসেন পিপরুল গ্রামের টিসিবি ডিলার ফারুক সরদারের ছেলে। সে পাটুল-হাঁপানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।

এ ঘটনায় হিমেলের দুই সহপাঠীসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— একই এলাকার পার্থ, মেহেদি, সুজন ও শিমুল। এদের মধ্যে পার্থ ও মেহেদী নিহত হিমেলের সহপাঠী।

গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এ টি এম মাইনুল ইসলাম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে হিমেলকে তার  বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় সহপাঠী পার্থ। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল হিমেল। এ ঘটনায় হিমেলের বাবা ফারুক সরদার নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ করলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ রাতেই পার্থকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অপর সহপাঠী মেহেদী এবং এলাকার ‘সিনিয়র’ বন্ধু সুজন ও শিমুলকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের সাথে নিয়ে রাত দেড়টার দিকে  পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পেছনে পরিত্যক্ত ইউনিয়ন পরিষদের পাশের একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে হিমেলের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এ.টি.এম. মাইনুল ইসলাম বলেন, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর হিমেলের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছিল না পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হিমেলের মুঠোফোনের সূত্র ধরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। নলডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।