img

নবীগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত :  ১২:১২, ০৭ আগষ্ট ২০২০

নবীগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা

জনমত ডেস্ক : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকালে ৯ ঘটিকায় নবীগঞ্জ পৌরসভার শ্যামলী আবাসিক এলাকা মেয়ের নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

জানা যায়, ওই এলাকার মঙ্গল দাশের মেয়ে লিপি রাণী দাশ (১৩) কে তার মা ঘরের রেখে অন্যের বাড়ি কাজ করতে যান। কাজ থেকে এসে বাড়ি ফিরে দরজা বন্ধ দেখে জানালা দিয়ে দেখতে পান লিপি ঝুলন্ত অবস্থায়। পড়ে দরজা ভেঙে লিপির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

লিপির মা জানান, প্রায় এক বছর ধরে আজমেরীগঞ্জ উপজেলার রণজিৎ সরকার (১৭) নামের এক ছেলের সাথে সিলেট একটি হাসপাতালে দেখা হয় লিপির সেখানে দুই জনের পরিচয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে দুই জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পড়ে আমরা জানতে পেয়ে নিষেধ করার পর তারা গোপনে তাদের সম্পর্ক চালিয়ে যায়। আমার ধারনা তাদের মাঝে কোন বিষয় নিয়ে মন মালিন্য চলছিল এজন্য গতকাল থেকে আমার মেয়ে বলতেছে কিছু ভালো লাগছে না।

তিনি আরও বলেন, আমি অন্যের বাসায় কাজ করি প্রতি দিনের মত আজকে ও সকালে আমি আমার মেয়ে কে বলে যাই রান্না করার জন্য পরে আমার কাজ শেষে এসে দেখি দরজা বন্ধ জানলা দিয়ে আমি দেখতে পাই লিপি ঝুলন্ত অবস্থায়। পরে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন।

ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, কিছু দিন আগে ছেলেকে আমাদের শ্যামলী এলাকায় মেয়েকে নিয়ে পালানো অবস্থায় আটকানো হয়। তাদের বিয়ের বয়স না হওয়ায় তাদেরকে বিয়ের প্রাপ্ত বয়স হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা কথা বলে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার মধ্যে আজ হঠাৎ সকালে এ রকম ঘটনা হয়।

ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর অমিতাভ তালুকদার ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরাতাহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিষয় টি নিশ্চিত করেন নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান।

img

হবিগঞ্জে পরীক্ষায় ফেল করায় তিন শিক্ষার্থীর বিষপান, একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ১৯:৩০, ১২ মে ২০২৪

হবিগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় ৩ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে মায়িশা আক্তার নামে এক শিক্ষার্থীর মারা যান। রোববার (১২ মে) বিকেলে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে তারা বিষপান করেন।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর গ্রামের মজিদ মিয়ার মেয়ে মায়িশা আক্তার (১৭)। সে সম্প্রতি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে আসে। আজ (রোববার) এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে এতে সে অকৃতকার্য হয়। খবর পেয়ে সে ইঁদুর মারার ওষুধ খেয়ে ফেলে। স্বজনরা বিষয়টি টের পেয়ে দ্রুত হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় জেলার বাহুবল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে রসুলপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান রুমি (১৬) ও সদর উপজেলার পইল গ্রামের লিলু মিয়ার ছেলে পইল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শুভ মিয়া (১৬) ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তারা সকলেই হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, নিহত মায়িশার লাশ তার আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওপর দু’জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।