img

ভারতের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক, চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১১:১১, ০৮ আগষ্ট ২০২০
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৫৭, ০৮ আগষ্ট ২০২০

ভারতের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক, চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জনমত ডেস্ক : ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে কেউ কেউ রাজনীতির চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন ভারতের সঙ্গে আমাদের (বাংলাদেশ) রক্তের সম্পর্ক আর চীনের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক।

শনিবার (৮ আগস্ট) মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশকে করোনানার ভ্যাকসিন দেবে এবং তারা প্রায় ৮ হাজার বেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা বাংলাদেশকে দিয়েছে। এটা নিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোন বিতর্ক তৈরি হয়নি। এটাকে নিয়ে কেউ কেউ রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সুমদ্র, সীমান্ত, নিরাপত্তাসহ আমাদের বড় ধরণের সব সমস্যা দূর হয়েছে। ছোট ছোট কিছু সমস্যা ঝুলে আছে, ঠিক হয়ে যাবে। মনে রাখবেন ভারতের সঙ্গে আমাদের রক্তের সম্পর্ক। আর চীনের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক।

আব্দুল মোমেন বলেন, ভারত-চীনের গন্ডগোল নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নয়। আগামী বছর আমরা ভারতকে নিয়ে ৫০ বছর পূর্তি উৎসব করবো। কেননা আমাদের বিজয় মানে ভারতের বিজয়। আবার ভারতের বিজয় মানে আমাদের বিজয়।

মন্ত্রী আরও বলেন, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আরিষ্কারে ভারত এবং পাকিস্তান দুটি দেশই অন্যদেশের সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণামূলক কাজ শুরু করেছে। সেখানে আমরা কারো সঙ্গে কাজ শুরু করতে পারলাম না, এটা দু:খজনক। আমরা ভ্যাকসিন পেতে ইউরোপিয়ানে অনেক টাকা দিয়ে রেখেছি। 

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনি এখনও যারা জীবিত আছে, তার মধ্যে দুইজনের সন্ধান মিলেছে। একজন আমেরিকা এবং একজন কানাডা আছে। আমরা মুজিববর্ষে এই দুই খুনির একজনকে দেশে আনার জোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছি। যাদের আনতে পারছি না সেক্ষেত্রে দূতাবাসগুলোকে বলেছি- অন্ততঃ মাসে একবার লোকজন নিয়ে ওই সমস্ত খুনির বাসার সামনে গিয়ে অবস্থান করতে। যেন জনগণের কাছে ধিকৃত হয়।

img

২৩ নাবিকসহ কুতুবদিয়ায় নোঙর করল এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত :  ১৪:৫০, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:৩৩, ১৩ মে ২০২৪

সোমালিয়ান জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত ২৩ নাবিককে নিয়ে দেশে পৌঁছাল বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। দীর্ঘ যাত্রা শেষে সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে জাহাজটি। বিষয়টি জানিয়েছেন জাহাজের মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ।

কুতুবদিয়ায় চুনাপাথরের কিছু চালান খালাস করে জাহাজটি ১৫ মে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস করার পর বন্দর জেটিতে আসবে এমভি আব্দুল্লাহ। এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকালে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত নাবিকদের চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হবে।

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, এমভি আবদুল্লাহ বর্তমানে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে। জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত নাবিকদের লাইটার জাহাজে মঙ্গলবার সরাসরি সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে নিয়ে আসা হবে। সেখানেই তাদের বরণ করা হবে।

তিনি বলেন, নাবিকদের জেটিতে বরণ করার জন্য কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। নাবিকদের স্বজনদের কেউ কেউ এ সময় জেটিতে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা গেছে। তারা নাবিকদের বরণ করে নেবেন।

জাহাজটির পরিচালনা প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের দায়িত্ব নেবে নতুন একটি নাবিক দল। বর্তমান নাবিকরা দীর্ঘ ভ্রমণ ও জিম্মিদশার ট্রমা কাটিয়ে ওঠার জন্য ছুটিতে যাবেন। তবে তারা মঙ্গলবারই ছুটি পাচ্ছেন কিনা এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর থেকে নানা শঙ্কায় ছিলেন জিম্মি নাবিকদের স্বজনরা। দীর্ঘদিন পর তাদের অপেক্ষার প্রহর ফুরাল।

শিপিং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজের নাবিকরা সুস্থ আছেন। কুতুবদিয়ায় আসার পর নাবিক ও ক্রু সদস্যদের একটি নতুন ব্যাচ জাহাজটিতে পাঠানো হবে। জাহাজে বর্তমানে যে ২৩ জন ক্রু আছেন তাদের আগামীকাল মঙ্গলবার একটি লাইটার জাহাজে করে কেএসআরএম লাইটার জেটি সদরঘাটে আনা হবে। সেখানে তাদের বরণ করবেন স্বজনরা। সেখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়িতে যাবেন।

এমভি আব্দুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, এমভি আবদুল্লাহ ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে গত ৪ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হয়। ১৯ মার্চ আবদুল্লাহ আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছার কথা ছিল।

মাপুতু থেকে রওনা হওয়ার চার দিন পর গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল।    

সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার দীর্ঘ ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়। মুক্ত হওয়ার আট দিনের মাথায় গত ২১ এপ্রিল বিকালে নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ দুবাই পৌঁছে। জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়ে ২২ এপ্রিল। এরপর ওই বন্দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাসের পর নতুন ট্রিপের পণ্য (পাথর) লোড করতে ইউএইর মিনা সাকার বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় জাহাজ। সেখানে ৫৬ হাজার টন চুনা পাথর নিয়ে এমভি আবদুল্লাহ গত ৩০ এপ্রিল দুবাই মিনা সাকার বন্দর থেকে দেশের পথে রওনা হয়।