img

মেধার ভিত্তিতে একাদশে মূল্যায়ন, আবেদন করতে হবে যেভাবে

প্রকাশিত :  ১১:৩৫, ০৮ আগষ্ট ২০২০
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৩৯, ০৮ আগষ্ট ২০২০

মেধার ভিত্তিতে একাদশে মূল্যায়ন, আবেদন করতে হবে যেভাবে

জনমত ডেস্ক : দেশে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই ‘স্বাভাবিক’ হওয়ার পর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রবিবার (৯ আগস্ট) থেকে শুরু হবে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইন ভর্তি আবেদন। চলবে আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত। 

এ দিকে সকল প্রস্তুতি শেষ করেও করোনা মহামারির কারণে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির কার্যক্রম পিছিয়ে যায়। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণার পর গত ৬ জুন থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা নিয়েছিল ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। তবে করোনা মহামারিতে ভর্তি কার্যক্রমে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা। অবশেষে শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে।


যেভাবে আবেদন করবেন-

www.xiclassadmission.gov.bd -এ ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। একজন সর্বোচ্চ ১০টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। শিক্ষার্থীকে তার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ড, পাসের সাল উল্লেখ করে আবেদন করতে হবে।

জানা গেছে, চলতি বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের অগোচরে আবেদন করিয়ে নেয়া বন্ধ করতে চলতি বছর এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়েছে।

অর্থ জমা দেবেন যেভাবে-

একদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে অনলাইনে একজন শিক্ষার্থী সর্বনিম্ন ৫টি কলেজে এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করতে পারবে। তবে একই প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিফট/ভার্সন/গ্রুপে আবেদন করা যাবে। আবেদনের জন্য ১৫০ টাকা টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে। এ অর্থ নগদ/সোনালী ব্যাংক/টেলিটক/বিকাশ/শিওর ক্যাশ/রকেট এর মাধ্যমে সার্ভিস চার্জসহ প্রদান করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে অনলাইন সার্ভিস ও কল সেন্টার বন্ধ থাকবে। বোর্ড থেকে বলা হয়েছে, ভর্তি আবেদন ফি পরিশোধ করার সময় এবং প্রথমবার আবেদনের সময় শিক্ষার্থীকে একটি মোবাইল নম্বর (নিজের/অভিভাবকের) দিতে হবে। যেটি শিক্ষার্থীর যোগাযোগ নম্বর হিসেবে বিবেচিত হবে। যোগাযোগ নম্বরটি শিক্ষার্থীর জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা পরবর্তীতে শিক্ষার্থীর সকল যোগাযোগ ও আবেদনের জন্য এটির প্রয়োজন হবে। আবেদন করার সময় কলেজের পছন্দক্রম বিশেষ বিবেচনাপূর্বক সাবধানে পূরণ করতে বলা হয়েছে।

এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-র ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। সমান জিপিএপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক মূল্যায়ন (Continuous Assessment) ব্যতীত মোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে।

ভর্তির ফলাফল তিনটি পর্যায়ে প্রক্রিয়াকরণ করা হবে। একজন শিক্ষার্থীকে তার মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দ ক্রমানুযায়ী একটি মাত্র কলেজের জন্য নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থী নিজেই অনলাইনে বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য ফি বাবদ ২০০ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক ভর্তি নিশ্চায়ন করবে। একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ দুইবার স্বয়ংক্রিয়ভাবেকৃত মাইগ্রেশনের জন্য বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে মাইগ্রেশন সর্বদাই শিক্ষার্থীর পছন্দ ক্রমানুসারে উপরের দিকে যাবে।

img

বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার, নতুন ৩ নির্দেশনা

প্রকাশিত :  ১৫:১৭, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

তাপপ্রবাহের কারণে এক সপ্তাহ ছুটির পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আগামী রোববার থেকে খোলা থাকবে। এতদিন বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে এখন থেকে সপ্তাহের ছয়দিন খোলা থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সে হিসাবে শনিবারও খোলা থাকবে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে ।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের সই করা প্রজ্ঞাপনে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

প্রজ্ঞাপনে চারটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা।

অন্য তিন নির্দেশনা হলো- ১. আগামী ২৮ এপ্রিল রোববার থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

২. তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

৩. শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের সূর্যের সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। কিন্তু দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে ছুটি বাড়ানো হয় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত।