img

ঘাস খেয়ে বাঁচব, তবু পাকিস্তানের সামরিক ব্যয় বাড়ান: শোয়েব আক্তার

প্রকাশিত :  ০৬:৩০, ০৯ আগষ্ট ২০২০

ঘাস খেয়ে বাঁচব, তবু পাকিস্তানের সামরিক ব্যয় বাড়ান: শোয়েব আক্তার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লড়াইয়ের ক্ষেত্র যখন ক্রিকেটের পিচ, তখন সুইং-গতি আর বাউন্সে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে বারবার ঘায়েল করেছেন শোয়েব আক্তার। এখন তিনি মাঠের বাইরে। তবে বাউন্স ছোড়া থামাননি। সম্প্রতি কথার বাউন্স ছুড়েছেন রাওলপিন্ডি এক্সপ্রেস। বলেছেন, পাকিস্তানের সামরিক শক্তি বাড়ানোর জন্য যদি ঘাস খেয়ে বাঁচতে হয়, তাতেও রাজি আছেন তিনি।

পাকিস্তানের এক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে শোয়েব আক্তার বলেন, ‘আল্লাহ যদি আমাকে ক্ষমতা দেন, তাহলে দরকারে আমি নিজে ঘাস খেয়ে বাঁচব তবু সেনাবাহিনীর বাজেট বৃদ্ধি করব’।

পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত সামরিক ও বেসামরিক শক্তির মধ্যে কখনও স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়নি। বেসামরিক প্রশাসনে বারবার সামরিক হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি  বোধগম্য নয় শোয়েবের।  তিনি বলেন,  ‘(ক্ষমতা পেলে) আমি আমার আর্মি প্রধানকে নিয়ে বসব এবং সিদ্ধান্ত নেব। যদি বাজেট থাকে ২০ শতাংশ, আমি সেটাকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেব। আমরা যদি একজন আরেকজনকে অপমান করি, তাহলে ক্ষতি হয় দুই পক্ষেরই। ’

সাক্ষাৎকারে শোয়েব আক্তার দাবি করেন, দেশের জন্য গুলি হজম করতেও রাজি ছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে ভারতের বিরুদ্ধে কারগিল যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য কাউন্টি ক্রিকেটের অফার ছেড়েছিলেন বলে দাবি তার। 


img

ইসরাইল-মিসর সম্পর্কে ফাটল, রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের হুমকি!

প্রকাশিত :  ১২:০২, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬, ১৪ মে ২০২৪

ইসরায়েল ও মিসরের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু ৪৫ বছর আগে। এই সময়ের মধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক খুক একটা উষ্ণ না হলেও একটি ন্যূনতম সম্পর্ক বজায় ছিল। তবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল তৈরি হয়েছে। এমনকি তেল আবিব থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও ভাবছে কায়রো।

সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে মিসরীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন, রাফায় দেশটির অভিযানকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে মতভেদের বিষয়টি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থায় ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার কথা ভাবছে মিসর। বিশেষ করে, গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে ইসরাইল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করে দেশটি।

মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আলকাহেরা নিউজ শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাফাতে ইসরাইলের ‘অগ্রহণযোগ্য উত্তেজনা বৃদ্ধির’ কারণে ত্রাণ নিয়ে মিসর তাদের সঙ্গে কাজ করবে না।

একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, গাজায় মানবিক পরিস্থিতির বিপর্যয়ের জন্য শুধুমাত্র ইসরাইলকেই দায়ী করে মিসর।

ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন না করে তা সীমিত করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিসরীয় কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিসরীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কায়রো ইসরাইল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখছে।

তিনি আরও বলেন, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনী রাফাহ ক্রসিংয়ে (মিসর ও গাজার মধ্যকার সংযোগ পথ) অবস্থান করবে ততক্ষণ পর্যন্ত মিসর একটি ট্রাকও (ত্রাণবাহী) রাফাহে পাঠাবে না।’ তবে রাফাহে ত্রাণের ট্রাক পাঠাতে না পারলে সেটির ফলাফল কী হবে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ও মিসরীয় কর্মকর্তা।

গত সপ্তাহে হঠাৎ করে গাজা ও মিসরের সীমান্তবর্তী রাফা ক্রসিং দখল করে নেয় ইসরাইলি সেনারা। এরপর থেকে সীমান্তটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে এখন কোনো ধরনের ত্রাণ আসছে না। এর আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে ত্রাণ আসার একমাত্র পথ ছিল এই রাফা ক্রসিং। এছাড়া গাজা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিসর যাওয়ার একমাত্র রাস্তাও ছিল এটি।

রাফা ক্রসিং দখল করার পর শনিবার রাফার মধ্যাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। এরপরই সেখানে পূর্ণমাত্রার হামলা চালায় দখলদার ইসরাইলের সেনারা।