img

করোনা: ভারতে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড, মৃত্যু ৮৬১

প্রকাশিত :  ১০:২১, ০৯ আগষ্ট ২০২০

করোনা: ভারতে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড, মৃত্যু ৮৬১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাস সংক্রমণে ভারতে প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৪ হাজার ৩৯৯ জন; যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত।

এ নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল এই দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছাল ২১ লাখ ৫৩ হাজার ১০ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮৬১ জন কোভিড রোগী। করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৪৩ হাজার ৩৭৯।

এছাড়া এই সময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৩ হাজার ৮৭৯ জন রোগী। মোট সুস্থ ১৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৮৪ জন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে রোববার এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

ভারতীয় এ সংবাদমাধ্যম জানায়, গত পাঁচদিনে ভারতের একদিনে সংক্রমণ সর্বাধিক। দুদিনের হিসেবে ভারতে সংক্রমণ প্রায় এক লাখ। পরপর তিনদিন ৬০ হাজারের ওপর দৈনিক সংক্রমিত হয়েছে। শনিবার ৬১ হাজার একদিনে শনাক্ত হয়েছে।

তিন সপ্তাহে ভারতে ১০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। ১৭ জুলাই সংক্রমিত ছিল ১০ লাখ। আর ৮ আগস্ট পর্যন্ত সংক্রমণ ২০ লাখের ওপর।

গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের বিচারে প্রথম পাঁচটি রাজ্য মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশ।

মৃত্যুর নিরিখে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত রাজ্য মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক ও পশ্চিমবঙ্গ।

img

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৪১

প্রকাশিত :  ০৭:০৫, ১৩ মে ২০২৪

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা এবং আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও ১৭ জন। 

সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় দুর্যোগ সংস্থার এক কর্মকর্তা।

কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা ভারী বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যার কারণে রাস্তা-ঘাঁট, বাড়ি-ঘর, মসজিদ প্লাবিত হয়েছে।

পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মকর্তা ইলহাম ওয়াহাব এএফপিকে বলেন, গত রাত পর্যন্ত আমরা ৩৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তবে আজ সকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে।

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, এখনও ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে। নিখোঁজদের মধ্যে আগাম জেলায় তিনজন এবং তানাহ দাতারে ১৪ জন। বন্যার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এই দুই এলাকায় কয়েক লাখ মানুষের বসবাস।

এখন পর্যন্ত কতজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেননি ইলহাম ওয়াহাব। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অনুসন্ধান, উদ্ধার, সরিয়ে নেওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা এবং তল্লাশি অভিযানের দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

বন্যার কারণে রাস্তাঘাট যেন নদীতে পরিণত হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় মসজিদ এবং ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা লাহার নামেও পরিচিত। আগ্নেয়গিরির প্রধান উপাদান যেমন ছাই, বালি এবং নুড়ি পাথর বৃষ্টির কারণে আগ্নেয়গিরির ঢালে নেমে আসে। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং রাস্তাঘাট ভেসে গেছে।

বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা বেড়ে যায়। কিছু এলাকায় বন উজাড়ের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। দীর্ঘ সময় মুষলধারে বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

২০২২ সালে সুমাত্রা দ্বীপে বন্যায় প্রায় ২৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সে সময় দুই শিশুর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।